পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : বিশ্ব মুসলিমের পবিত্রতম স্থাপনা কাবা শরীফে আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা রুখে দিয়েছে সউদী আরব।
সরকারি সূত্র বলছে, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চলছিল। ষড়যন্ত্রে জড়িত সন্দেহে এক নারীসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। আরব নিউজ বলছে, গত শুক্রবার মসজিদ এলাকার দুটি ভবনসহ মোট তিনটি এলাকায় নিরাপত্তা রক্ষীরা অভিযান চালায়। বিবিসির প্রতিবেদনে সউদী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ভবনে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের মধ্যেই একজন আত্মঘাতী জঙ্গি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। এ সময় ওই ভবনটি বিধ্বস্ত হয়ে ১১ ব্যক্তি আহত হয়েছে। তবে কীভাবে বা কারা ওই হামলার পরিকল্পনা করছিল, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু এখনো জানাননি সউদী কর্মকর্তারা।
সউদী নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা জানায়, মসজিদুল হারাম এলাকার যে দুটি ভবনে জঙ্গিরা অবস্থান নিয়েছিল সেগুলো আসিলাহ ও আজইয়াদ আল-মাসাফি এলাকায় অবস্থিত। এর একটিতে এক আত্মঘাতি জঙ্গিকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলার পর সে পুলিশের দিকে গুলি চালায়। পুলিশ পাল্টা গুলি চালানোর পর ওই জঙ্গি আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দিলে ভবনটি ধসে পড়ে। এতে পাঁচ নিরাপত্তারক্ষীসহ ১১ জন আহত হয়।
সউদী কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই ঘটনায় ভবনটি বিধ্বস্ত হয়। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান এখনও চলছে, এক নারীসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তবে জঙ্গিদের পরিচয় বা তাদের পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য সউদী কর্তৃপক্ষ জানায়নি।
মক্কার বাইরে জেদ্দা থেকেও এক জঙ্গিকে আটকের কথা জানিয়েছে আরব নিউজ। এক গ্যাস স্টেশন থেকে সউদী আরবের স্পেশাল ইমার্জেন্সি ফোর্সের সদস্যরা ওই জঙ্গিকে আটক করার পর তার বাড়ি থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে বলে জানানো হয়েছে। সউদী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-এর দাবি, ওই জঙ্গিরা মসজিদুল হারামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছিল।
রমজান মাসের শেষ দশ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কয়েক লাখ মানুষ ওমরাহ পালন করতে মক্কায় যান। বিপুল জনসমাগমকে লক্ষ্য করেই হামলার দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়েছিল। সুন্নী-অধ্যুষিত সউদী আরবে স¤প্রতি বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে বেশ কয়েকটির দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এসব হামলার অধিকাংশই হয়েছে সংখ্যালঘু শিয়া এবং সউদী নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে মদিনায় মসজিদে নববীর কাছে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় চার নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছিলেন।
এদিকে অবরোধে কঠোর শর্ত আরোপ সত্তে¡ও কাতার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সউদীকে সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে। হামলা-পরিকল্পনার নিন্দা জানানো হয়েছে তেহরানের পক্ষ থেকে। সূত্র : বিবিসি ও আরব নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।