পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ৮০০ কোটি টাকা চুরি করেছে হ্যাকাররা। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চুরি যাওয়া অর্থ ফিলিপাইনে রয়েছে বলে ধারণা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সম্প্রতি ফিলিপাইন সরকার তাদের অর্থ বাজারে ৮০০ কোটি টাকা বেশি পায়। অর্থের উৎস খুঁজতে গিয়ে জানতে পারে এ পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ থেকে গিয়েছে। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে হ্যাকাররা এ অর্থ বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেয়। সেই দেশের পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পরে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থের উৎস ও কীভাবে সরানো হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত করে। এরই মধ্যে দুইজন ব্যাংকারকে পাঠানো হয়েছে ফিলিপাইনে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকও করেছে তারা। কোন পদ্ধতিতে টাকা সরানো হয়েছে তা নিয়ে চলছে অনুসন্ধান।
গতকাল আনুষ্ঠানিক বৈদেশিক মজুদ থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বিপুল অংকের টাকা চুরি যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর সচিবালয়ের (প্রটোকল) মহাব্যবস্থাপক এএফএম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হ্যাকড হওয়ার টাকার একাংশ আদায় করা সম্ভব হয়েছে। অবশিষ্ট টাকার গন্তব্য শনাক্ত করে আদায়ের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট ফিলিপাইনের একটি মানিলন্ডারিং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে কাজ করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইতিমধ্যে ফিলিপাইনের ওই কর্তৃপক্ষ তাদের দেশের আদালতে মামলা দায়ের করেছে। আদালত সন্দেহভাজন সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবগুলোর লেনদেন বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি বিশ্বব্যাংকের সাইবার বিশেষজ্ঞ ও পরামর্শক এবং তার একটি টিম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করছে। ফিলিপাইনের ওই কর্তৃপক্ষের তদন্ত শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাকি টাকা আদায়ের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও ফিলিপাইনের পত্রিকার খবর সূত্রে জানা গেছে, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার একটি অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে সাইবার অপরাধীরা। প্রাথমিক তদন্তে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, চীনা হ্যাকারদের একটি দল বিপুল এ অর্থ প্রথমে ফিলিপাইনের ব্যাংকিং চ্যানেলে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে অন্য কোথাও পাচার করে।
এদিকে ফিলিপাইনের দৈনিক দ্য ইনকোয়েরার পত্রিকায় গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ থেকে ১০ কোটি ডলার মানি লন্ডারিং হয়েছে বলে একটা খবর প্রকাশ করে। ওই খবরে বলা হয়, দেশটির মাকাতি শহরে অবস্থিত রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের একটি শাখার মাধ্যমে ওই অর্থ ফিলিপাইনে আসে। চীনা হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংক অথবা সেখানকার কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এ অর্থ হাতিয়ে নেয়। হ্যাকার দল এ অর্থ প্রথমে ফিলিপাইনে পাচার করে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অর্থ পাচারের এ ঘটনা তদন্ত করছে ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল।
জানা যায়, রিজার্ভের অর্থ কোন দেশে, কোথায় বিনিয়োগ বা সংরক্ষণ করা আছে তা সুইফট কোডের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বিশ্বব্যাপী সুরক্ষিত হিসেবে বিবেচিত এ নেটওয়ার্ক হ্যাক করে রিজার্ভ থেকে টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।