পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ভদ্র ব্যবহার‘ ও ‘ভদ্র ভাষা’য় কথা বলতে জানেন না বলে অভিযোগ করেছেন খালেদা জিয়া। গত রাতে মহিলা দলের এক শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতি ইংগিত করে বিএনপি চেয়ারপারসন এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, “হাসিনা ভদ্র ব্যবহারও করেন না, ভদ্র ভাষায়ও কথা বলতে জানেন না। শুধু ভদ্র ভাষাই নয়, এমন সব অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে সেগুলো আমরা মনে করি, যে সেটা আমাদের সকলের জন্য লজ্জার ও অপমানের। কেনো? জোর জবর দখল করে হলেও তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদটা দখল করে আছেন। সেখানে আমরা দেশের নাগরিক হিসেবে সকলে অসম্মান্বিত বোধ করি।”
“আওয়ামী লীগ বলেন আর হাসিনা বলেন, এরা ভালো আচরণ করতে জানে না। এদের মধ্যে কোনো সুন্দর ভাষা নেই। যাদের মুখে ভদ্র ভাষা নেই, তারা মানুষের সঙ্গে কেমন করে ভদ্র সুন্দর আচরণ করবে?”
গুলশানে চেয়ারপারসন কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে গত রাতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নেতবৃন্দের খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। মহিলা দল সকালে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শোভাযাত্রা বের করেন। বেলুন উড়িয়ে এই শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সারাদেশে মহিলাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “এই বিশ্বনারী দিবসেও আমাদের প্রোগ্রাম করতে দেয়া হয় না। এখন আমাদের জন্য বড় হল পাওয়া দুস্কর। কোনো হলও দিতে চায় না, আমরা প্রোগ্রাম করতে পারি না। এই যে একটা অবরুদ্ধ অবস্থা দেশটাকে করে রেখেছে। গণতন্ত্রহীন অবস্থায় এভাবে দেশ চলতে পারে না।”
“গণতন্ত্র না থাকা প্রতিটি ক্ষেত্রে অবণতি হচ্ছে। শিক্ষাক্ষেত্রে দেখেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় নারীদের ওপর যেসব নির্যাতন হয়েছে, এটা যখন পত্রিকায় আসে, তখন শুধু আমাদেরই লজ্জা করে। বিদেশিরা এগুলো নিয়ে নানারকম কটূক্তি করে, সমালোচনা করে- এটা মোটেই কোনো ভালো জিনিস নয়।”
‘আজ সমাজটাকে সরকার খারাপ করে দিয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও এসব খারাপ কাজ মানুষের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছে। মানুষের চিন্তা-ধারনা নষ্ট করে দিয়েছে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুলে ভালোভাবে পড়া-লেখা করতে পারে না, সেখানে নকলবাজি করে পাস করানো হয়। ছাত্রলীগ-যুবলীগ জোর করে পাস করে নেয়। -অভিযোগ করেন তিনি। আওয়ামী লীগ না হলে ভালো মেয়েরা চাকরি পাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
মহিলা দলের ফুলেল শুভেচ্ছার জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, “এতো ফুল এনেছেন, মহিলারা ফুলের মতোই সুন্দর ও পবিত্র। মহিলাদের সম্মান দিয়ে আান্তর্জাতিক নারী দিবসের মর্যাদা রক্ষা করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।” নারীদের উন্নয়নে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “তিনিই পুলিশ, আনসারবাহিনীতে নারীদের নিয়োগ করেছেন। বিদেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে মহিলাদের নিয়োগও তিনিই প্রথম শুরু করেন। এরপর আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম আমরাও করেছি।”
তিনি বলেন, “বর্তমানে নারীরা নিজের বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত, রাস্তা-ঘাট ও নিজের পেশাস্থল কোথাও নিরাপদ নয়। তাদের কোনো নিরাপত্তা নেই।। গ্রামে-গঞ্জে আজকে অহরহ শাসক দলের লোক ও পুলিশ দ্বারা মহিলার নির্যাতিত হচ্ছে। ছোট বাচ্চারাও হত্যা হচ্ছে। পুলিশ দ্বারা মহিলারা নির্যাতিত হচ্ছেন- এটা লজ্জাজনক ও অসম্মানজনক।”
“পুলিশ সদস্যদের বলব, আপনাদের মা-বোন আছেনি। তারা সেটা চিন্তা করে যেন অন্যদের মা-বোনদের সম্মান দিয়ে এসব কাজ থেকে বিরত থাকেন। এটা কোনো ভালো কাজ নয়, নোংরা কাজ।” অনুষ্ঠানে নারী সাংবাদিকদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে খালেদা জিয়া বলেন, “আজকের এই অনুষ্ঠানটি মহিলারাই আছেন। আমি পুরুষ-ছেলে কাউকে এলাউ করিনি। কেবলমাত্র মহাসচিবকে আছেন।”
“দেখতে পারছি সাংবাদিক ভাইদের। কিছু কিছু মহিলা সাংবাদিক দেখতে পারছি। আমরা মনে করি এই পেশায় আরো বেশি করে মহিলারা আাসা উচিৎ, যারা এসব অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।”
অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সভানেত্রী নুরী আরা সাফা, সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা বক্তব্য রাখেন। এ সময়ে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও উপস্থিত ছিলেন। মহিলা দলের অনুষ্ঠানের পর বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা ‘চেয়ারপারসন’ পদে পূনর্নিবাচিত হওয়ায় খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।