পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তলিয়ে গেছে ৬ হাজার হেক্টর ফসলি জমি : বাড়ছে বিভিন্ন নদীর পানি : প্লাবিত হচ্ছে নতুন এলাকা : অব্যাহত থাকবে বৃষ্টি ও টিলাধসের শঙ্কা : পানিবন্দি ৩০৪টি : ২৭টি স্কুলে খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র : সুরমা ও কুশিয়ারায় বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতে অপ্রতুল অর্থ, জনপ্রতিনিধিদের দোষারোপ : বাড়ছে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ
ইনকিলাব ডেস্ক : বন্যায় সিলেট, মৌলভীবাজার,কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। তিস্তা, কুশিয়ারা, সুরমা, ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বৃদ্ধি ও ভাঙনে জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। আমাদের সিলেট, বিয়ানীবাজার (সিলেট), মৌলভীবাজার, চকোরী (কক্সবাজার), সুনামগঞ্জ, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্য নিয়ে
ডেস্ক রিপোর্ট :সিলেটে বৃষ্টি ও অব্যাহত পাহাড়ি ঢলের কারণে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল সিলেটে নদ-নদীগুলোর পানি বেড়েছে। নতুন করে তলিয়ে গেছে আরো কয়েকটি এলাকা। বন্যাদুর্গত এলাকায় ব্যাপক হারে পানিবাহিত রোগ ও ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া ৩০৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতে জনপ্রতিনিধিতের দোষারোপ করছেন ভুক্তভোগিরা। তবে গতকাল বন্যা কবলিত এলাকায় মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা পর্যন্ত পানিবন্দি মানুষের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। গত কয়েক দিন থেকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শন করেছেন। গতকাল দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াও সিলেটে গিয়ে পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে মিটিং করেন। এমন পানিবন্দি মানুষের কাছে দ্রুত ত্রাণ পৌছানোর নির্দেশনা দেন।
বাড়ছে পানি, প্লাবিত হচ্ছে নতুন এলাকা
সিলেটে কুশিয়ারা নদীর পানির স্তর ক্রমাগত বেড়ে যাওয়ায় ফলে গতকাল নতুন করে প্লাবিত হয়েছে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার চৌদ্দটি গ্রাম। বাড়ির রাস্তা-ঘাট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রামবাসীর।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, কুশিয়ারা নদীর পানি অমলশীদ পয়েন্টে ৮৫ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ৭৩ সেন্টিমিটার এবং শেরপুর পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া সুরমা নদীর পানি কানাইঘাটে বিপদসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, বরাক বেসিনে বৃষ্টিপাত হওয়ায় আরও দুই দিন পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে কুশিয়ারার পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
অব্যাহত থাকবে বৃষ্টি ও টিলা ধসের শঙ্কা:
সিলেটে আরো বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী। তিনি জানান, আগামী ৭ জুলাই পর্যন্ত সিলেটে প্রবল বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে টিলা ধসেরও শঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি।
পানিবন্দি ৩০৪টি স্কুল, আশ্রয় কেন্দ্র ২৭টি:
সিলেট বিভাগে ৩০৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিবন্দি রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাইমারী শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ পরিচালক তাহমিনা খাতুন। গতকাল বিকালে তিনি জানান, সিলেট জেলার ১৬২টি ও মৌলভীবাজার জেলায় ১৪২টি সরকারী প্রাইমারী স্কুল পানিবন্দি রয়েছে। এসব স্কুলে শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তিনি আরো জানান, এছাড়া বন্যা কবলিত মানুষের জন্য আরো ২৭টি স্কুলে আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। তাই এসব স্বুলেও পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
তলিয়ে গেছে ৬ হাজার হেক্টর ফসলি জমি:
অকাল বন্যায় বোরো ফসলহানির রেশ না কাটতেই এবারের বন্যায় আবার বিপাকে পড়েছেন সিলেট অঞ্চলের কৃষকরা। গতকাল পর্যন্ত বন্যায় তলিয়ে গেছে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর আউশ ধান। এ পর্যন্ত সিলেট জেলায় ৩ হাজার হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার। এছাড়াও মৌলভীবাজার জেলায় ২৬ হেক্টর ধান পানিতে তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন, মৌলভীবাজার জেলার কৃষি অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. শাহজাহান। গতকাল বিকালে তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
নদী বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতে অপ্রতুল অর্থ:
সিলেটে কয়েকটি উপজেলায় দেখা দিয়েছে দীর্ঘমেয়াদী বন্যা। বন্যাদুর্গত মানুষ বলছেন, সুরমা নদী ও কুশিয়ারা নদীতে যে সব বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ রয়েছে, সেগুলো যদি মেরামত করা এবং নতুন বাঁধ নির্মাণ করা হতো, তবে বন্যার ভয়াবহতা এতোটা বাড়তো না। এজন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিদের দোষারোপ করছেন তারা। অন্যদিকে, জনপ্রতিনিধিরা দায় চাপাচ্ছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপর। আর পানি উন্নয়ন বোর্ড চাহিদামাফিক বরাদ্দ না পাওয়ার কথা বলছে। বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ মেরামত ও নতুন বাঁধ নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে ৪৫ কোটি টাকা চেয়েছিল পাউবো। কিন্তু বরাদ্দ মিলেছে মাত্র ৫৮ লাখ টাকা।
জানা যায়, কুশিয়ারা নদীর বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধের অনেক স্থানেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর তীর উপচে ও বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে অনেক এলাকা। বর্ষা মৌসুমের আগে বাঁধের মেরামত কাজ না করানোয় ক্ষোভে ফুঁসছেন ভুক্তভোগী মানুষ।কুশিয়ারা নদীর দুবাগ এলাকায় সাতটি স্থানে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বর্ষা মৌসুমের আগেই বারবার দাবি জানানো সত্তে¡ও বাঁধের মেরামত না করানোয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টদের দোষারোপ করছেন ভুক্তভোগীরা। বিয়ানীবাজার উপজেলার মেওয়া গ্রামের মতিউর রহমান, শাহীন আহমদ, ইকরাম আলী ও জুনেদ আহমদ বলেন, ‘মেওয়া এলাকার দুই জায়গায় বাঁধ ভেঙেছে। বর্ষার আগে উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউরর রহমানের কাছে বাঁধ মেরামতের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে বাঁধ ভেঙে এবার ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে ফসল।’এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, ‘নদীর বাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে দ্বারস্থ্য হয়েছিলাম। জেলা প্রশাসনের সমন্বয় সভায়ও বিষয়টি উত্থাপন করেছি। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়নি।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ এবং মেরামতের জন্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ৪৫ কোটি টাকা চেয়েছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু মন্ত্রণালয় মাত্র ৫৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এই অপ্রতুল অর্থ দিয়ে বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত করা সম্ভব হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতের জন্য মন্ত্রণালয়ে ৪৫ কোটি টাকা চাহিদার কথা জানানো হয়েছিল। তবে বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৫৮ লাখ টাকা। এজন্য প্রয়োজনীয় কাজ করা সম্ভব হয়নি। চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ পেলে এবং বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত সম্ভব হলে বন্যা পরিস্থিতি এতো ভয়াবহ হতো না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাড়ছে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ:
বন্যাকবলিত এলাকায় ব্যাপক হারে পানিবাহিত রোগ ও ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলায় সরকারি কোন হাসপাতাল না থাকায় রোগাক্রান্তরা চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারে ভিড় জমাচ্ছেন। এলাকার স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের সাধ্যমত সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। বন্যা কবলিত এলাকায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়- পেটের পীড়া, ডায়রীরয়া, প্রচন্ড জ্বর, সর্দি, কাশিসহ চর্মরোগে ভোগছেন তারা। চিকিৎসকরা জানান- ইদানিং পানিবাহিত রোগ আক্রান্ত এবং ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শিশু রোগীর সংখ্যাও বেশী।
সিলেটের রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অসিত চন্দ্র দাস বলেন- শিশুদের জ্বর আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ ঋতু পরিবর্তন। ৫-৭দিনের মধ্যে এই জ্বর ভাল হয়ে যায়। এসময় সাধারণত প্যারাসিটামল খাওয়ানো যেতে পারে। তবে শ্বাসকষ্ট থাকলে সাথে সাথে ডাক্তারের সরনাপন্ন হতে হবে। তিনি আরো বলেন- এসময় বড়রাও ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে জ্বরে ভোগতে পারেন। তাই অসুস্থ ব্যক্তিদের শিশুদের কাছ থেকে দুরে থাকতে হবে এবং শিশুদের কাছে হাছি ও কাশি দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। শিশুদের ডায়রীরার হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে বিশুদ্ধ পানি পানসহ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
এদিকে, সিলেটের বিয়ানীবাজারে নতুন করে কোন এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়নি। তবে কোন কোন খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, গত শনিবার বরাদ্দ হওয়া সাড়ে ১৪ টন চাল ইতোমধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়নে বন্টন করা হয়েছে। নতুন করে দুর্গত এলাকাগুলোতে কোন ত্রান বরাদ্দ হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহ. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, ত্রান মন্ত্রী গতকাল সিলেট এসে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন। নতুন করে বরাদ্দ বিয়ানীবাজার উপজেলার জন্য দেয়া হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
প্রশাসন সূত্র বিয়ানীবাজারের বন্যা দুর্গত মানুসের সংখ্যা ১৫ হাজারের মতো হবে বলে তথ্য দিলেও বাস্তবে তা ৫০ হাজারেরও বেশি হবে বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। বিয়ানীবাজারে বন্যার পানিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ৬৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছেন কর্তৃপক্ষ। বন্যার পানিতে বিদ্যালয়গুলো তলিয়ে যাওয়ায় এবং যাতায়াতের রাস্তা ও মাঠ ডুবে যাওয়ায় এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, বন্যায় উপজেলার ১৫৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভেতরে পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া বিদ্যালয় যাতায়াত সড়ক ও মাঠ তলিয়ে গেছে আরও ২৭টির। যার কারণে ৪০টি বিদ্যালয় সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে সেগুলোতে বন্যার কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম রয়েছে।
সরেজমিন বিয়ানীবাজার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিদর্শনে গেলে দেখা যায়, বিভিন্ন ইউনিয়নে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ বন্যার পানিতে আটকা পড়েছেন। অসংখ্য মানুষ ৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিলেও বাকীরা হাটু পানির মধ্যেও ঘরে অবস্থান করছেন। সামান্য পরিমান ত্রাণ এই উপজেলায় পৌছায় জনপ্রতিনিধিসহ বন্যা আক্রান্ত মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। লাউতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গৌছ উদ্দিন জানান, তার ইউনিয়নে ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ। এখানের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মাত্র ২ টন চাল। তিনি সরকারি এসব চাল গ্রহণ করতে না চাইলেও পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুরোধে তা গ্রহণ করেন। ওই চেয়ারম্যানের সাথে সুর মিলিয়ে মুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল খয়ের বলেন, তার ইউনিয়নে ৩ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ৭টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা প্লাবিত হওয়ায় ১৫টি হাটবাজার বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
ওদিকে, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখায় তৃতীয় দফা বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। গতকাল উজানে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বন্যা কবলিত এলাকায় ২ থেকে ৩ ইঞ্চি পানি কমেছে। তবে এখনও জেলা সদরের সাথে বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্থরের ১৮৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ২৯টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে প্রতিদিন আক্রান্তদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপর দিকে রাজনগরে নতুন করে আবার বন্যা দেখা দিয়েছে। কুশিয়ারা নদী ও কাউয়াদীঘি হাওরের পানি বৃদ্ধি এবং পাহাড়ি ঢলে উপজেলার ফতেপুর, উত্তরভাগ, মুন্সিবাজার, পাঁচগাঁও ইউনিয়নের প্রায় ৫০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। প্লাবন ও আশ্রয় কেন্দ্রের কারণে ১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। আশপাশে পানি থাকায় আরো প্রায় ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ হবার উপক্রম। এছাড়া মৌলভীবাজার-রাজনগর-বালাগঞ্জ সড়ক বন্যার কারণে বাস যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আশ্রয়কেন্দ্রসহ বন্যা আক্রান্ত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত হয়েছে। জেলায় সর্বশেষ ২৯৪ মেট্রিকটন জিআর চাউল ও নগদ ১০ লাখ টাকা এবং ৫৯ হাজার ২০০ ভিজিএফ কার্ডের অনূকূলে ১০ কেজি করে চাউল বিতরণ করা হয়েছে। সবমিলিয়ে তিন ধাপে ৬৫০ মেট্রিকটন চাল, ৩০ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছাড়াও তিনমাসের জন্য ৫ হাজার ভিজিএফ কার্ডের অনুকূলে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল এবং ৫০০ টাকা করে দেয়া হচ্ছে। এদিকে জেলা প্রশাসক মোঃ তোফায়েল ইসলাম জানান, প্রতিদিন তিনিসহ উপচেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কুুলাউড়া, জুড়ী ও রাজনগর উপজেলার আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করছেন।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী বিজয় ইন্দ্র শংকর চক্রবর্তী জানান, কুশিয়ারা নদীর পানি কিছুটা কমলেও শেরপুরে ২১ সেন্টিমিটার বিপদ সীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে বৃষ্টিপাত হলে আবারও পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।
অপর দিকে বন্যা আক্রান্ত এলাকায় মে মাস থেকে চালু হওয়া ওএমএস কার্যক্রম গত ১ জুলাই থেকে হঠাৎ করে চাল বিক্রি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বানভাসী মানুষ।
অন্যদিকে, গত ৩দিনের টানা ভারী বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে লামা, চকরিয়া, পেকুয়া উপজেলার অন্তত ৩০টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের লাখো মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এ ৩ উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত মাতামুহুরী নদীর অব্যহত ভাঙ্গনে নদীর দু’তীরের অসংখ্য ঘর বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিলিন হয়ে গেছে। শতাধিক ঘরবাড়ি বর্তমানে হুমকির মুখে। ওই ৩ উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ মাদ্রাসায় ঢলের পানি ঢুকে পড়ায় পাঠ দান ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড ২শ ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধ মেরামত প্রতিরক্ষামূলক কাজসহ যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এতে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে নদীর তীরবর্তী মানুষ গুলো কোন সুফল পাচ্ছেনা। স্থানীয় জনগন অভিযোগ করেছেন, বালির বস্তা দিয়ে নদীর বন্যা ঠেকানোর জন্য যেসব প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে এতে চলছে পুকুর চুরি। বরাদ্দকৃত টাকা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও পাউবোর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা জুলাই মাসে জুন ক্লোজিয়ের নামে ভাগভাটোয়ারায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
বর্তমানে ঢলের পানিতে লামা উপজেলার লামা সদরে বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েকশত গ্রামে লাখো মানুষ এখন পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। এসব উপজেলার অব্যাতরিন সড়ক গুলো ঢলের পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে চকরিয়া পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দিগরপানখালী গ্রামের মধ্যদিয়ে পাউবোর ১নং গাইড বাঁধে বোল্ডড্রোজার দিয়ে রাস্তার পাশে মাটি ভরাট করায় মাতামুহুরী নদীর ঢলের পানি স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করতে না পারায় ইতিমধ্যে দিগরপানখালী গনি সিকদার পাড়া ২টি বাড়ি ভেঙ্গে নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। বর্ষণ অব্যহত থাকলে আরো অসংখ্য ঘরবাড়ি যে কোন মুহুর্তে নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ভারী বর্ষণের কারনে মাতামুহুরী নদীতে বেড়ে চলছে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি। ইতোমধ্যে নদীর পানি ঢুকে তাঁর ইউনিয়নের ৩ শতাধিক পরিবারের বসতঘর প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
এদিকে চকরিয়ার পাশ^বর্তী লামা বান্দরবানের লামায় গত তিন দিনের বৃষ্টিপাতে পাহাড় থেকে নেমে আসা পানিতে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। পাহাড়ে ঝুঁকিতে বসবাসকারী ও পনিবন্ধি মানুষকে নিরাপদে সরে যেতে সরকারী ভাবে মাইকিং করা হয়েছে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি স্থাপনাকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা জন্য বলা হয়েছে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ফাজিল মাদরাসা, নুনার বিল ও চেয়ারম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮/৯ শতাধিক পানিবন্দি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে জরুরী খাবার ও পানির প্রয়োজন বলে ভুক্তভোগীরা জানায়।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, আমরা সচেষ্ট রয়েছি। যে কোন দূর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র সহায়তায় করার জন্য ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য সহযোগি প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খাদ্য গুদামে প্রায় একশত মেট্রিক টন চাল ও গম মজুদ রয়েছে।
এদিকে, সুনামগঞ্জে প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিপাতের কারনে জেলার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদ- নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাওরাঞ্চলের নি¤œাঞ্চলও প্লাবিত হচ্ছে। সিলেট ও মৌলভীবাজারে বন্যা দেখা দেওয়ায় সুনামগঞ্জেও বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারন সিলেটের পানি অর্থাৎ উজানের পানি ভাটির দিকে চাপ দিলেই সুনামগঞ্জে বন্যা দেখা দিতে পারে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা যায় সুনামগঞ্জে সুরমার পানি গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩ টায় বিপদ সীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলের দিকে তেমন বৃষ্টিপাত না হলেও সকাল ৬ টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় সুনামগঞ্জে ৪৫মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
অপরদিকে, নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধিতে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। গতকাল তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও তিস্তা নদীতে অভ্যন্তরে চরাঞ্চলের বসতভাড়ীতে বন্যার পানি বয়ে যাচ্ছে। নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলা তিস্তার বন্যার দুর্গতদের জন্য সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসনের ত্রানভান্ডার হতে জিআর এর ৪০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়া বিভাগের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, গত দুই দিন ধরে উজানের ঢলে তিস্তার নদীর পানি ডালিয়াস্থ্য তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমার (৫২দশমিক ৪০) ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আসায় তিস্তা নদীতে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে তিস্তা অববাহিকার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চর ও গ্রাম প্লাবিত হয়ে ১০ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। এদিকে উজানের ঢল কিছুটা কমে আসায় গতকাল দুপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার নিচে নেমে আসে। সকাল ৬টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে পানি কমেছে ৩০ সেন্টিমিটার। যে কোন সময় উজানের ঢল নেমে এলে এতে নদীর পানি পুনরায় বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। বর্তমানে নদীর পানি বিপদসীমার নিচে নেমে আসায় তিস্তার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটে। নীলফামারীর জেলা প্রশাসক খালেদ রহীম বলেন, তিস্তা নদীর বন্যা বিশেষ করে হয়ে থাকে উজানের ঢলে। ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলায় বন্যার শুরুতেই যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের জন্য চাল ও নগদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া তিস্তা বন্যা এলাকার সার্বক্ষনিক নজরদারি রাখা হয়েছে।
ওদিকে, গত তিনদিনের ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গনে বিলিন হয়েছে রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার ৬০ পরিবার ও শতশত একর জমির রোপা ধান ও পাট চিনা কাউন তিল। শুক্রবার হতে ও গতকাল পর্যন্ত ক্ষর স্রোতে ভাঙ্গনের তান্ডব লক্ষ্য করা যায় ওই এলাকায়। এ সময় নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে ৬০টি পরিবারের ভিটেমাটি, সহায়সম্বল, গাছপালা, পাট, আখ ও ভবিষ্যত স্বপ্ন। গ্রামের মানুষ তাদের ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই ঘরবাড়িসহ কোন কিছু সরিয়ে নেওয়ার সময় পাচ্ছে না। অপর দিকে যাদুরচর দিগলাপাড়া নামক স্থানে বেঁড়ি বাঁধ ভেঙ্গে ভিতরে পানি ঢুকছে। কেউ সরকারি সড়কে,অন্যের ভিটায়, এমনকি অনেকে খোলাকাশের নিচে ছোট ছোট শিশুসহ গরু মহিষ ছাগল ভেড়া হাঁস মুরগি আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। নদী থেকে ১-২কিলোমিটার দুরে হওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা শহর ২ টি।
খেরুয়ারচর গ্রামের ষাটোর্ধ গোলবানু বেওয়া বলেন, ‘এমুন নদী ভাঙন বাপের জন্মেও দেহি নাইরে বাপু। আমার ৮ পোলা তারা কিছুই নিতে পারে নাই। অনেক রাত্রিরে কোন রহমে ছোট ছোট নাতি-নাতনি গো লইয়া ভাইগা আইছি। এহন মানসের বাইত্তে থাহি। খাওন নাই, থাহনের জায়না নাই। এমনি কইরা কয়দিন যে চলবো ক্যারা জানে। আপনেরা আমাগো জন্যি কিছু এডা করেন। নইলে বাঁচুম ক্যামনে?’
অপরদিকে রৌমারী ৬ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩ টি ইউনিয়ন চরশৌলমারী, বন্দবেড়, ও যাদুরচর ব্রম্মপুত্র ভাঙ্গনের কবলে। গত ক’দিন ধরে এমন ব্যাপক ভাঙন চললেও প্রশাসনের কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। এব্যাপারে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাউজুল কবির জানান, এবিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে সরেজমিন প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে বন্দবের ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল কাদের, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক এমপি জাকির হোসেন জানান, নদী ভাঙ্গন রোধের জন্য কতবার মানব বন্ধন করা হলো এখন পর্যন্ত কোন ব্যাবস্থা হয়নি। নদী পারের মানুষ জনরা দুঃখ্য কষ্ট নিয়েই দিনাতী করছে। তাদের দেখার কেউ নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।