পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্্শী : যাকাত নেসাব পরিমাণ মালের অধিকারী মুসলিম নারী, পুরুষ, বালক, বালিকা নির্বিশেষে সকলের উপরই ফরজ। এক বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর শরীয়তের নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ, মাল ও পশু সম্পদের যাকাত আদায় করতে হবে। আলকুরআনে বার বার নির্দেশ করা হয়েছে যে, তোমরা নামাজ কায়েম কর এবং যাকাত আদায় কর। এখানে আদায় কর নির্দেশটি ফরজ সাব্যস্ত হওয়ার চূড়ান্ত দলীল।
এ প্রসঙ্গে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন : রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন হযরত মুয়াজ বিনি জাবাল (রাঃ) কে ইয়েমেনে প্রেরণ করলেন, তখন তাঁকে বলেছিলেন : তুমি আহলে কিতাবদের (আসমানী কিতাব প্রাপ্তদের) এক সম্প্রদায়ের নিকট গমন করবে। তখন তুমি তাদেরকে এই কথার সাক্ষ্য দিতে আহŸান জানাবে যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই, এবং আমি আল্লাহর রাসূল। তারা যদি তোমার এই কথা মেনে নেয়, তাহলে তাদেরকে জানিয়ে দিবে যে, আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত তাদের প্রতি রাত দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। তোমার এই কথাও যদি তারা স্বীকার করে নেয়, তখন তাদেরকে বলবে যে, আল্লাহ পাক তাদের প্রতি তাদের ধন-সম্পত্তির উপর যাকাত ফরজ করে দিয়েছেন। ইহা তাদের ধনী লোকদের নিকট হতে আদায় করা হবে এবং তাদেরই ফকির, মিসকীন লোকদের মধ্যে বণ্টন করা হবে। তারা যদি তোমার এই কথাও মেনে নেয়, তাহলে তাদের অতি উৎকৃষ্ট মালগুলো তুমি যাকাত হিসেবে আদায় করবে না। আর তুমি মজলুমের দোয়াকে সব সময় ভয় করে চলবে। কেননা, মজলুমের দোয়া ও আল্লাহর মাঝ খানে কোন প্রতিবন্ধক বা আবরণ নেই। (সহীহ মুসলিম, সহীহ বুখারী ও মুসনাদে আহমাদ)
এই হাদীসে ‘সাদকা’ শব্দটির উল্লেখ পাওয়া যায়। ‘সাদকা’ অর্থ যাকাত, যা আদায় করা ফরজ। ইহা সাধারণ দান খয়রাত নয়। কেননা কুরআনুলকারীমেও ‘সাদকা’ শব্দটি যাকাত অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। অধিকন্ত সাধারণ দান খয়রাত কখনো ফরজ নয় এবং তা জোর করে আদায় করবার নিয়ম নেই। অথচ ইসলামী হুকুমত আইন প্রয়োগের মাধ্যমে যাকাত আদায় করতে পারে।
এই হাদীস হতে প্রমাণিত হয় যে, ঈমানদার ধনী লোকদের উপর যাকাত নিয়মিত আদায় করা ফরজ। ইসলামী হুকুমত নিজস্ব ক্ষমতায় সরাসরিভাবে কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধির মাধ্যমে এই যাকাত আদায় করবার অধিকার রাখে। যাকাত আদায়কারী ব্যক্তিগণ একে অন্যের সাথে দ্বীনি ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে থাকেন। এ প্রসঙ্গে কুরআনুল কারীমে ইরশাদ হয়েছে : তারা যদি তাওবাহ করে, নামাজ কায়েম করে, এবং যাকাত দান করে তবেই তারা দ্বীনি ভাইবলে পরিগণিত হবে। মনে রাখা দরকার যে, অপ্রাপ্তবয়স্ক যারা নেসাব পরিমাণ মালের অধিকারী, তাদের পক্ষ হতে তাদের ওলী- বা অভিভাবক যাকাত আদায় করে দেবে। এটাই শাশ্বত বিধান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।