পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ভারত থেকে নির্মাণ সামগ্রী আমদানি, ভারতীয় ঠিকাদারি কোম্পানিকে কাজ প্রদান, সেদেশের জনবল দিয়ে কাজ করানো এবং পরিশোধে বিলম্ব হলে দ-সহ বেশ কয়েকটি কঠিন শর্তে ১৬ হাজার কোটি (২০০ কোটি ডলার) টাকা ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) চূড়ান্ত ঋণের চুক্তি সই হয়েছে। গত বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নোরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে সফরের সময় বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া এ ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
বুধবার বিকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সম্মেলন কক্ষে এই চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশের পক্ষে ইআরডির জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন এবং ভারতের পক্ষে দেশটির এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান জাদুবেন্দ্র মাথুর। এসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক এবং ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষ বর্ধন শ্রীংলাসহ বাংলাদেশ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২০১০ সালে ভারতের কাছ থেকে প্রথম ১০০ কোটি ডলারের ঋণের এলওসি চুক্তি করে সরকার। ওই ঋণে ১৫টি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, যার সাতটি শেষ হয়েছে, বাকিগুলো চলমান।
নতুন ঋণের চূড়ান্ত চুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন ২০০ কোটি ডলারের ঋণের সব শর্তই ২০১০ সালে চুক্তি হওয়া প্রথম ১০০ কোটি ডলারের ঋণের মতোই হবে।
সে অনুযায়ী এতে বলা হয়, ভারতীয় ২০০ কোটি ডলারের ঋণের জন্যও প্রথম এলওসির মতো মাত্র ১ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। কমিটমেন্ট ফি দিতে হবে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ হারে। আর ৫ বছরের রেয়াতকালসহ ২০ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ে অর্থ ব্যয় নিশ্চিত করতে না পারলে ২ শতাংশ হারে সুদের অতিরিক্ত দন্ড সুদ দিতে হবে। শর্ত হিসেবে চলমান ঋণের মতো নতুন প্রকল্পগুলোর অন্তত ৬৫-৭৫ শতাংশ পণ্য ও সেবা অবশ্যই ভারত থেকে আনতে হবে।
নতুন ২০০ কোটি ডলার ঋণের অর্থে বাস্তবায়নের জন্য সরকার ১৪টি উন্নয়ন প্রকল্প বাছাই করেছে, যার মধ্যে রেলের তিন প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৯ কোটি ডলার।
সড়ক, নৌ, রেলপথ, তথ্যপ্রযুক্তি ও বিদ্যুৎ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে ১৩টি প্রকল্প বাস্তবায়নে দুই দেশের মধ্যে ওই সমঝোতা চুক্তি হয়। নির্বাচিত ১৩ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩৭ কোটি ডলার। এর মধ্যে আছে রেলপথের খুলনা-দর্শনা সেকশনকে ডাবল লাইনে উন্নীতকরণ প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮ কোটি ডলার। রেলের দ্বিতীয় প্রকল্প পার্বতীপুর-কাওনিয়া রেল লাইনকে ডুয়েল গেজে উন্নীতকরণ; ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ কোটি ডলার। রেলের তৃতীয় প্রকল্প সৈয়দপুর রেল স্টেশনের ওয়ার্কশপ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ১০ কোটি ডলার।
পরিবহন খাতের মধ্যে বিআরটিসির জন্য ৫০০টি ট্রাক সংগ্রহ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৮১ লাখ ডলার। এছাড়া ৫ কোটি ৮৪ লাখ ডলার দিয়ে কেনা হবে বিআরটিসির জন্য দ্বিতল বাস। এ খাতের আরেক প্রকল্প হচ্ছে, সড়ক ও জনপথের জন্য উন্নত যন্ত্রপাতি আমদানি প্রকল্প, যার জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি ৯১ লাখ ডলার।
স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে ভারতীয় ঋণে চারটি মেডিকেল কলেজ ও একটি জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২ কোটি ডলার।
অন্যগুলোর মধ্যে ১২ জেলায় হাইটেক আইটি পার্ক নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ কোটি ১০ লাখ ডলার।
নৌ পরিবহন খাতে আশুগঞ্জ নদী বন্দরের আধুনিকায়ন প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭ কোটি ৪২ লাখ ডলার। এ খাতের আরেকটি প্রকল্প হচ্ছে আশুগঞ্জ বন্দরের অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপো উন্নয়ন প্রকল্প। এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ কোটি ৯১ লাখ ডলার।
ভারতের নতুন ঋণের অর্থে ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং দুটি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট উন্নয়ন করার কথাও রয়েছ। এজন্য ৩৫ কোটি ১৩ লাখ ডলার ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষে বছরে আরও ১ লাখ শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।