পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : হরতালের সমর্থনে জামায়াতের নেতাকর্মীদের রাজধানীর রাজপথে দেখা না গেলেও হরতাল বিরোধী মিছিল সমাবেশে সরব ছিল আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
গতকাল বুধবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্নœ স্থানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন হরতাল বিরোধী মিছিল-সমাবেশ করে। সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আলাদা আলাদা সমাবেশ করেছে বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন। এর আগে বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে সেখানে জড়ো হয় কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা। সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এলাকায় মিছিল করে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। মিছিল শেষে সংগঠনের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওসার ও সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথের নেতৃত্বে সমাবেশ করে নেতাকর্মীরা। সমাবেশে মোল্লা মো. আবু কাওসার বলেন, আমরা হরতালের নামে কোন অরাজকতা চাই না। যে কোন অরাজকতাকে দেশের প্রতিটি শান্তিপ্রিয় মানুষ প্রতিহত করার জন্য প্রস্তুত। উন্নয়নের জয়-জয়কারকে কোন অরাজকতা দিয়ে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। এ অবৈধ হরতাল আজ দেশের মানুষ মানেনি। আজ রাস্তায় মানুষ বের হয়ে প্রমাণ করেছে এ হরতাল তারা মানে না।
জামায়াতের ডাকা হরতালের প্রতিবাদে রাজধানীর মিরপুরেও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এতে নেতৃত্ব দেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গাজী মেজবাহ উল হক সাচ্চু। বেলা ১১টার দিকে মিরপুর ১৪ নম্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে হরতাল বিরোধী সমাবেশ হয়।
ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) যুবলীগ সকালে একটি মিছিল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসে। এরপর শুরু হয় সমাবেশ। সমাবেশে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বক্তব্য রাখেন।
আওয়ামী ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা দেলোওয়ার হোসেনের নেতৃত্বে সকালে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসে হরতাল বিরোধী একটি মিছিল। সেখানে তারা সমাবেশ করে। এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি মাওলানা ইলিয়াছ হোসাইন বিন হেলালী।
এদিকে, হরতালের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এ মিছিল বের করে। জামায়াতের ডাকা হরতালের প্রতিবাদে সমাবেশ থেকে ‘দেশবিরোধী হরতাল মানি না, মানবো না, ইস্যুবিহীন হরতাল জনগণ মানবে না’ এমন নানা শ্লোগান দেয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। মিছিল ও সমাবেশে ছিলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন, ঢাবি সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, রফিকুল ইসলাম রনিসহ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও ঢাবি ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।
রাজধানীর ডেমরা-যাত্রাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশিদ মুন্নার নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা হরতালবিরোধী মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। মিছিলটি যাত্রাবাড়ি, কাজলা-শনির আখড়া হয়ে শহীদ ফারুক সড়ক এবং সায়েদাবাদ হয়ে যাত্রাবাড়ি চৌরাস্তায় শেষ হয়। এর আগে মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তার মোড়ে মোড়ে টহল দেন নেতাকর্মীরা।
এসব ছাড়াও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হরতালবিরোধী সমাবেশ করা হয়। এছাড়া রাজধানীর পুরান ঢাকা, মিরপুর, বাড্ডা, যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদপুর, মতিঝিল, শাহবাগ, নিউ মার্কেট, ধানমন্ডি, কাওরান বাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠন হরতালবিরোধী মিছিল সমাবেশ করে।
এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রমনা থানা আওয়ামী লীগও হরতাল বিরোধী মিছিল ও সমাবেশ করে। সেখানে আ’লীগের প্র্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম মুরাদ, কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ খান, কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।