পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : জাতীয় ঈদগাহে ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে মুসল্লিদের প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
জননিরাপত্তার স্বার্থে এমনকি পানির বোতলও নয়। গতকাল শুক্রবার বেলা সোয়া ৩টার দিকে জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, আমরা নিরাপত্তার বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। নিরাপত্তার স্বার্থে ঈদগাহের প্রবেশদ্বারে অনেকগুলো ডিভাইস স্থাপন করবো। যে কারণে ঈদের নামাজের মুসল্লিদের অনুরোধ করবো শুধু মাত্র জায়নামাজ নিয়ে ঈদগাহে আসবেন। এর বাইরে পানির বোতল আনাকেও নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। বেনজীর আহমেদ আরো বলেন, আমরা এবার রমজানে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আল্লাহ’র রহমতে বড় কোনো সমস্যা হয়নি। ইনশাল্লাহ আগামী ২/৩ রোজাতেও আশানুরূপ নিরাপত্তা বলবৎ থাকবে। এবার অন্যবারের তুলনায় রাস্তায় ভোগান্তি কম লক্ষ্য করা গেছে। জনভোগান্তি কমাতে র্যাব-পুলিশসহ অন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী কাজ করছে। এখন চাপ দেখা যাচ্ছে চন্দ্রা ও মাওয়া ঘাটে। হয়তো বিকেলে সদরঘাটেও চাপ থাকবে। তবে ঈদ যাত্রা এবার সন্তোষজনক বলে দাবি করেন তিনি।
র্যাবের ডিজি বলেন, আমরা র্যাবের কমান্ডিং ও অপারেশন উইং নিয়ে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন করেছি। কিছু কিছু বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। মুসল্লিদের প্রতি আহŸান জানিয়ে বেনজীর আহমেদ বলেন, জাতীয় ঈদগাহে প্রেসিডেন্টসহ অনেক মন্ত্রী ও সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা আসবেন। সব মুসল্লির নিরাপত্তার জন্য জায়নামাজ ব্যতীত অন্যকিছু আনাকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এছাড়া ঈদগাহের নিকটবর্তী গাড়ি পার্কিং করতে দেয়া হবে না। যারা নামাজ পড়তে জাতীয় ঈদগাহে আসবেন তারা যেন দূরে গাড়ি পার্কিং করে আসেন।
শোলাকিয়ায় ঈদগাহের কাছে গতবছরের হামলার পর আপনাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন থাকবে এবং তা কি সন্তোষজনক কিনা জানতে চাইলে র্যাবের ডিজি বলেন, আমরা ঢাকার পাশাপাশি দেশের অন্য বড় ঈদগাহে র্যাবের ক্যাম্প স্থাপন করবো। র্যাবের পাশাপাশি অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতিও রয়েছে। এবার শোলাকিয়ায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই। গত বছরের ১ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিতে মারা গেছে ৮ জঙ্গি। গ্রেফতার হয়েছে ১৬০ জঙ্গি। এছাড়া র্যাবের বিভিন্ন অভিযানে জঙ্গি অর্থায়নের নগদ ৬৭ লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে। অপারেশন, দাওয়াতি, মিডিয়া, ওলামা শাখাসহ প্রায় ক্ষেত্রেই জঙ্গি নেটওয়ার্ক ভেঙে পড়েছে। তবে এজন্য আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।