Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুই হাজার কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা

প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। অস্ট্রেলিয়ার পর এবার যুক্তরাজ্য শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে কার্গো বিমান প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ কারণে বাংলাদেশ শুধু আর্থিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, নিরাপত্তা সংক্রান্ত ভাবমর্যাদাও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিনষ্ট হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে বছরে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার কার্গো পণ্য ইউরোপ, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে যায়। কিন্তু যুক্তরাজ্যের এ নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে অস্ট্রেলিয়াতে কার্গোপণ্য পাঠানো বন্ধ থাকায় শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো কমেপ্লেক্সে আটকা পড়েছে রপ্তানীকারকদের কয়েক শত কোটি টাকার পণ্য। কিন্তু এ ব্যাপারে যেন কারো কোন মাথা ব্যথা নেই।
অপ্রতুল নিরাপত্তা ও বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশের অজুহাতে অস্ট্রেলিয়ার পর এবার যুক্তরাজ্য সরাসরি কার্গো বিমান পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলো। শুধু বাংলাদেশ বিমানই নয়, কার্গো বহনের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে কাতার, কুয়েত, সউদীয়া, এমিরেটস, সিঙ্গাপুর, ক্যাথে প্যাসিফিক ও মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সসহ বেশ কয়েকটি বিদেশী এয়ারলাইন্স। এতে বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়তে যাচ্ছে তৈরি পোশাক, সবজিসহ রফতানিমুখী বেশ কিছু পণ্য।
এ ব্যাপারে সিভিল এভিয়েশনের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।
সর্বশেষে গত রাত সাড়ে ৭টায় সিভিল এভিয়েশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ কে এম রেজাউল করিমের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমরা এখনো কোন চিঠিপত্র পাইনি। এর বেশি কোন কিছু জানাতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বার বার তাগাদা দেয়ার পড়েও নিরাপত্তা সংক্রান্ত শর্ত পূরণ করতে না পারায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যুক্তরাজ্য বলছে, শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে কোন কার্গো বিমান বৃটেনে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
গত মঙ্গলবার ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তার কারণে বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের কার্গো বিমান হিথ্রোতে অবতরণ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্য। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত কার্গো বিমান চলাচল স্থগিত থাকবে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিশ্বমানের না হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, বেসামরিক বিমান চলাচল ও বিমানবন্দর নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাজ্য সরকার। ভিন্ন রুট ব্যবহার করে যে সব বিমান সংস্থা বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে কার্গো পরিবহন করছে তারা তা শর্তসাপেক্ষে করতে পারবে।
তবে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের আগে কার্গোবাহী এসব বিমান পুনঃপরীক্ষা করা হবে। কার্গো পরিবহনে নিয়োজিত বিমান সংস্থা কিংবা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে বিস্তারিত তথ্যের জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের ট্রান্সপোর্ট বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রায় এক মাস আগে যুক্তরাজ্য এভিয়েশন গোয়েন্দাদল তাদের সর্বশেষ রিপোর্টে বিমানে ঢাকা-লন্ডন সরাসরি যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করলেও কার্গোপণ্য পরিবহনে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারা জানিয়েছে, বিমানের কার্গো রফতানি টার্মিনালটি বহিরাগত জনবল দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এ ধরনের জনবল মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। রফতানি টার্মিনালে কর্মরত ৩০০ জনবলের মধ্যে মাত্র ৬০ জন বিমানের নিজস্ব। বাকিরা বিভিন্ন সিএন্ডএফ এজেন্ট ও বহিরাগত। এদের মধ্যে চোরাচালানসহ বিভিন্ন মামলার আসামিও আছে। নামমাত্র স্ক্যানের পর এরা টার্মিনালে প্রবেশ করছে। একইভাবে স্ক্যান ছাড়াই অবাধে পণ্যসামগ্রীও বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে উঠানো হচ্ছে। এ অবস্থায় কার্গো পণ্যের সঙ্গে বোমা বা অন্য কোনো এক্সপ্লোসিভ বিমানের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়ার মতো আশঙ্কার কথাও বলা হয়েছে যুক্তরাজ্যের রিপোর্টে। নিরাপত্তা শিথিলতায় কার্গো ফ্রেটগুলো যেসব দেশের বিমানবন্দরে যাচ্ছে সেখানে বড় ধরনের নাশকতার আশঙ্কাও রয়েছে। তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, অবিলম্বে এ অবস্থার উন্নতি না হলে তারা ঢাকা থেকে যুক্তরাজ্যে কার্গো পরিবহন বন্ধ করে দেবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, কার্গো পরিবহনে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য। এদিকে বিমানের কার্গো কমপ্লেক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়ায় গত তিন মাসেও অস্ট্রেলিয়া তাদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেনি। গত ডিসেম্বর থেকে দেশটি বিমানে কার্গো নিচ্ছে না। এতে প্রতিদিন গড়ে অর্ধশত কোটি টাকার ব্যবসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদাও নষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থায় যুক্তরাজ্যে কার্গো পরিবহন বন্ধ হলে মাসে দুই হাজার কোটি টাকা হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
কার্গো শাখা সূত্রে জানা গেছে, শর্তসাপেক্ষে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে সরাসরি কার্গো রফতানি করতে প্রয়োজনীয় সনদ ‘এয়ার কার্গো সিকিউরিটি-৩ (এসিসি)’ ও ‘রেগুলেশন এজেন্ট-৩ (আরএ)’ সনদ নবায়ন করেছে। গত জানুয়ারিতে তিন মাসের জন্য বিমানকে এই সনদ দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কার্গো কমপ্লেক্সের জনবল কাঠামো ঠিক না হলে মার্চের পর তারা আর এই সনদ নবায়ন করবে না। এতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে সব ধরনের রফতানি কার্যক্রম।
জানা গেছে, গত ১৯ ডিসেম্বরের পর বিমানের কার্গো ভিলেজ থেকে শুধু লাশ ও ২ গ্রাম ওজনের কূটনৈতিক ডকুমেন্ট ছাড়া অন্য কোনো পণ্য অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে না। এ কারণে কার্গো রফতানি টার্মিনালে অস্ট্রেলিয়াগামী রফতানিযোগ্য পণ্যের স্তূপ জমে গেছে। বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ীরা অন্য পথে তাদের পণ্য পাঠানোর চেষ্টা করছেন। এতে অধিকাংশ ব্যবসায়ীকেই লোকসান গুনতে হচ্ছে।
বিজিএমইএ’র একজন কর্মকর্তা জানান, আকাশপথে অস্ট্রেলিয়ায় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ও নমুনা পাঠানোর সুযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিকল্প পথে অন্য দেশের আশ্রয় নিতে হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন সময় নষ্ট হচ্ছে তেমনি আর্থিক ব্যয়ও বাড়ছে। এখন ইইউ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে বিপদে পড়বেন দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীরা।
বৃটেনের নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তারা এর আগে বিবিসিকে বলেছিল, এশিয়ার মধ্যে নিরাপত্তার ঝুঁকিতে রয়েছে শুধু ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যেসব দেশের বিমানপথ রয়েছে, তার মধ্যে নিরাপত্তার ঝুঁকিতে থাকা বিমানবন্দরগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ব্রিটেন। ওই তালিকাতেই এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
মিশরের সিনাইয়ে জঙ্গিদের বোমায় রাশিয়ার মেট্রোজেট বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিশ্বের অনেক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য। দেশটি এর দৃষ্টিতে নিরাপত্তার ঝুঁকিতে থাকা বিমানবন্দরগুলোকে চিহ্নিত করেছে।
ব্রিটেনের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশের বিমানপথ রয়েছে। এগুলো ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে উত্তর আফ্রিকার মরোক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়ায় কয়েকটি বিমানবন্দর রয়েছে। এই তিনটি দেশেই আইএসের উপস্থিতি রয়েছে। এ বছর তিউনিসিয়ায় দুটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ব্রিটেনের ৩১ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। পর্যটন এলাকায় আরো হামলার ব্যাপারে সন্ত্রাসীরা তিউনিসিয়ার কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দিয়েছে। বৃটেন বলছে, তুরস্কের ইস্তাম্বুুল, সউদী আরবের রিয়াদ ও জেদ্দা, কেনিয়ার নাইরোবি বিমানবন্দরও নিরাপত্তার ঝুঁকিতে রয়েছে।
গত বছর ব্রিটেনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাগরিকদের বিদেশে ভ্রমণের ব্যাপারে সতর্কতা জারি করে। ইরাক ও সিরিয়ার জঙ্গি সংগঠনগুলো থেকে ব্রিটিশ নাগরিক ও এর স্বার্থের ওপর হামলার হুমকি বেড়ে যাওয়ায় দেশটি এমন পদক্ষেপ নেয়। সতর্কবার্তায় নির্দিষ্ট কয়েকটি বিমান ও বিমানবন্দরের কথা উল্লেখ করে। সউদী আরবে ভ্রমণের ব্যাপারে নাগরিকদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক করে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিমান নিয়মিতভাবে জেদ্দা ও রিয়াদে যায়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠেছে। বিশেষ বাহিনী নিয়োগ দেয়ার পরেও থেমে নেই চোরাচালান। কথিত কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে বিমানবন্দরে ঢুকে পড়ছে চোরাকারবারীরা। অথচ সাধারণ যাত্রী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের প্রবেশের সময় যতসব কড়াকড়ি তল্লাশি ও বাধাবিঘœ পোহাতে হচ্ছে। গত চার মাস ধরে দর্শনার্থী ও যাত্রীদের আত্মীয়-স্বজনদের বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। এতে করে সাধারণ যাত্রী ও তাদের স্বজনদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিমানবন্দরে প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ হলেও চোরাই সিন্ডিকেটের সদস্যরা ঠিকই নির্বিঘেœ প্রবেশ করছে। এ অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। তারা বলছেন, যাত্রী ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে না দেয়াতে অনেক মহিলা যাত্রীদের লাগেজ ও শিশুদের বহন করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নিরাপত্তার অজুহাতে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ করে দেয়ার পরেও চোরাকারবারীদের তৎপরতা থেমে নেই। রয়েছে কার্গো কমপ্লেক্সে অবাধে প্রবেশের সুযোগ।
সরেজমিন কার্গো কমপ্লেক্সের রানওয়েতে গিয়ে দেখা গেছে, আইডি কার্ড, অ্যাপ্রোন কিংবা কোনো ধরনের পরিচয়পত্র ছাড়াই শত শত মানুষ কমপ্লেক্সে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। ওই সিন্ডিকেটের সদস্যরা বিদেশ থেকে আসা মূল্যবান প্যাকেট-কার্টন ছিঁড়ে মোবাইল সেট, গার্মেন্টসামগ্রী, কেমিক্যাল বের করে ওই প্যাকেটে অন্য দ্রব্যসামগ্রী কিংবা নকল ও ভেজালসামগ্রী ঢুকিয়ে দিচ্ছে। প্রকাশ্যে এভাবে কার্টন খোলার ঘটনা ঘটলেও কেউ বাধা দিচ্ছে না। গ্রিন চ্যানেল গোডাউনে শুল্কমুক্ত মালামাল থাকার নিয়ম থাকলেও সেখানে রাখা হচ্ছে শুল্কযুক্ত মালামাল। সময়মতো লোডার, ট্রলি, ফর্কলিফট না থাকায় সেসব মাল বের করা যায় না। নিয়ম অনুযায়ী টার্মিনালের লোডাররাই মালামাল বের করে দেয়ার কথা। কিন্তু সময়মতো কোনো লোডার পাওয়া যায় না। টাকা ছাড়া তারা কোনো কাজই করে না।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সিভিল এভিয়েশন, বিমান, কার্গো টার্মিনালের কর্মকর্তা-কর্মচারী, কুরিয়ার সার্ভিস, থানা পুলিশ, বিমান সিকিউরিটি, কাস্টমস, এপিবিএন (আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন)সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার যোগসাজশে গড়া একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন থেকে এই লুটপাটের সঙ্গে জড়িত। আগে বিলসংক্রান্ত সবকিছু ম্যানুয়ালি হতো। সম্প্রতি সবকিছু কম্পিউটারাইজড করা হয়েছে। তারপরেও কিভাবে পণ্যসামগ্রী বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে যাচ্ছে এ নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সরাসরি ব্রিটিশ গোয়েন্দা টিমও একাধিক বার এসব ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে। গত তিন মাসে বৃটেনের একাধিক টিম এ নিয়ে সিভিল এভিয়েশন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকও করেছেন। কিন্তু তার পরেও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোন সাফল্য দেখাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুই হাজার কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ