Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কটূক্তির তীব্র নিন্দা হযরত ইবরাহীম (আ.) কে অমুসলিম বলা কুরআন বিরোধী -জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম

| প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : এটি এন বাংলার প্রধান নির্বাহী সম্পাদক জ,ই’ মামুন বøগার অমি রহমান পিয়ালের ফেসবুক স্ট্যাটাসে গিয়ে কমেন্ট করেছেন, “হযরত ইবরাহিম কি করে মোছলমানের জাতির পিতা হন, তিনি তো অমুসলিম।” তার এ বক্তব্যের তিব্র প্রতিবাদ করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী এবং কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া।
গতকাল এক বিবৃতিতে তারা বলেন, কিছু সংখ্যক ইসলাম বিরোধী বøগার নাস্তিক মুরতাদ এবং উগ্র হিন্দু আল্লাহ, নবী, রাসূল (সা.), ইসলাম ও মুসলমানদের নিয়ে ধৃষ্টতাপূর্ণ জঘন্য কটূক্তি করেই চলছে লাগাতারভাবে। এদেরই একজন নোয়াখালীর চৌহমুনির নয়ন শাহা এক ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে বছেলেন,  “হযরত শাহ জালাল ছিল ডাকাত সর্দার এবং সঙ্গের ৩৬০ জন (আওলিয়া) ছিল ডাকাত নাউজুবিল্লাহ। এরই রেশ ধরে এটি এন বাংলার জ,ই’ মামুন বøগার অমি রহমান পিয়ালের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেছেন, “হযরত ইবরাহীম (আ.) ছিলেন অমুসলিম (নাউজুবিল্লাহ)। সে আবার মুসলিম জাতির পিতা হয় কীভাবে?” তারা বলেন, এরূপ জঘন্য মন্তব্য করে জ,ই’ মামুন ঈমান হারিয়েছেন। উক্ত বক্তব্য প্রতাহার করে তওবা না করলে তার কোন ক্ষমা নেই। কারণ পবিত্র কুরআনের ৩নং সুরা- আল-এমরানের ৬৭ নং আয়াতে  আল্লাহ তায়ালা বলেন, হযরত ইবরাহীম (আ.) ইহুদীও ছিলেন না খ্রিস্টানও ছিলেন না, তিনি ছিলেন খাটি মুসলিম । সূরা হজ্বের ৭৮ নং আয়াতে হযরত ইবরাহীম (আ.) কে জাতির পিতা বলা হয়েছে।    পবিত্র কুরআনের ৬৮ নং সূরা- আল কালামের ১০-১৩ নম্বর আয়াতের তফসীরে বলা হয়েছে যারা নবীগণ সম্পর্কে গালি দেবে বা খারাপ মন্তব্য করবে তারা জন্মদোষসহ  ১০টি দোষে দোষী।
জ,ই’ মামুন সাহেব নবী হযরত ইবরাহীম (আ.) সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন তা নবী সম্পর্কে গালী বা খারাপ মন্তব্য।  হযরত ইবরাহীম (আ.) এর উপর আল্লাহ তায়ালা ছহীফা নাজিল করে ছিলেন। তাঁকে দিয়ে মহান আল্লাহ তার ঘর পবিত্র কাবা শরীফ  নির্মাণ করেছিলেন। হযরত ইবরাহীম (আ.)  কাফের বা অমুসলিম হলে কুরআনের ৬০ এর বেশী  স্থানে তাঁর সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন। তাঁকে নমরুদের অগ্নিকান্ডের ভেতরে রেখে হেফাজত করতেন না এবং তাঁর দ্বারা পবিত্র কা’বা শরীফ নির্মাণ করাতেন না,  তাঁর উপর ছহীফাও নাজিল করতেন না। তাঁর মাধ্যমে পবিত্র কুরবানীর নিদর্শন চালু করাতেন না এবং তাঁর ছেলে হযরত ইসমাঈল (আ.) কে নবী বানাতেন না। সুতরাং কেউ অজ্ঞ না হলে ইবরাহীম (আ.) সম্পর্কে  এ জাতীয় মন্তব্য করতে পারে না। আর এরূপ মন্তব্য করলে ইসলামী শরীয়তে কঠিন শাস্তির বিধান রয়েছে।



 

Show all comments
  • mosiur rahman ২১ জুন, ২০১৭, ১০:৫৭ এএম says : 0
    এই সব নাস্তিকদের ফাঁসিতে ঝুলানো হোক।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ