পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দিনাজপুর অফিস : দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে এবার প্রায় ৫ লাখ মুসল্লি ঈদ-উল ফিতরের সালাত আদায় করেছেন। দেশের অভ্যনÍরে এটাই সর্ববৃহৎ এবং পাক- ভারত উপমহাদেশে অন্যতম বৃহত্তম ঈদের জামাত বলে জানিয়েছেন ঈদগাহ কমিটি। অন্যান্য বারের তুলনায় এবার ঈদগাহ কমিটির সাংগঠনিক তৎপরতা ভালো হওয়ায় সেই সাথে মিডিয়া ফোকাস থাকায় ঈদের দিন ফজরের পর থেকেই গোর-এ শহীদ ময়দানে মুসল্লিদের ঢল নামে। সকাল ৯ টা হতেই কানায় কানায় পুর্ন হয় গোর-এ শহীদ বড় ময়দান। এক সঙ্গে ৫ লাখ মুসল্লির জমায়েত পাক- ভারত উপমহাদেশে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে। দিনাজপুর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলা ও উপজেলার হাজারো ধর্মপ্রাণ মানুষ এই ঈদগাহ মাঠে নামাজে অংশ নেন। বরাবর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত হয় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ময়দানে। যেখানে সাধারণত লক্ষাধিক মুসল্লির জমায়েত হয়ে থাকে । উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ দিনাজপুরে এবারই প্রথম প্রায় ৫ লাখ মুসল্লির ঈদের নামাজের আয়োজন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি। এ আয়োজনের প্রাথমিক কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালে। ৪ বছর পর ২০১৭ সালে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহে ঈদের নামাজে অংশ নিতে মুসল্লিদের ঢল নামে। জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা শামসুল হক কাসেমি। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিñিদ্র নিরাপত্তায় ঈদ উল ফিতরের নামাজে অংশ নেন বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম, হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরী,পুলিশ সুপার হামিদুল আলমসহ সর্বস্তরের মুসল্লি। মুসল্লিরা শুকরিয়া আদায় করেন। মুসল্লিদের মধ্যে ছিল আনন্দ ও খুশির আমেজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও পরামর্শে হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি এই ঈদগাহ মাঠের কাজ শুরু করেন ২০১৪ সালে। হুইপ জানান, শোলাকিয়া নামাজ হয় ৭ একর জায়গা জুড়ে। আর গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে নামাজ হয়েছে ২২ একর জায়গায় । ভবিষ্যতে স্টেশন ক্লাব সরিয়ে নিলে এর আয়তন হবে ৩২ একর । ৩২ একর জায়গায় ঈদের নামাজ পড়া ইতিহাস উপমহাদেশের কোথাও নেই। কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি এই ঈদের জামাত স¤প্রচার করে। শান্তিপুর্ন ভাবে ঈদ-উল ফিতরের নামাজ সম্পন্ন হওয়ায়, পুলিশ, র্যাব, আনসারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি। উল্লেখ, সেনাবাহিনীর মালিকাধীন দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানের এই বিশাল মাঠে প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে ঈদগাহ মিনার। দৃষ্টি নন্দন এই মিনারে রয়েছে ৫২টি গম্বুজ। প্রধান গম্বুজের সামনে রয়েছে মেহরাব, ৪৭ ফুট উচ্চতায় ইমাম ছাহেবের দাঁড়ানোর স্থান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।