Inqilab Logo

রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বৃহত্তর খুলনার ঈদের জামাতে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী

| প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম


থাকছে সিসি ক্যামেরা র‌্যাব পুলিশ : ঈদ বাজারে প্রায় ৪ হাজার পুলিশ মোতায়ান : জঙ্গি প্রতিরোধে খুতবায় বক্তৃতা দিতে ইমামদের পরামর্শ
আবু হেনা মুক্তি ঃ কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এবার খুলনা মহানগরীসহ বৃহত্তর খুলনার তিন জেলার ২৫টি উপজেলার প্রায় ৫ হাজার মসজিদ ও খোলা ময়দানে পবিত্র ঈদ উল ফিতরের জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার জঙ্গি বা যে কোন নাশকতামুলক কর্মকান্ড প্রতিরোধে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। এ ধরনের পদক্ষেপ এবারই প্রথম। খুলনার প্রধান জামাত সার্কিট হাউজ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায়, বাগেরহাটের প্রধান জামাত ষাট গম্বুজ মসজিদ প্রাঙ্গনে সকাল সাড়ে ৮টায় ও সাতক্ষীরার প্রধান জামাত মুনজিতপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সোয়া ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। মহানগরীর সহ ৩ জেলার এসব মসজিদ ও ঈদগাহ ময়দানে প্রায় ৫ সহস্রাধিক পুলিশ মোতায়নের পাশাপাশি র‌্যাব গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী এজেন্সি মোতায়ন থাকবে। একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরার শতাধিক স্থানে বিশেষ নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া খুলনা মহানগরী, সাতক্ষীরা জেলা সদর ও বাগেরহাট জেলা সদরের মার্কেটগুলোতে ঈদ পরবর্তী দু’দিন পর্যন্ত নিরাপত্তা বহাল থাকবে। এখানে ঈদ বাজারে প্রায় ৪ হাজার পুলিশ মোতায়ান করা হয়েছে। ইসলামী ফাউন্ডেশনের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক মো: লোকমান হোসেনের দেয়া তথ্যমতে, জঙ্গি প্রতিরোধে কোরআন হাদিসের আলোকে শান্তি শৃঙ্খলা স্থাপনের জন্য খুতবায় বক্তৃতা দিতে ইমামদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এদিকে, পবিত্র ঈদ উল ফিতরের জন্য শুধুমাত্র খুলনা মহানগরী ও ৯ উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়নে ১৭শ’ মসজিদ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের নামাজ চলাকালীন সময় এসব স্থানে সক্রিয় থাকবে সিসি ক্যামেরা। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থানে র‌্যাবসহ প্রয়োজনীয় পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার জন্য স¤প্রতি খুলনা জেলা প্রশাসন এক প্রস্তুতিমুলক সভার আয়োজন করে।  
সূত্রমতে,  উপজেলা পর্যায়ে নিরাপত্তার জন্য ৮শ’ ৫৬জন পুলিশ মোতায়ন করা হবে। গুরুত্বপূর্ন স্থানগুলোতে মেটাল ডিটেক্টর বসানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। খুলনা সদর আসনের এমপি আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান ইনকিলাবকে বলেন, পবিত্র ঈদ উল ফিতরে কোন ন্যাকারজনক ঘটনা না ঘটে তার জন্য প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঈদ মুসলমানদের পবিত্র ধর্ম উৎসব। দীর্ঘ এক মাস সিয়ামের পর খুশির দিনে কোন রকম নাশকতা বরদাস্ত করা হবে না।
সাতক্ষীরা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ডা: আ ফ ম রুহুল হক বলেন, আমি স¤প্রতি এলাকাতে এসে ঈদের জামাত যাতে সুষ্ঠভাবে হয় সে বিষয়ে প্রশাসনকে দিক নির্দেশনা দিয়েছি। আশা করি পবিত্র ঈদে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না। আর কোন মহল যদি ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করে তা সরকার কঠোর হস্তে দমন করবে।
কেএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার রাশিদা বেগম ইনকিলাবকে বলেন, নিরাপত্তার লক্ষে খুলনা  সার্কিট হাউজ ময়দানসহ উল্লেখযোগ্য আলিয়া মাদ্রাসা, পিটিআই জামে মসজিদ, বায়তুন নূর, বায়তুল আমান, নিরালা আবাসিক এলাকায় প্রয়োজনীয় সিসি ক্যামেরা ও পুলিশ মোতায়ন থাকবে।
এছাড়া সার্বক্ষনিক সর্বত্র গোয়েন্দা নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। নগরীর ঈদের বাজারে নিরাপত্তার জন্য ২ হাজার পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) সি এ হালিম বলেন, খুলনা জেলায়  ঈদে দু’দিন পরবর্তী গুরুত্বপূর্ন স্থানগুলোতে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কামরুজ্জামান জানান, আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হবে। এছাড়া সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাগেরহাটের কয়েকটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে মোবাইলে আলাপাকালে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈদ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ