পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিজের একাউন্ট ব্যালেন্স এবং পিন কোড নাম্বার কাউকে বলা যাবে না
ফারুক হোসাইন : ঈদ ঘনিয়ে এলেই বাড়তে থাকে বিকাশকে কেন্দ্র করে প্রতারণা। রমজানের মাঝামাঝি থেকে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে প্রতারক চক্র। বিকাশ গ্রাহকদের অসতর্কতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নানা কৌশলে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রের সদস্যরা। সুলভ মূল্যে ফ্ল্যাট, প্লটের অফার, অপহরণ, মানবপাচার, চুরি, হ্যাকিং, সিম রিপ্লেস, ন্যাশনাল আইডি জালিয়াতি, জিনের বাদশা অফার, বিকাশ অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করা, লটারিতে বিজয়ী বলে টাকা পাঠানোর অফার দেয়া হয়। ভুয়া ম্যাসেজ দিয়ে টাকা ফেরত চাওয়ার ঘটনাও বাড়ছে নতুন করে। তবে যারা সচেতন ও সতর্ক থাকছেন তারা বেঁচে যান এই প্রতারণার ফাঁদ থেকে। মুহাম্মদ সানাউল্লাহ নামে একজন বিকাশ গ্রাহক গতকাল বিকেলে তার নিজস্ব বিকাশ নাম্বারে টাকা নেয়ার পরপরই ০১৭৮৪১৯৯৫৪৬ থেকে ফোন আসে। নাম্বারটিতে বিকাশ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের পরিচয় দেয়ার পর বলা হয় আপনার বিকাশে সর্বশেষ টাকা নিয়েছেন (তিনি যে পরিমান নিজের অ্যাকাউন্টে নিয়েছিন সেই পরিমান বলে)। এরপর বলা হয় আপনার অ্যাকাউন্টের তথ্য হালনাগাদ না হওয়ায় আজকেই এটি বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের কিছু তথ্য দিলে আমরা হালনাগাদ করে দিবো। এরপর তিনি নাম, সর্বশেষ বিকাশের পরিমান, পুরাতন পিন ও নতুন পিন দেয়ার কথা বলে। পিন নাম্বার চাওয়ার পরপরই তিনি বুঝতে পারেন ধোকা খাচ্ছেন এবং কলটি কেটে দেন। এরপর কাস্টামার কেয়ার সেন্টারে ফোন দিলে জানানো হলে সেখান থেকে জানায় সেটি তাদের নম্বর না। সানাউল্লাহ এই প্রতারণার হাত থেকে বেঁচে গেলেও ইসমাঈল হোসেন নামের অপর একজন গ্রাহক এই একই পদ্ধতিতে পিন নম্বর দিয়ে তার অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা খুইয়েছেন।
নির্মাতা স্যামুয়েল রনোর মোবাইলে গত ১২ জুন এক অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলা হয় আপনার মোবাইলে ভুল করে আমার বিকাশের মাধ্যমে কিছুটা টাকা চলে গেছে। ওই নির্মাতা নিজের মোবাইল চেক করে জানান, না এরকম কোনো টাকার মেসেজ আসে নি। কিন্তু অপরপ্রান্তের লোকটি জোর গলায় বলেন, হ্যাঁ অবশ্যই গেছে। টাকাটা ফেরত দিলে উপকার হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে একটি মেসেজ আসে। যেখানে লেখা ছিল ক্রেডিট ৫ হাজার টাকা। ফের ওপর প্রান্ত থেকে মেসেজ চেক করতে বলেন। এবার স্যামুয়েল রনো দেখেন মেসেজ এসেছে এবং সেটা ৫ হাজার টাকার। যেহেতু মেসেজ এসেছেই তিনি আর চিন্তা না করে দ্রæত কল করা নম্বরে বিকাশ করে ৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। পরে নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখেন কোনো টাকাই যোগ হয়নি। বরঞ্চ তার অ্যাকাউন্টে পূর্বে থাকা ৮ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা অবশিষ্ট আছে।
কয়েকদিন আগেই ইকবাল হাসান নান্টু নামের একজন গ্রাহকের ফোনে একটি নম্বর থেকে কল দিয়ে বলা হয় আপনার অ্যাকাউন্টে ভুলে ১৪ হাজার টাকা চলে গেছে। নান্টু সিএনজিতে থাকায় ম্যাসেজ দেখে ব্যালান্স চেক না করেই কল করা নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে দেন। পরে দেখেন কোন টাকা আসেনি বরং তার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা খোয়া গেছে।
শুধু এই কয়েকটি ঘটনাই নয়, প্রতিদিনই এরকম অসংখ্য ঘটনা ঘটছে এবং প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এই প্রতারণা থেকে পরিত্রাণ পেতে গ্রাহকদের সচেতন হওয়ার আহŸান জানিয়েছে বিকাশ। বিকাশের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিকাশ কাস্টামার কেয়ার সেন্টারের একটিই নাম্বার ১৬২৪৭। অন্য কোন নাম্বার থেকে বিকাশ গ্রাহকদের ফোন দেয়া হয় না। মনে রাখতে হবে যেসব নাম্বারে বিকাশ লেনদেন হয় সেসব নাম্বারকেই টার্গেট করে প্রতারকচক্র। ম্যাসেজের বিষয়ে বলা হয়, ভালো করে দেখেন ম্যাসেজটি আসলে নশধংয এর নয় নশবংয এর পার্থক্য একটা ধ এবং এর মধ্যে।
প্রতারণা থেকে বাঁচতে বিকাশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এই ধরণের প্রতারণা থেকে বাঁচতে হলে প্রথমে সতর্ক হতে হবে। এজন্য নিজের একাউন্ট ব্যালেন্স এবং পিন কোড নাম্বার কখনই কাউকে বলা যাবে না। অন্য কেউ টাকা পাঠানোর কথা বললে ম্যাসেজ চেক না করে ব্যালান্স চেক করতে হবে। যত ম্যাসেজই আসুক না কেন আগে ব্যালান্স দেখতে হবে যে টাকা যোগ হয়েছে কিনা। চেক না করে কাউকে টাকা পাঠানো যাবে না। কারো প্ররোচনায় পরে লটারি জেতার নাম করে কাউকে টাকা পাঠাবেন না। যে কোন প্রয়োজনে ১৬২৪৭ নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।