পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে বিভিন্ন কাঁচাবাজারে অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে টমেটোর দাম। গত সপ্তাহে টমেটোর দাম ছিল প্রকারভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। গতকাল তা বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি। শুধুমাত্র টমেটো নয় প্রায় সব সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। শুক্রবার রাজধানীর নিউমার্কেট, পলাশী, হাতিরপুলসহ কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। বিক্রেতরা বলছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা থাকার কারণেই কাঁচাবাজারে তার প্রভাব পড়েছে।
এদিকে ভারতীয় চালের আমদানি ও ভিয়েতনামের চালবাহী জাহাজের আগমনের খবরে মোটা চালের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৩ থেকে ৫ টাকা কমেছে। তবে একই সময়ে অন্যান্য চালের দাম কমেছে মাত্র ১ টাকা। তবে মিল ও পাইকারি পর্যায়ে সব ধরনের চালে কেজিতে কমেছে। খুচরা পর্যায়ে খুব বেশি প্রভাব পড়েনি। ফলে স্বস্তি ফেরেনি ভোক্তাদের মাঝে।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ইতোমধ্যে সব ধরনের চালে ২ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। পাইকারি বাজারে সবেমাত্র চালের দাম কমানো হয়েছে; আমরাও চালের দাম কমিয়েছি। আগের চালগুলো বিক্রি শেষ হলে নতুন চাল আনার পর খুচরা বাজারে চালের দাম আরও কমবে।
এদিকে কয়েকমাস আগে দেশের হাওর অঞ্চলে অকাল বন্যার পর অস্থির হয়ে উঠে চালের বাজার। তখন ৩২ টাকার মোটা চালের দাম ওঠে ৪৮ টাকায়। এই পরিস্থিতিতে দাম কমাতে চাল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে শুল্ক কমিয়ে দেয় সরকার।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম খুচরা বাজারে ১-২ টাকা পর্যন্ত কমেছে। মোটা স্বর্ণা চাল ২ টাকা কমে প্রতি কেজি ৪৬ টাকা, পারিজা চাল ৪৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মিনিকেট (ভালো মানের) ২ টাকা কমে ৫৬-৫৮ টাকা, মিনিকেট (সাধারণ) ৫৪-৫৬ টাকা, বিআর ২৮ ৫০ টাকা, পাইজাম চাল ৪৮-৫০ টাকা, বাসমতি ৫৪ টাকা, কাটারিভোগ ৭৪-৭৬ টাকা এবং পোলাও চাল (পুরাতন) ১০০ টাকা, (নতুন) ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বাজার দর পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি চালে ১ থেকে ২ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
এদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচা পণ্যের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে তুলনায় প্রতি কেজি বেগুন ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা, শসা ২০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা। ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি পিস ৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। করলা কেজি প্রতি ২৫ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ১০ টাকা বেড়ে ৩০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা, পটল ৪৫ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মূলা ৪০, কচুর লতি ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ১০০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতিটি ৭০ টাকা, গাজর ৬০, কাঁকরোল ৬৫ টাকা, পুঁইশাক প্রতি আটি ২০ টাকা, লালশাক ১০ টাকা ও লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, ধনে পাতা আটি ১০ থেকে ১৫ টাকা।
মুদি বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ছোলা ৮৫ টাকা; দেশি মুগ ডাল ১৩০ টাকা; ভারতীয় মুগ ডাল ১২০ টাকা; মাসকলাই ১৩৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১২৫ টাকা; ভারতীয় মসুর ডাল ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৫ লিটারের ভোজ্য তেলের বোতল ব্র্যান্ড ভেদে ৫০০-৫১০ টাকা; প্রতি লিটার ভোজ্য তেল ১০০-১০৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দারুচিনি ৩৬০ টাকা; জিরা ৪৫০ টাকা; শুকনা মরিচ ২০০ টাকা; লবঙ্গ ১৫০০ টাকা; এলাচ ১৬০০ টাকা; চীনের আদা ১২০ টাকা এবং ক্যারালা আদা ১৪০ টাকা; হলুদ ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩৫০-৪৫০ টাকা, কাতলা ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৮০ টাকা, সিলভার কার্প ২০০-২৫০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০-৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাঙ্গাস প্রতি কেজি ১৫০-২৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, মাগুর ৬০০-৮০০ টাকা, প্রকার ভেদে চিংড়ি ৪০০-৮০০ টাকা, প্রতিটি ইলিশ ৮০০-১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে; প্রতি কেজি ইলিশের দাম রাখা হচ্ছে ১৬০০ টাকা।
ব্রয়লার মুরগি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা; লেয়ার মুরগি ২২০ টাকা; দেশি মুরগি প্রতি পিস ৪০০ টাকা; পাকিস্থানি লাল মুরগি ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস ৫০০ টাকা; খাসির মাংস ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।