ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
ড. মাওলানা এ কে এম মাহবুবুর রহমান
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
১৫। মাদরাসাসমূহকে আইসিটির অন্তর্ভুক্ত করা :
মাদরাসা শিক্ষাকে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সাধনে সরকার যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করার জন্য মাদরাসায় ল্যাপটপ, কম্পিউটার, প্রজেক্টরসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। বর্তমানে ফলাফল গ্রহণ, পরীক্ষা সংক্রান্ত সব কাগজপত্র অনলাইনে গ্রহণ করার সুযোগ হয়েছে। মাদরাসাসমূহে ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে। প্রজেক্টরের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম চলছে। সাধারণ শিক্ষার মতো তথ্য-প্রযুক্তিকে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় মাদরাসা শিক্ষা পিছিয়ে নেই।
১৬। শিক্ষক-কর্মচারীদের ৮ম জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্তি :
সরকার বহুদিন পরে হলেও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক দৈন্য উপলব্ধি করে অকল্পনীয় পর্যায়ে কোনোরূপ আন্দোলন ছাড়াই ৮ম জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্তি শিক্ষার প্রতি সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপ। এসব পদক্ষেপের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা এবং ধন্যবাদ জানিয়ে সরকারকে আরও উৎসাহ প্রদান সত্যই জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সময়োপযোগী পদক্ষেপ।
মাদরাসা শিক্ষা ও শিক্ষকগণ যে মর্যাদা পেয়েছেন এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু মাদরাসা শিক্ষাকে কাক্সিক্ষত মানে উন্নীত করা এবং তার স্বকীয়তা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন বিদ্যমান সংকট নিরসন করা। মাদরাসা শিক্ষায় বিদ্যমান সংকটসমূহ নিরসন করা না হলে এ শিক্ষা অনায়াসে বিনা নোটিশে সঙ্কুচিত হয়ে যাবে, হারাবে শিক্ষার মান। তাই জমিয়াতুল মোদার্রেছীন সঙ্গতকারণেই শুকরিয়া মাহফিলে এ শিক্ষাকে রক্ষা করতে কয়েকটি সংকট নিরসনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সংকটসমূহ নি¤œরূপ:-
১। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে ৮ম পে-স্কেল প্রদান:-
বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে কোনো ক্যাটাগরি ও শর্তারোপ ব্যতীত অবিলম্বে ৮ম স্কেল প্রদান করা। শিক্ষা ক্ষেত্রে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ শ্রেণী অবহেলিত হয়ে আসছে। যুগোপযোগী ও বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে প্রয়োজন শিক্ষকদের জ্ঞানগত মান উন্নয়ন, আর্থিক সমৃদ্ধি ও একাগ্রচিত্তে পাঠদান। সরকার কোনোরূপ আন্দোলন ব্যতীত বেসরকারিদের পে-স্কেল প্রদানের ঘোষণা দিয়ে যে বদন্যতার পরিচয় দিয়েছে তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এখন প্রয়োজন এ ঘোষণা বাস্তবায়ন। জামিয়ত তার দাবিতে দ্রুত বাস্তবায়ন প্রত্যাশা করছে।
২। ইবতেদায়ী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা:-
মঞ্জুরিপ্রাপ্ত, সংযুক্ত ও স্বতন্ত্র সব ইবতেদায়ী মাদরাসাকে জাতীয়করণের মাধ্যমে মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষার্থী সংকট দূরীকরণ ও নতুন ইবতেদায়ী মাদরাসা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা। প্রাইমারি স্কুলের ন্যায় মাদরাসার ইবতেদায়ী স্তরে উপবৃত্তি ও টিফিনের ব্যবস্থা করা।
স্কুলের ফিডার প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার প্রাইমারি স্কুল রেজিস্টার্ড ও কমিউনিটি স্কুল বিদ্যমান। সম্প্রতি শিক্ষার উন্নয়নে ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক স্কুলকে জাতীয়করণ করা হয়েছে। বর্তমানে ৬৩ হাজার ৮৬৫টি সরকারি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে, প্রায় ১ লাখ শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, প্রাথমিক শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু মাদরাসার ফিডার প্রতিষ্ঠান মঞ্জুরিপ্রাপ্ত ১৬ হাজার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাকে এমপিওভুক্ত না করায় ১৬ হাজারের মধ্যে ৯ হাজার ৫৩২টি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বাকি ৬ হাজার ৪৬৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১ হাজার ৫১৯টি মাদরাসার শিক্ষকদের ৫০০ টাকা হারে বেতন দেয়া হতো। বর্তমানে বিদ্যমান ৬ হাজার ৪৬৮টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার মধ্যে ১ হাজার ৫০০ মাদরাসায় ১০০০ টাকা করে ভাতা দেয়া হচ্ছে। বাকি ৪ হাজার ৯৬৮টি ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকগণ বিনা বেতনে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
সরকার লক্ষাধিক প্রাইমারি স্কুলকে জাতীয়করণ ও রেজিস্টার্ড, কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে হাইস্কুলে শিক্ষার্থী জোগান দিচ্ছে। ৩৪ লাখ শিক্ষার্থীকে দুপুরের খাবার, ৭৮ লাখ ২৮ হাজার শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দিচ্ছে। এ সংখ্যা প্রতি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ পদক্ষেপ অবশ্যই প্রশংসনীয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, যেখানে মাদরাসা শিক্ষাকে টিকিয়ে রাখার জন্য ছাত্র সংকট নিরসনকল্পে কমপক্ষে ৪০ হাজার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা প্রয়োজন সেখানে ১টি মাদরাসাকেও জাতীয়করণ তো দূরে থাকুক এমপিওভুক্তও করা হয়নি। নেই টিফিন ব্যবস্থা, নেই উপবৃত্তি। অন্যদিকে শিক্ষার্থী সংখ্যা কম হলে দাখিল থেকে কামিল স্তর পর্যন্ত মাদরাসাসমূহের মঞ্জুরি বাতিল করা, শিক্ষকদের বেতন বন্ধ করার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আরও দুঃখজনক হলো, দীর্ঘ ৮ বছর মাদরাসা বোর্ডে নতুন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার মঞ্জুরি প্রদান বন্ধ রয়েছে। ৮ বছর পূর্বে ইবতেদায়ীকে এমপিওভুক্ত করার কথা বলে কোনো রূপ চিঠি ইস্যু না করে শুধুমাত্র টেলিফোনের মাধ্যমে দেয়া আদেশের ভিত্তিতে মঞ্জুরি বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বোর্ডের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞেস করা হলে কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। স্কুল বোর্ডের মঞ্জুরিপ্রাপ্ত নয় এমন হাজার হাজার কিন্ডারগার্টেন ও কমিউনিটি স্কুল বোর্ডে দরখাস্ত করে নির্ধারিত ফি দিয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানের নামে পরীক্ষা দিতে পারে অথচ মাদরাসা বোর্ডে এমন ব্যবস্থা নেই। তাই জমিয়াতুল মোদার্রেছীন শুকরিয়া মাহফিলে সঙ্গতকারণেই স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাসমূহকে জাতীয়করণ করা ও স্কুলের মতো সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জোর দাবি জানিয়েছে। এ সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থী সংখ্যার কোটা বেঁধে দিয়ে মাদরাসাসমূহ বন্ধের অপপ্রয়াস যেন চালানো না হয় এ বিষয়টির প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এ বিষয়টি এতই জরুরি যে আগামী দিনে মাদরাসা শিক্ষাকে টিকিয়ে রাখার জন্য এ সমস্যার সমাধান করা অতীব জরুরি। জমিয়ত আশা করে এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত এর সমাধান করা হবে।
৩। ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনতিবিলম্বে জমি বরাদ্দ ও অবকাঠামো নির্মাণ করা:-
শতাব্দীকালের দাবি পূরণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীসহ বর্তমান সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর এক অনন্য ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে প্রয়োজন অতি দ্রুত এর জন্য জমি বরাদ্দ ও অবকাঠামো নির্মাণ করা। মাদরাসা শিক্ষার জন্য একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ গুরুত্বের দাবি রাখে। জমিয়ত আশা করে সরকার বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করবে। ঢাকা শহরের যে কোনো শহরতলিতে জমি বরাদ্দ দিয়ে লাখ লাখ আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখের দোয়া নেয়ার সুযোগ নেবে। কোরআন, হাদিস, ফিকহ, আরবি সাহিত্য, দর্শন, তাসাওউফসহ মাদরাসার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ আরবি হওয়ায় এ বিশ্ববিদ্যালয়কে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজন আরবি ও ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে নিয়োগ দান করা। যোগ্য আলেমগণের সমন্বয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি দ্বীনি পরিবেশে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হবে এটাই জাতির প্রত্যাশা। আলহামদুলিল্লাহ, বর্তমান ভিসি, পরিদর্শক দুজনই আলেম। রেজিস্ট্রার, কন্ট্রোলার, ডেপুটিসহ প্রয়োজনীয় সব পদে আলেমগণের নিয়োগের ব্যবস্থা হলেই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য অর্জিত হতে পারে।
৪। মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের জন্য অতি দ্রুত সময়ে জমি বরাদ্দ ও অককাঠামো নির্মাণ করা:-
১৯৮০ সাল থেকে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার দাবি চলছে। বর্তমান সরকার এ দাবি পূরণ করে এক অবিস্মরণীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বর্তমানে এর প্রয়োজন লোকবল নিয়োগ করা, অতি দ্রুত সময়ে জমি বরাদ্দ ও অবকাঠামো নির্মাণ করা। এর অধিদপ্তরকে মাদরাসার অডিট, মনিটরিং ও নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারে এ মানে উন্নীত করা।
৫। মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নকল্পে জনবল কাঠামোতে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক অন্তর্ভুক্ত করা:-
মাদরাসা শিক্ষার মান উন্নয়নের নিমিত্তে সব স্তরে জনবল কাঠামোতে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক অন্তর্ভুক্ত করা। বিশেষ করে ফাজিল ও কামিল স্তরের জন্য অনতিবিলম্বে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা।
মাদরাসা শিক্ষায় স্তর ৫টিÑ ইবতেদায়ী, দাখিল, আলিম, ফাজিল (সাধারণ ও অনার্স), কামিল (হাদিস, তাফসির, ফিকহ, আরবি সাহিত্য)
দাখিল ও আলিম স্তর:-
দাখিল ও আলিম স্তরে স্কুল ও কলেজের নম্বরের সমতা প্রয়োজন। বাংলা ২০০, আরবি ২০০ ও ইংরেজি ২০০ নম্বর ঠিক রেখে বাকি বিষয়সমূহ ধারাবাহিক কারিকুলাম ও সিলেবাসের মাধ্যমের বিষয়ের জ্ঞান অর্জন করবে। তবে নম্বরের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বিষয়সমূহে নম্বর কমিয়ে সমতা আনা সম্ভব। এ ব্যবস্থা করা না হলে ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা ও বয়স অনুযায়ী অতিরিক্ত চাপের ভয়ে মাদরাসায় শিক্ষার্থী সংখ্যা কমতে থাকবে। এ স্তরে বিষয় বাড়ানো হলেও বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক বরাদ্দ না থাকায় পাঠদানে মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে।
স্কুলের কামিল পাস সহকারী শিক্ষকগণের সমপর্যায়ে মাদরাসার কামিল পাস শিক্ষকদের স্কেল প্রদান করে বৈষম্য দূর করতে হবে।
আলিম স্তরে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের মতো আবশ্যিক বিষয়ে বিষয়ভিত্তিক এবং ঐচ্ছিক প্রতি বিষয়ে ১ জন করে প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের ব্যবস্থা করা জরুরি। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীকে শুধুমাত্র নোট-গাইডের ওপর ভিত্তি করে পরীক্ষায় পাস করতে বাধ্য হচ্ছে, ফলাফল দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে।
দাখিল ও আলিম স্তরে লাইব্রেরি সমৃদ্ধ করা প্রয়োজন। একজন সহকারী লাইব্রেরিয়ান এমপিওভুক্ত করা অত্যাবশ্যকীয়। দাখিল ও আলিম স্তরে তথ্য-প্রযুক্তি বাধ্যতামূলক করা হলেও কোনো শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়নি।
ফাজিল স্তর
ফাজিল স্তরের জনবল কাঠামো খুবই নাজুক অবস্থা। এ স্তরে ৩ বছরের ১৪০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হয় এর মধ্যে ৮০০ নম্বর আবশ্যিক ৬০০ নম্বর ঐচ্ছিক। এ ১৪০০ নম্বরের জন্য মাত্র একজন আরবী প্রভাষক বরাদ্দ রয়েছে। কলেজে প্রতি বিষয়ের জন্য দুজন শিক্ষক এমপিওভুক্ত করা হলেও মাদরাসায় এ ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষক সংকটের কারণে এ স্তরে চরম অবস্থা বিরাজ করছে। বর্তমানে ফাজিল সাধারণে আরবি সাহিত্যে একজন শিক্ষক বরাদ্দ আছে, বাকি বাধ্যতামূলক ৭০০ নম্বরের জন্য (তাফসির, হাদিস, ফিকহ, উসূলে ফিকহ, আকায়েদ, ইংরেজি, বাংলা) কোনো শিক্ষক বরাদ্দ নেই। ঐচ্ছিক ৬০০ নম্বরের জন্য কোনো শিক্ষক নেই। কলেজের মতো বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা না হলে কোনো অবস্থাতেই মানসম্মত শিক্ষা আশা করা যায় না। ফাজিল স্তরে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ করা হলে এ সমস্যার অনেকটা সমাধান করা যেত।
কামিল স্তর
কামিল স্তরে আন্তর্জাতিক মানের চারটি বিভাগ চালু রয়েছে। প্রতি বিভাগে ১১০০ নম্বর পরীক্ষা দিতে হয়। মাদরাসার সর্বোচ্চ স্তর হিসেবে এ স্তরে কমপক্ষে ছয়জন অধ্যাপক প্রয়োজন। বর্তমানে দুজন সহকারী অধ্যাপক রয়েছেন। কামিল স্তরে নন এমপিওভুক্ত মাদরাসাসমূহে এই দুজন নিয়োগেরও ব্যবস্থা নেই। এ ক্ষেত্রে যেসব মাদরাসার শুধুমাত্র কামিল স্তর এমপিওভুক্ত হয়নি, সেসব মাদরাসাকে উচ্চ শিক্ষার স্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করা এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা জরুরি। (চলবে)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।