পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মালেক মল্লিক : বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতেই থাকছে। উচ্চ আদালতের বিচারপতি অপসারণে ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ এবং বাতিল ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৭ সদস্যের পুণাঙ্গ বেঞ্চ ঐক্যমতের ভিত্তিতে সরকারের করা আপিল গতকাল খারিজ করে দেন। আদালতের বক্তব্য, ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হলো ‘আপিল খারিজ’। ফলে জাতীয় সংসদ নয় বিচারপতি অপসারণ করবে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের হাতেই ন্যস্ত রইলো। সরকার পক্ষ্যের আপিল খারিজের পর রিটকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এই রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে বর্ণনা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নী জেনারেল হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, আমি অত্যন্ত দুঃখ অনুভব করছি। পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি হাতে পেলে সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানিয়েছেন আইন মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, সামরিক শাসন আমলের পদ্ধতির পুনর্বহাল বোধগম্য নয়। তবে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে কোন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া না জানানো জন্য আহবান জানিয়েছেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দেশের বিচার বিভাগ যে স্বাধীন এটা তারই প্রমান।
এদিকে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেছেন, ষোড়শ সংশোধনী বাতিল জরুরি আপিল বিভাগের এ রায় প্রত্যাশিত ছিল। কেননা, ১০ জন অ্যামিকাস কিউরি, অর্থাৎ দেশের ১০ জন বরেণ্য আইনজীবীর মধ্যে ৯ জনই মতামত দিয়েছিলেন যে হাইকোর্টের রায় সঠিক ছিল। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে আদালতের মর্যাদা ও স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রইলো। সরকারের দূরভিসন্ধি নস্যাৎ হলো। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, আমাদের বিচার ব্যবস্থায় বিচারপতিদের অভিসংশনের ক্ষমতা ছিল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে। কিন্তু বর্তমান সরকার এই ক্ষমতা সংসদে নেয়ার জন্য ষোড়শ সংশোধনী এনেছিল। এ রায়ের মাধ্যমে সেই ক্ষমতা বাতিল হলো।
গতকাল সোমবার ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৭ সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন। বেঞ্চের অপর ৬ সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার। এর আগে আপিলে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পক্ষে মতামত দেন এ মামলার অ্যামিকাস কিউরি (আইনি সহায়তাকারী) ১০ জনের মধ্যে ৯ জন।
আলোচিত এই মামলা এদিন রায়ের জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ১ নম্বর ক্রমিকে ছিল। সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে এজলাসে আসেন বেঞ্চের বিচারপতিরা। এরপর সাড়ে ১০টার দিকে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের রায়ের কিছু পর্যবেক্ষণ এক্সপাঞ্জ (বাদ দিয়ে) করে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল সর্বসম্মতভাবে খারিজ করার রায় ঘোষণা করেন তিনি। এসময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। আরও উপস্থিত ছিলেন এ মামলার অ্যামিকাস কিউরি (আইনি সহায়তাকারী) এম আমীর-উল ইসলাম, এ এফ হাসান আরিফ, আজমালুল হোসেন কিউসি, এ জে মোহাম্মদ আলী। এছাড়াও আইনজীবী ও গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে এজলাসে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। ষোড়শ সংশোধনী সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছিল। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। এই আপিলের ওপর ১১তম দিনে গত ১ জুন শুনানি শেষে সর্বোচ্চ আদালত মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন। এরপর এ রায় দেয়া হলো।
হাইকোর্টের রায় আপিলেও বহালের পর রিটকারীপক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এই রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, সর্বসম্মতিক্রমে আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আইনটি করে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে দেয়া হয়েছিল, সেটা বেআইনি, অকার্যকর ও বাতিল হয়ে গেল। সংসদ পঞ্চদশ যে সংশোধনী করেছিল, সেখানে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে প্রটেক্ট করা হয়েছিল, সেটাই বহাল থাকল।
অন্যদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আমি অত্যন্ত হতাশ। আমাদের যে আশা ছিল, স্বপ্ন ছিল সংবিধানের মূল অনুচ্ছেদ ৯৬ তে ফিরে যাব, আজকে এই রায়ের ফলে সেটা আর হল না। আমি অত্যন্ত দুঃখ অনুভব করছি, হতাশ হয়েছি। রাষ্ট্রপক্ষ এই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা এই মুহূর্তে বলা যাবে না। মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করে, সরকারের সঙ্গে আলাপ করে আমরা জানাব। আপিল বিভাগের এই রায়ের ফলে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা আবার সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে ফেরত গেল বলে মনজিল মোরসেদ মনে করলেও তার সঙ্গে একমত নন মাহবুবে আলম। রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা বলেন, আমার মতে যে সংবিধান সংসদ বাতিল করেছে, সেটা আপনা-আপনি পুনর্বহাল হবে না। আমার মতে, এই পরিস্থিতিতে শূন্যতা বিরাজ করছে। সংসদের কাজ তো আর আদালত করতে পারে না। সংসদে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস হলে তা রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের ৯ জন আইনজীবী রিট আবেদন করেন। গত বছর হাইকোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে দেওয়া রায়ে সংবিধানের এই সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
হাইকোর্টের রায়
রায়ে আদালত বলেছে, সংসদের মাধ্যমে বিচারকগণের অপসারণ প্রক্রিয়া ইতিহাসের একটি দুর্ঘটনা। ষোড়শ সংশোধনী একটি কালারেবল লজিসলেশন (কোনো কাজ সংবিধানের মধ্যে থেকে করার সুযোগ না থাকলে আইনসভা যখন ছদ্ম আবরণে ভিন্ন প্রয়োজনের যুক্তি দেখিয়ে একটি আইন তৈরি করে), যা রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা থেকে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ নীতির লঙ্ঘন। এটা সংবিধানের দুটি মূল কাঠামো ৯৪(৪)ও ১৪৭(২) অনুচ্ছেদেরও লঙ্ঘন। একইসঙ্গে সংবিধানের ৭(বি) অনুচ্ছেদকেও আঘাত করে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে রুল যথাযথ (অ্যবসলিউট) ঘোষণা করা হল। ষোড়শ সংশোধনী আইন ২০১৪ কালারেবল, এটি বাতিল এবং সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হল।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে ৮ মে আপিল বিভাগের ফুলবেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। সব মিলিয়ে ১১ দিন রাষ্ট্র ও রিট আবেদনকারীর বক্তব্য শোনেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাসহ সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকরা। পাশাপাশি এমিকাস কিউরি হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবীর বক্তব্যও শোনে আপিল বিভাগ; যাদের মধ্যে একজন বাদে অন্য সবার কথায় হাইকোর্টের রায়ের পক্ষে অবস্থান প্রকাশ পায়। হাইকোর্টের এই রায় নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনেও উত্তাপ ছড়িয়েছিল। অন্যদিকে থাকা বিএনপি আবার হাইকোর্টের রায়ের পক্ষে অবস্থান জানায়।
সংবিধান প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ মামলাটির আপিল শুনানি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে করার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলের চাপাচাপিতে আদালতেও উত্তাপ ছড়িয়েছিল। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তার উত্তপ্ত বাক-বিতন্ডাও বেশ আলোচনার জন্ম দেয়। সংসদে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, হাইকোর্টের এই রায় সংবিধান পরিপন্থি। এটি আপিলে টিকবে না।
বিচারক অপসারণের ইতিহাস: প্রথম সংবিধানে উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতেই রাখা হয়েছিল। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শাসনামলে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনের পর বিচারক অপসারণের ক্ষমতা প্রেসিডেন্ট এর হাতে ন্যস্ত হয়। পঁচাত্তরের পট পরিবর্তনের পর সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সংবিধানের পঞ্চম সংশোধন এনে বিচারক অপসারণের বিষয় নিষ্পত্তির জন্য সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করেন। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী আদালত অবৈধ ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আনলেও তাতে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের বিধানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। এই সংসদেই হয় ষোড়শ সংশোধন। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়, যাতে বিচারক অপসারণের ক্ষমতা ফিরে পায় সংসদ। ওই বছরের ৫ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ৯ আইনজীবী। শুনানির পর হাইকোর্ট ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর রুল দেয়। রুলে ওই সংশোধনী কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। ২০১৬ বছরের ৫ মে হাইকোর্ট ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয় ওই বছরের ১১ অগাস্ট। তিন বিচারকের ওই বেঞ্চের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ বলে রায় দেন। অন্য বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল তাতে ভিন্নমত জানিয়ে আলাদা রায় দেন।
আপিলে পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি : ষোড়শ সংশোধনের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে অ্যাটর্নি বলেছিলেন, উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ সংশোধনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতাই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সংবিধানের ৯৬ ধারাটি সংবিধান প্রণেতারা প্রথম থেকেই রেখেছেন। মাঝখানে মার্শাল ল অথরিটি বেআইনিভাবে ক্ষমতা দখল করেছে। সংশোধনীর মাধ্যমে বরং আমরা সংবিধানের মূল জায়গায় ফিরে গেছি। এই সংশোধনের মাধ্যমে সংবিধানের মূল কাঠামোয় কোনো পরিবর্তন হয়নি দাবি করে তিনি বলেছিলেন, হাইকোর্ট ডিভিশন একটি ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে রায় দিয়েছেন।
অন্যদিকে শুনানিতে রিট আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেছিলেন, সদ্য স্বাধীন দেশে পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় সংবিধান তৈরির সময় বিচারকদের অপসারণের বিষয়টি সংসদের হাতে দেয়া হয়েছিল। পরে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুই চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে, তাতে পরিবর্তন আনেন। বিচারক অপসারণে অস্ট্রেলিয়া, নামিবিয়া, পাকিস্তান, বুলগেরিয়াসহ বিভিন্ন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থাকার তথ্য তুলে ধরেন মনজিল মোরসেদ। তিনি যুক্তি দেখান, আমাদের সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের দলের বিপক্ষে ভোট দেয়ার অধিকার সংরক্ষিত না থাকায় বিচারক অপসারণের ক্ষমতা আইনসভার হাতে থাকলে তার রাজনৈতিক ব্যবহারের আশঙ্কা থাকবে। শুনানিতে আপিল বিভাগ আদালতবন্ধু হিসেবে যে ১০ জন সিনিয়র আইনজীবীর বক্তব্য শোনেন, তার মধ্যে ড. কামাল হোসেনসহ ৯ জনই সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের পক্ষে অর্থাৎ ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পক্ষে মত দেন। সংবিধানের এই সংশোধনের পক্ষে অবস্থান জানান শুধু আজমালুল হোসেন কিউসি। ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে একই মত পোষণকারীরা হলেন টি এইচ খান, এ এফ এম হাসান আরিফ, ব্যারিষ্টার এম আমীর উল ইসলাম, ব্যারিষ্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, ফিদা এম কামাল, এ জে মোহাম্মদ আলী, এম আই ফারুকী ও আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া। আদালত মোট ১২ জন আইনজীবীকে এমিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল। তাদের মধ্যে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ও ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ মতামত দেননি। তাদের বাইরে ‘ইন্টারভেনার’ হিসেবে সংবিধানের এই সংশোধনের পক্ষে যুক্তি দেখান সাবেক আইনমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আবদুল মতিন খসরু। শুনানিতে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন রেখেছিলেন, কোনো বিচারককে অপসারণের প্রক্রিয়ার সময় যদি সংসদে কোনো দলের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকে তখন কী হবে? এর উত্তরে মতিন খসরুর বক্তব্য ছিল, সেটা পরবর্তী প্রজন্ম দেখবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।