পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ নির্যাতনের শিকার
স্টাফ রিপোর্টার : বর্তমানে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরে ইমিগ্রেশন থেকে প্রতিদিন বাংলাদেশী ভিজিটরদের বিনা অপরাধে গ্রেফতার করছে মালয় পুলিশ। বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার পর কাউকে কাউকে ইমিগ্রেশনে যাবার পূর্বেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। বিমান বন্দর ইমিগ্রেশন কারাগারে আটককৃত বাংলাদেশীদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আটককৃত বাংলাদেশীদের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করছে তারা। এতে বাংলাদেশের ভাব-মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে। শুধু সন্দেহের চোখে দেখে খ্যাতিসম্পন্ন বাংলাদেশী নাগরিকরাও মালয় পুলিশের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না।
বৈধ ভিজিট ভিসা নিয়েও মালয়েশিয়ায় গিয়ে বিনা অপরাধে আটককৃত অনেকেই মাসের পর মাস কারাগারের দুর্গন্ধযুক্ত পানি পান, অরুচিকর খাবার খেয়ে প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অসুস্থ আটককৃত বাংলাদেশীদের কোনো চিকিৎসার সুযোগও দেয়া হচ্ছে না ইমিগ্রেশন কারাগারে। কারাগারের বাইরে কারো সাথে যোগাযোগও করতে দেয়া হচ্ছে না। কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ইমিগ্রেশন কারাগারে বিনা কারণে নির্যাতনের শিকার বাংলাদেশীদের কোনো খোঁজ খবরও নিচ্ছে না। ইমিগ্রেশন কারাগার থেকে নির্যাতনের শিকার প্রত্যাগত ব্যক্তিরা এসব অভিযোগ করেছেন। বিনা অপরাধে আটককৃত বাংলাদেশীদের আইনী সহায়তা দেয়ারও কেউ নেই। যারা ভিজিট ভিসায় মালয়েশিয়ায় গিয়ে থেকে যাওয়ার আশা করছে তারাও গ্রেফতার হচ্ছে। আর দেশের খ্যাতিমান ব্যক্তি-বর্গরা ভিজিট ভিসায় মালয়েশিয়ায় যাচ্ছেন তারাও ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে কোনো কারণ ছাড়াই আটক হচ্ছেন। প্রফশনাল ভিসাধারী বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী ছিলো, যারা ৪-৫ বছর ধরে মালয়েশিয়া কাজ করছে। ছুটি কাটিয়ে কেবল বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় ফিরেছে। কিন্তু তাদেরকে বিমান থেকে নামতেই গ্রেফতার করেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গড়াচ্ছে যে এসব বিষয় দেখার কেউ নেই। ঢাকা’র যাত্রাবাড়ীস্থ মারকাযুত তাকওয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও মহাপরিচালক ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলেমে দ্বীন মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ গত ২৯ জুন কুয়ালালামপুর বিমান বন্দর ইমিগ্রেশন জেল থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গত ২৮ জুন রাতে ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট যোগে মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন। ২৯ জুন ভোরে কুয়ালালামপুর বিমান বন্দরে নামার পর পরই ইমিগ্রেশন পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই তাকে ভেতরে প্রবেশ করতে না দিয়ে ইমিগ্রেশন কারাগারে প্রেরণ করে। সারা দিন নানা ভাবে নির্যাতনের শিকার মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহকে রির্টান টিকিটেই সন্ধ্যায় বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। মুফতী মিছবাহ বলেন, যাচাই বাছাই ছাড়াই কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্টে এভাবেই হেনস্থা করা হচ্ছে বাংলাদেশী নাগরিকদের। শুধুমাত্র সন্দেহ’র উপর ভিত্তি করে প্রমাণ ছাড়া এভাবে গণহারে গ্রেফতার করে ইমিগ্রেশন কারাগারে ফেলে রাখছে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশীকে। নির্যাতনের শিকার মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ মালয় পুলিশের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।