Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বজ্র-বৃষ্টির আশঙ্কায় ২নং সতর্কতা সংকেত ভারী বর্ষণে দক্ষিণাঞ্চলে বিপর্যস্ত জনজীবন

| প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : দক্ষিণ-পশ্চিম মওসুমী বায়ু সক্রিয় হবার পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর থেকে বৃষ্টি বহন করে ধেয়ে আসা মেঘমালার কারণে গতকাল বরিশাল সহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরে। আবহাওয়া বিভাগ থেকে আজ সকালের পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায়ও বৃষ্টিপাতের প্রবনতা অব্যাহত থাকার কথা বলা হয়েছে। বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো নদী বন্দরে ৬০-৮০কিলোমিটার বেগে বজ্র বৃষ্টি সহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাবার আশঙ্কায় ২ নম্বর সতর্ক সংকেতের আওতায় আনা হয়েছে। ফলে অনধীক ৬৫ফুট দৈর্ঘ্যরে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযানের বলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বরিশালে ৫৩মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সাথে প্রায় ৪০কিলোমিটার বেগের ঝড়ো হাওয়া সহ ব্যপক গর্জনের বজ্রপাত জনমনে ব্যপক ভীতি ছড়ায়। গোটা মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলের অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ও সরবারহ ব্যবস্থায়ও বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। অনেক এলাকাতেই সন্ধ্যার আগে বিদ্যুৎ আসেনি। আষাঢ়ের আসন্ন অমাবশ্যার ভড়া কোটালে ভর করে আবহাওয়া পরিস্থিতির আরো অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। বৈরী আবহাওয়া এবারের ঈদ বাজারেও চরম বিপত্তি সৃষ্টি করছে বার বার।
গতকাল দুপুর ১২টার আগেই দক্ষিণাঞ্চলের আকাশ কালো করে মেঘমালা বৃষ্টি সাথে করে ধেয়ে এসে সাড়ে ১২টার পরে বজ্র-বৃষ্টি ঝড়াতে শুরু করে। টানা প্রবল বর্ষণে বরিশাল মহানগরীর বেশীরভাগ এলাকাই পানিতে তলিয়ে গেছে। এমনকি বৃষ্টির পানিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান ফটকেও এক হাটু পানি জমে যায়। নগরীর বগুড়া রোড, সদর রোড, কাকলির মোড়, ফজলুল হক এভেনিউ  ও নবগ্রাম রোড সহ বেশীরভাগ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাই ৬ইঞ্চি থেকে দেড় ফুট পানির তলায় চলে যায়। এসব রাস্তার পাশেই বড় ধরনের ড্রেন থাকলেও পার্শ্ববর্তী কতিপয় জামির মালিক রাস্তার ওপর বালু ফেলে রেখে ভবন নির্মাণ করছেন মাসের পর মাস।  রাস্তার ওপর ফেলে রাখা বালু সাইড ড্রেন দিয়ে মূল ড্রেনে প্রবস করে পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা প্রায় অবরুদ্ধ করছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেও বরিশাল মহানগরীর বেশরিভাগ রাস্তাঘাটই সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। নগর প্রশাসন এক্ষত্রেও অনেকটাই স্বেচ্ছা অন্ধত্বে ভুগছে। মাথাভারী বরিশাল নগর প্রশাসনের দেড় হাজার শ্রমিক ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী রাস্তাঘাট ও ড্রেনসমূহ নিয়মিত পরিস্কার না করার কারণেও এ এনগরীর পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা ক্রমশ বিপর্যয়ের কবলে পড়ছে।
গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে প্রায় আড়াই ঘন্টার টানা প্রবল বর্ষণে সুস্থ নগর ব্যবস্থার পাশাপাশি ঈদ বজারও সম্পূর্ন বন্ধ হয়ে যায়। হাজার-হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু বিভিন্ন দোকান পাট ও বিপনী বিতানগুলোতে প্রায় ৩ঘন্টা অবরুদ্ধ ছিলেন। আবহাওয়া বিভাগের বুলেটিনে মওসুমী বায়ু সারাদেশে সক্রিয় থাকার পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগওে দুর্বল থেকে মাঝারী অবস্থায় থাকার কথা জানান হয়েছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চম বঙ্গ ও তৎ সংলগ্ন বাংলাদেশ এরাকায় অবস্থান করার পাশাপাশি যা উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত থাকার কথাও জানান হয়েছে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস সহ রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকার
কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ