পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগ দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ১০
এম.হাসানুল হক উজ্জ্বল, বিয়ানীবাজার (সিলেট) থেকে : বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের একটি কক্ষ থেকে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কলেজের ওই কক্ষ থেকে গুলির শব্দ শুনে ক্যাম্পাসে থাকা পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবকের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। যুবকের ডান চোখের উপরে গুলির আঘাত লেগে মাথার পেছন থেকে বেরিয়ে যায়। এ সময় কক্ষে অন্য কাউকে পায়নি পুলিশ। এমনকি কক্ষে কোন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার পর থেকে বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজ অনিদৃষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় এখনো মামলা হয়নি। তবে পুলিশ এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে আটক করেছে।
জানাযায়, সোমবার সকালে দুই ছাত্রের মধ্যে কলেজ ক্যাম্পাসে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর কয়েকজন ছাত্র ইংরেজি বিভাগের একটি ক্লাস রুমে প্রবেশ করে। এর কিছুক্ষন পর শিক্ষকসহ স্থানীয়রা একটি গুলির শব্দ শুনতে পান। সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লিটন আহমদ লিটু নামক এক যুবকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় শিক্ষার্থী ও পুলিশ তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। নিহত লিটু পৌরশহরের নয়াগ্রাম রোডে একটি মোবাইল দোকানের মালিক। তার বাড়ি পৌরসভার পন্ডিৎ পাড়া এলাকায়। তবে কেন তিনি কি কারণে কলেজের ওই কক্ষে অবস্থান করছিলেন তা তাৎক্ষনিকভাবে জানা যায়নি। তার মৃত্যুটি চোরাগোপ্তা হামলা না ছাত্রলীগের বিবাদমান গ্রæপের মধ্যে অভ্যন্তরিন কোন্দল থেকে ঘটেছে এ বিষয়ে তাৎক্ষনিক কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বিষয়টি তারা তদন্ত করছেন। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে তারা অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।
কলেজের অধ্যক্ষ দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ জানিয়েছেন, লিটু বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজের ছাত্র নয়। সে কেন বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজে প্রবেশ করেছে তাও তারা বলতে পারছেন না। বিকেলে কলেজ কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসে কলেচ অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাক সরকার জানান, সকালে কলেজের প্রথম বর্ষের দুই ছাত্রের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ সময় পুলিশের পাঁচ সদস্য কলেজের প্রধান ফটকে দায়িত্বে ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা ছাত্ররা বলেন, সকালে কলেজ ফটকে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ঘটনা ঘটে।
পাবনা জেলা সংবাদদাতা, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অনন্ত ১০জন কমবেশী আহত হয়েছেন। দফায় দফায় ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষ চলাকালে ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু হলের দুইটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। পাবসা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, পাবিপ্রবি’র বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহেদ সিদ্দিকী শান্ত ও সম্পাদক ওয়ালী উল্লাহ পক্ষের সাথে সহ-সভাপতি আরাফাত গ্রুপের দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে সোমবার ভোরে আরাফাত গ্রুপের সমর্থকরা শান্ত গ্রুপের এক সমর্থককে ভোরে মারপিট করে। সকাল ১০টার দিকে এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। উভয় গ্রুপ লাঠি-সোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুপুর পর্যন্ত কয়েক দফা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে দিগবিদিগ ছুটাছুটি করতে থাকে। ইটপাটকেলের আঘাতে ১০ জন আহত হন। আহতদেও অধিকাংশই সাধারণ শিক্ষার্থী। পওে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সর্বশেষ পাওয়া খবওে জানা গেছে, এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাজনীতি অভিজ্ঞ এক ব্যক্তি বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে নির্বাচিত সংসদ না থাকায় এহেন ঘটনা ঘটছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।