পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একই পরিবারের ৪ জনসহ নিহত ১৪
ইনকিলাব ডেস্ক : বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ১৪ জন। এছাড়াও আহত হয়েছে আরো ৩০ জন। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন-
গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, গোপালগঞ্জে বাস-মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৪ জনসহ ৬ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। গতকাল সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে কাশিয়ানী উপজেলার গ্যাড়াখোলা নামকস্থানে এ সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- বাগেরহাট জেলার শরখোলা উপজেলার খুড়িয়াখালি গ্রামের জয়লাল আকন্দের ওরফে জয়নাল মাস্টারের ছেলে সউদী প্রবাসী হালিম আকন (৪৫ ), তার স্ত্রী আসমা বানু (৩৫) , ছেলে সিহাব আকন্দ (৯) ও সুজন আকন্দ (১৮) ও শ্যালক বাদল হাওলাদার (৪০)। অপর নিহত হলেন মাইক্রোবাস চালক। তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। হালিম আন্দের স্ত্রী আসমার ভাবী খাদিজা বানু জানান, হালিম আকন দীর্ঘবছর সউদী প্রবাসী। এবার ছুটি পেয়ে তিনি সউদী থেকে গতকাল ভোরে ঢাকা আসেন। স্ত্রী, ২ ছেলে ও শ্যালক তাকে আনতে গ্রামের বাড়ি থেকে গত বুধবার ঢাকা যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাইক্রোবাসটি রং সাইড দিয়ে যাচ্ছিলো। বাসটি তাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে মাইক্রোবাসটি সঠিক সাইডে আসার চেষ্টা করলে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে বাসের নিচে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মাইক্রোর ৬ জন নিহত হন । এসময় বাসের অন্তত ১৫ যাত্রী আহত হয়। গোপালগঞ্জ ,মুকসুদপুর ফায়ার সার্ভিস, ভাঙ্গা হাইওয়ে খানা, কাশিয়ানী থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা হতাহতদের দুপুর উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা। গোপালগঞ্জে জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে লাশ গুলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান। গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার নিয়ামূল হুদা বলেন, ৬টি লাশ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। লাশগুলো ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।এ ছাড়া মাইক্রোটি বাসের নীচে চলে যাওয়ায় লাশ উদ্ধার তৎপরতায় সময় লেগেছে।এখানো দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও মাইক্রো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহীর বানেশ্বরে ট্রাকের ধাক্কায় গতকাল দুপুরে পোল্লাপুকুর মোড়ে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অপর একজন। নিহতদের বাড়ি নগরীর কেদুরমোড় এলাকার মৃত আবদুল লতিফের ছেলে তুষার হোসেন (২২) ও নাজমুল ইসলামের ছেলে শাহিন আলী (২০)। নিহতরা সম্পর্কে আপন চাচা-ভাতিজা বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহতদের বাড়ি রাজশাহী মহানগরীর রামচন্দ্রপুর কেদুরমোড় এলাকায়। পবা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট জানান, দুপুরে দুই চাচা-ভাতিজা মোটরসাইকেলে চড়ে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক দিয়ে নাটোরের দিকে যাচ্ছিল। পথে পোল্লাপুকুর মোড়ে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে তাদের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।
এ সময় ট্রাকটি মোটরসাইকেলটিকে প্রায় ২০০ গজ সামনের দিকে টেনে নিয়ে যায়। পরে ট্রাকটি রাস্তার পাশে খাদে নেমে যায়। এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই দুই চাচা-ভাতিজার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) মর্গে পাঠায়। দুর্ঘটনার পর ট্রাকের চালক পালিয়ে গেছে। তবে তাকে শনাক্ত করতে পেরেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হবে। ঘাতক ট্রাকটিকে (ঢাকা মেট্রো-ট ১৩-৩৮৬৩) জব্দ করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ঈশ্বরগঞ্জ গৌরীপুর সীমানাবর্তী গঙ্গাশ্রম এলাকায় বাস-সিএনজি সংর্ঘষে একজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ওই র্দূঘটনাটি ঘটে। জানা যায়, নেত্রকোনা জেলা পুর্বধলা উপজেলার শ্যামগঞ্জ বাজার থেকে সিএনজি যোগে বউ দেখার উদ্দেশ্যে ঈশ্বরগঞ্জ আসার পথে ঈশ্বরগঞ্জ গৌরীপুর সীমানাবর্তী গঙ্গাশ্রম এলাকায় ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে ময়মনসিংহগামী এম কে সুপার (খুলনা-জ-১১-০০৫৬) বাসের সাথে সিএনজি (ময়মনসিংহ-থ-১১-৩০০২) এর মুখোমুখি সংর্ঘষ হলে একজন নিহত ও চারজন আহত হয়। নিহত আবুল বাশার (৪০) নেত্রকোনা জেলা পুর্বধলা উপজেলার সাউথকোনা গ্রামের বাসিন্দা। আহতরা হলেন, পুর্বধলা উপজেলার শ্যামগঞ্জের নাঈম মিয়া, শিমুল মিয়া, শাজাহান মিয়া, ফুলপুর উপজেলার হাটুলিয়া গ্রামের রাসেল। ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস আহত নিহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। আহত রাসেল, নাঈম ও শাজাহানকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
ঈশ্বরদী (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ঈশ্বরদীতে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আশরাফুল ইসলাম (২৫) ও শিপন (২৩) নামের দুই মোটরসাইকেল আরোহীর করুন মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের ফার্ম পাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আশরাফুল পার্শ্ববর্তী আটঘরিয়া উপজেলার আরপি পাড়া গ্রামের হাসিবুর রহমানের ছেলে। অপরজন শিপন একই এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে। খবর পেয়ে পাকশী হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত লাশ উদ্ধার করে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে বাড়ি থেকে মটর সাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয় আশরাফুল ও শিপন। দ্রæত গতিতে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় দাশুড়িয়া-মূলাডুলি মহাসড়কের ফার্ম পাড়া এলাকা অতিক্রম করার সময় হঠাৎ তাদের মোটরসাইকেলটি মহাসড়কেই ছিটকে পড়ে ছেঁচরে যায়। সে সময় ওই দুইজনের মাথায় প্রচন্ড আঘাতপ্রাপ্ত হলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। পাকশী হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শ্রী গনেশ চন্দ্র মন্ডল ঘটনার সত্যতা শিকার করে জানান, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কোন অভিযোগ না থাকায় পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
বগুড়া ব্যুরো জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার বগুড়া-নওগাঁ সড়কে বগুড়ার কাহালু উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় সিহান (২০) নামে এক মটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। এঘটনায় আরো ৩ জন আহত হয়।
পুলিশ জানায়, আদমদিঘী উপজেলার নশরতপুরের নুরুল ইসলামের ছেলে সিহান তার ২ বন্ধুকে নিয়ে বেলা ১১ টার দিকে আদমদিঘী থেকে শহরে আসছিলো। পথে কাহালুর পোড়াপাড়া এলাকায় মটরসাইকেল নিয়ন্ত্রন হারিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে মটরসাইকেল চালক সিহান ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং পথচারীসহ মটরসাইকেলের অপর দুই আরোহী আহত হয়। আহতদের বগুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।