Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এটা আমাদের দেশপ্রেম ডলারের রিজার্ভ বাড়াবার মওকা !

ভারতীয় রফতানীকারকদের সাফকথা

| প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে : চালের বাজার দর ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রাখার জন্য সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্যটির আমদানী শুল্ক ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার পরও উত্তরাঞ্চলের খুচরা বাজারে এর প্রভাব তেমন একটা পড়েনি।
গত এক সপ্তাহ ধরে বগুড়া, সান্তাহার , ঈশ্বরদী, নওগাঁ ও জয়পুরহাটের অর্ধ শতাধিক বড় আমদানীকারক, মিল মালিক পাইকার আড়তদারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের তদারকি ও নির্দেশনা এবং নিজেদের দায়বদ্ধতা থেকে তারা চালের দাম পাইকারী পর্যায়ে কেজি প্রতি ৩/৪ টাকা করে কমিয়ে দিলেও খুচরা পর্যায়ে এর প্রভাব পড়েনি । এদিকে বাংলাদেশে চালের সংকট, উর্ধমুল্য ও আমদানী শুল্ক হ্রাসের খবর জানার পর ভারতের রফতানী কারকরা স্বার্থপরের মতো চালের রফতানী মুল্য স্থান ও প্রকারভেদে টন প্রতি ২৫ থেকে ৫০ ডলার পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে । এর ফলে চালের শুল্ক হ্রাসের বিষয়টি কার্যত কোন কাজে আসছেনা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বগুড়া , শেরপুর , নওগাঁ এবং হিলির কয়েকজন আমদানীকারক ইনকিলাবকে বলেছেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এখন মোটা চাল ৩২/৩৩ টাকায় এবং স্বর্ণা জাতের চিকন চাল খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ৩৬/৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারতে চালের কোন সংকটও নেই ।
তারপরও প্রতিবেশি দেশে সংকটের সুযোগ নিয়ে চালের রফতানি মুল্য হঠাৎ বাড়িয়ে দেয়া অবন্ধু সুলভ আচরন বলে মনে হয়েছে দেশীয় আমদানীকারকদের কাছে। বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় রফতানিকারকদের সাথে কথা বললে ভারতীয় রফতানিকারকরা সাফ বলে দিয়েছেন এটা তাদের ব্যবসায়িক পলিসি, পাশাপাশি ডলারের মজুদ বাড়ানোর মওকা এবং এটা তাদের দেশ প্রেমের নিদর্শনও বটে !
এদিকে খুচরা বাজার পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে ঈদের পরে খুচরা বাজারে চালের দাম কোথাও ১ টাকা কোথাও বা দুটাকা করে কমেছে কেজিতে। বগুড়ার অবসর প্রাপ্ত একাউন্টস আমির আলীর মতে চিকন / মোটা নির্বিশেষে চালের দাম ৩৫ টাকার মধ্যে থাকলে নি¤œ ও মধ্যবিত্ব শ্রেনীর ক্রেতাদের জন্য স্বস্তি দায়ক হতো ।
এদিকে খুচরা বিক্রেতারা বলেছেন , আগের স্টক শেষ না হলে তারা পাইকারী উৎস এবং মিল গেট থেকে চালের সরবরাহ নিতে আগ্রহ বোধ করছেননা। বগুড়ার মিল মালিক ও আমদানীকারক গোলাম কিবরিয়া বাহার এবং নওগাঁর মিল মালিক আমদানীকারক বেলাল হোসেনও বলেছেন , খুচরা বিক্রেতারা তাদের স্টক থেকে চাল কিনছেইনা ফলে। মিলে উৎপাদিত এবং ভারত থেকে আমদানী করা চালের মজুদ নিয়ে তারা এক রকম বেকায়দায়ই পড়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চাল

১১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ