Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আইন লংঘনে দুই বছরের কারাদন্ড ও ৩০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান

জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প সংসদে বিল উত্থাপন

| প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে আইনের লংঘনে দ্ইু বছরের কারাদন্ড ও ৩০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে সংসদে একটি নতুন বিল আনা হয়েছে। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ‘বাংলাদেশ জাহাজ পূনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ বিল-২০১৭’ নামের এই বিলটি উত্থাপন করেন শিল্প মন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে বিলটি উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। গত ৩০ জানুয়ারী মন্ত্রীসভা বিলটি অনুমোদন দেয়।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। স্টিল মিলের কাঁচামালের চাহিদার সিংহভাগ এই শিল্প থেকে মেটানো হয়। এ শিল্পে কর্মরত শ্রমিক ও কর্মচারীদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টি, উপক‚লীয় অঞ্চলের সামগ্রিক পরিবেশ সুসংহত করতে বিপদজনক বর্জ্যরে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনাসহ এ শিল্পটি একটি আইনি কাঠামোর মধ্য দিয়ে পরিচালনা করতে এই বিলটি প্রণয়ন করা হয়েছে।
বিলের ২১ ধারায় বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি সরকারের অনুমতি ছাড়া ইয়ার্ড স্থাপন করলে অনধিক দুই বছরের কারাদন্ড বা নূন্যতম ১০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।
একই ভাবে বিলের ২২ ধরার বিধান অনুযায়ী, অনাপত্তি সনদ ছাড়া জাহাজ আমদানি এবং ছাড়পত্র ছাড়া জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করলে (ভাঙলে) দুই বছরের কারাদন্ড বা ১০ থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড দেওয়া যাবে।
বিলে আরো বলা হয়েছে, আইনের দ্বারা নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে কেউ শিপইয়ার্ড পরিচালনা করলে দুই বছরের কারাদন্ড বা ১০ থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে। আর জাল সনদ দিয়ে কোনো সুবিধা নিলে কমপক্ষে ৫ লাখ ও সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে, জাহাজ ভাঙ্গার কার্যক্রম দেখাশোনা করতে এই আইনের অধীনে একটি বোর্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয় মনোনীত একজন অতিরিক্ত সচিব পদমর্যদার কর্মকর্তা এই বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন। এছাড়া এই বোর্ডে সার্বক্ষণিক দায়িত্বে থাকবেন সরকারের নিয়োগকৃত একজন মহাপরিচালক। যিনি বোর্ডের প্রধান নির্বাহী হবেন। উল্লেখ্য, বিলটি পাসের পর চট্টগ্রাম অঞ্চলের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প এই আইনের আওতায় আসবে। জাহাজ ভাঙ্গার জন্য একটি আলাদা জোনও করার পরিকল্পনা রয়েছে। যেখানে জাহাজ ভাঙ্গার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান রক্ষার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইন ও কনভেনশন প্রতিপালিত হবে।
পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল পাস \ পাটের বহুমুখী ব্যবহারের লক্ষ্যে প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে গবেষণার জন্য জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল-২০১৭’ নামের একটি বিল পাস হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলের উপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
বিলে বলা হয়েছে, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট পাট ও সমশ্রেণীর আঁশ ফসলের কৃষি, কারিগরি ও অর্থনৈতিক গবেষণা নিয়ন্ত্রণ, উন্নয়ন ও পরিচালনা এবং আঁশজাত ফসল উৎপাদন এবং গবেষণার ফলাফল স¤প্রসারণ করবে। এছাড়া সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে বাংলাদেশের যে কোন স্থানে উহার আঞ্চলিক কেন্দ্র ও উপকেন্দ্র স্থাপন করা যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ