পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, জাতিসংঘ ঘোষিত সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) অর্জনে বিশ^বাণিজ্যে সমক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সম্মিলিত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশ সফল ভাবে এমডিজি অর্জন করে পুরষ্কৃত হয়েছে। এসডিজি অর্জনে সফল ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এসডিজি অর্জন করতে সক্ষম হবে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে দ্রæত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নন-ফরমাল সেক্টরে ক্ষুদ্র, মাঝারি বাণিজ্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। বাংলাদেশের জনশক্তি বড় সম্পদ। কর্মক্ষম মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার বিকল্প নেই। বিশ^ব্যাংকের সহযোগিতায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ দ্রæত এগিয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, বিশ^বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা দূর এবং এলডিসি ভুক্ত দেশগুলোর বাণিজ্য সমক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ট্রেড রিলেটেড সকল সংস্থাকে একত্রিত করে পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।
গতকাল অনুষ্ঠিতব্য ৬ষ্ঠ গেøাবাল রিভিউ অফ এইড ফর ট্রেড-২০১৭ এর ‘এইড এন্ড ইনক্লুসিভ ট্রেড: ফাইনেন্সিং ট্রেড কানেকটিভিটি এন্ড দি এসডিজি’স’ শীর্ষক হাই লেভেল বিষয়ভিত্তিক সেশনে বক্তব্য প্রদানের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে শুণ্য হাতে যাত্রা শুরু করে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৯০ সালে গড়ে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ শতাংশের কম, ২০১০ থেকে ২০১৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৪ শতাংশে। চলতি অর্থ বছরে এ প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২৪ ভাগ। বাংলাদেশ সরকার গৃহীত ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা সফল বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের কাছাকাছি থাকবে। ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে এসডিজি অর্জনের পথ সুগম হবে। এতে বাংলাদেশের দারিদ্র বিমোচন, নারী-পুরুষের সমতা, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ এসডিজি অর্জনের সেক্টর গুলোতে দ্রæত এগিয়ে যাবে। আরো দুইটি অর্থাৎ ৮ম এবং ৯ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা সফল বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এসডিজি অর্জন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশে^র মধ্যে অসাধারণ সফলতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য বেড়েই চলছে। এ মহুর্তে বাংলাদেশ চাহিদার ৬ ভাগের বেশি তৈরী পোশাক রপ্তানি করে বিশে^র মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানি কারক দেশের স্থান দখল করে আছে। রপ্তানির অন্যান্ন সম্ভাবনাময় সেক্টরগুলো হলো তথ্য প্রযুক্তি, জাহাজ নির্মাণ, ঔষধ, সিরামিক, ফার্নিচার ও ইলেক্ট্রনিক্স। কৃষি খাতেও বিপুল সম্ভবনা রয়েছে। হিমায়িত ও সামদ্রিক মাছ রপ্তানিতে এখন বাংলাদেশের অবস্থান ৫ম। সেবা খাতেও বাংলাদেশ বিদেশে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছে, বর্তমানে রেমিটেন্সের পরিমান ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কেদ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ প্রায় ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছর রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৪ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ এখন দেশের বড় বড় প্রকল্প নিজ অর্থায়নে বাস্তবায়নে সক্ষম। এ সেশনে জুলিয়া নেইলসনের সঞ্চালনায় বিষয়ের উপর কীনোট উপস্থাপন করেন ইউরোপিয়ন কমিশনের ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক কমিশনার নিভেন মিমিকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।