পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগের অভিনেতা চিত্রনায়ক সোহেল রানা ও নায়িকা নুতন জুটি হলেন। এ জুটি সিনেমা হলে দেখানো চলচ্চিত্র নয়, রাজনীতির নেতৃত্বে জুটি হলেন তারা। চলচ্চিত্রের কোনো পরিচালক তাদের নিয়ে ছবি বানাচ্ছেন না; তারা মূলত সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচ এম এরশাদ পরিচালিত এবং গৃহপালিত বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ নির্দেশিত ‘জাতীয় পার্টি’ নামের দলে একসঙ্গে কাজ করবেন। সিনেমায় নুতনের ড্যান্সের দৃশ্য মনে আছে কি? আর সোহেল রানার ‘এপার ওপার’ সিনেমার ‘ভালবাসার মূল্য কত’ গান! দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘স্বামী-স্ত্রীর লড়াই’ দল হিসেবে পরিচিত এরশাদের জাতীয় পার্টির সহযোগী সংগঠনের নের্তৃত্ব পেয়েছেন নায়ক সোহেল রানা ও নায়িকা নুতন। বাংলা সিনেরমা স্বর্ণযুগ হিসেবে পরিচিত সত্তর-আশি দশকের এই নায়ক-নায়িকা জাতীয় সাংস্কৃতি পার্টির নের্তৃত্ব দেবেন। বোঝাই যাচ্ছে তারা সিনেমার কোনো গল্পে অভিনয় নয়; এরশাদের জাতীয় পার্টির নেতানেত্রী হিসেবে জনগণের সেবায় (!) রত থাকবেন। ‘স্বামী স্ত্রীর লড়াই’ দলের অঙ্গ সংগঠনে পরিচালকের ‘যখন যেমন ইচ্ছা তেমন’ করবেন। গতকাল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসুদ পারভেজ সোহেল রানাকে আহ্বায়ক, চলচ্চিত্র অভিনেতা নাজমুল খানকে সদস্য সচিব এবং চিত্র নায়িকা নতুনকে যুগ্ম আহবায়ক করে জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির ৪১ সদসের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করেছেন। দলের দপ্তর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে এই সংগঠনের নেতৃত্বে ছিলেন ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ চলচিত্রের সফল পরিচালক বাদল খন্দকার।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় দলের চেয়ারম্যান এরশাদ গঠনতন্ত্রের ৩৯ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সোহেল রানা-নতুন জুটির এই কমিটি অনুমোদন করেছেন। ৪১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটিতে নাটক সিনেমা ও সংগীত জগতের আরো কয়েকজন সদস্য রয়েছেন। নৃত্য পরিচালক এস আলম, সঙ্গীত শিল্পী সুলতানা চৌধুরী, হীরা নওশের, সাংস্কৃতিক সংগঠক ফরিদা ইয়াসমিন এবং শারমীন আক্তার, চিত্র নায়িকা সিমলা, মড়েল নাজিয়া আহমদ মৌ, পায়েল রহমান মাটি, ইশরাত জাহান টুলু, শ্যামলি মেহজাবিন, নার্গিস রহমান, সুলতানা হায়দারসহ একঝাক নায়িকা-অভিনেত্রী-গায়িকা-নৃত্যশিল্পীর সমাবেশ ঘটিয়েছেন। উল্লেখ্য, এই সংগঠনের নেতৃত্বে একসময় ছিলেন সংগীত পরিচালক আলম খান, শক্তিমান অভিনেতা আহমদ শরীফ। তবে মেধাবী ধীরস্থির এবং ব্যাক্তিত্বের কারণে সোহেল রানা দলের অনেকের কাছে খুবই জনপ্রিয়। সোহেল রানা এক সময ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল সংসদের সভাপতিও ছিলেন। জাতীয় পার্টির জনপ্রিয় নেতা সোহেল রানা নায়িকা নুতন-সিমলাকে নিয়ে জাতীয় সাংস্কৃতির পার্টিকে কতদূর নিয়ে যাবেন?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।