Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইউনিপে টু ইউ’র ২০ লাখ গ্রাহক ছয় বছরেও টাকা পায়নি

আবারো প্রতারণার অভিযোগ সংসদীয় কমিটিতে

| প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আবারো প্রতারণা শুরু করেছে মাল্টি লেবেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি ইউনিপে টু ইউ’র প্রতারক কর্মকর্তারা। তারা শাস্তি এড়াতে মামলাগুলোর বিচারকাজ বিলম্বিত করছে। অথচ সরকারের নির্দেশ সত্তে¡ও এখনো ওই কোম্পানিতে লগ্নিকৃত অর্থ ফেরত পায়নি ২০ লাখ গ্রাহক।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে লিখিত আবেদনে এ অভিযোগ করা হয়েছে। প্রতারিত গ্রাহকদের পক্ষে কক্সবাজার পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডেও বাসিন্দা আব্দুল করিম সংসদীয় কমিটির সভাপতি বরাবর লিখিত আবেদনে জানিয়েছে, ভিটে বাড়ি বিক্রি করে গ্রাহকরা ইউনিপে টু ইউ’তে বিনিয়োগ করে। যাদের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। ওই গ্রাহকদের পাওনা টাকা আদায় না হলেও সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তা মুন্সি তরিকুল ইসলাম ও তার সঙ্গীরা নতুন করে প্রতারণা শুরু করেছে। আবেদনে প্রতারক চক্রের নতুন তৎপরতা বন্ধ ও নিঃস্ব গ্রাহকদের বিনিয়োগের অর্থ দ্রæত ফেরত পেতে সংসদীয় কমিটির হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
এবিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, এমএলএম কোম্পানির ব্যবসার নামে প্রতারণা বন্ধে আগেই সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রীও এধরণের প্রতারণার বিষয়ে সতর্ক রয়েছেন। যারা প্রতারণার সঙ্গে জড়িত আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাদেরকে অবশ্যই শাস্তির মুখোমুখী হতে হবে।
এদিকে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ইউনিপে টু ইউ’র চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান শাহীন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনতাসির ইমন ও উপদেষ্টা মাসুদুর রহমান মাসুদসহ প্রতারকচক্র দেশের বিভিন্ন স্থানে এজেন্ট নিয়োগ দিয়ে সহজ-সরল মানুষের কাছ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। ২০১১ সালে সরকার সংস্থাটির ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করে ১২৯ কোটি টাকা ফ্রিজ করলেও অবশিষ্ট অর্থ আত্মসাৎ করে কর্মকর্তারা বিদেশে পাড়ি জমায়। কেউ কেউ দেশে আত্মগোপনে থেকে যায়। আত্মগোপনে থাকা শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে মুন্সি তরিকুল ইসলাম অন্যতম। যিনি আত্মসাৎ করা টাকায় রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে নামে-বেনামে ফ্ল্যাট, জমি, দোকানসহ বিভিন্ন সম্পত্তি কিনেছেন। আত্মীয়-স্বজনদের কাছে বিপুল অংকের অর্থ জমাও রেখেছন। মাদক ব্যবসাসহ রাষ্ট্রবিরোধী কাজেও সেই অর্থ ব্যবহার হচ্ছে।
অভিযোগে আরো বলা হয়, ২০১২ সালের ১৩ আগস্ট প্রতারিত গ্রাহকদের পক্ষে কক্সবাজার পৌরসভার ওয়ার্ড নং-৮ ওয়ার্ডেও বৈদ্য ঘোনার আব্দুর রশিদ কক্সবাজার আমলী আদালতে একশো কোটি টাকা আত্মসাতের একটি মামলা দ্বায়ের করেন। যার নং সিআর -৫৯২/১২। ধারা : ৪০৬/৪২০/৩৪ দ: বি:। এ মামলায় মুন্সি তরিকুল ইসলামসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়। মামলার পর কিছুদিন প্রশাসন সক্রিয় থাকলেও পরে নিশ্চুপ হয়ে যায়। এই সুযোগে সম্প্রতি তরিকুল ও তার সঙ্গীরা নতুন করে প্রতারণা শুরু করেছে। সে বিভিন্ন থানায় ইউনিপে টু ইউ’র কর্ণধারসহ কর্মকর্তাদের নামে দায়েরকৃত মামলাগুলো দেখাশুনার দায়িত্বও পালন করছে। অর্থ আত্মসাতের এক মামলায় চট্টগ্রামের একটি আদালতে ইউনিপে টু ইউ’র দুই পরিচালকের ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড হওয়ার পর থেকেই সে নানা কৌশলে অন্য মামলাগুলোর কার্যক্রম দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউনিপে টু ইউ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ