Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সংসদে বিমানমন্ত্রী দুই অর্থবছরে বিমান লাভ করেছে ৬শ’ কোটি টাকা

| প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার ঃ বিগত ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৬০০ কোটি ১২ লাখ ৩৩ হাজার টাকা লাভ করেছে। এরমধ্যে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ৩২৪ কোটি ১৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা এবং ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ২৭৫ কোটি ৯৮ লাখ ৯৮ হাজার টাকা লাভ করেছে। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য সফুরা বেগমের প্রশ্নের জবাবে বিমান মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এ তথ্য জানান।  
সংসদে মন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী, ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ২৬টি অর্থ বছরে বিমান লাভ করেছে ১২ অর্থবছর। এরমধ্যে ১৯৯১-৯২ অর্থবছরে ৩২ কোটি ৮৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, ১৯৯২-৯৩ অর্থ বছরে ৬৯ কোটি ৬১ লাখ ১২ হাজার টাকা, ১৯৯৩-৯৪ অর্থ বছরে ৭০ কোটি ৭০ লাখ ৫৯ হাজার টাকা, ১৯৯৪-৯৫ অর্থ বছরে ৭২ কোটি ৭১ লাখ ২৯ হাজার টাকা, ১৯৯৫-৯৬ অর্থ বছরে ৩৪ কোটি ৮১ লাখ ২৭ হাজার টাকা, ১৯৯৮-৯৯ অর্থ ১৬ কোটি ২৯ লাখ ২৯ হাজার টাকা, ১৯৯৯-২০০০ অর্থ বছরে ১৩ কোটি ১৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকা, ২০০৩-০৪ অর্থ বছরে ৩৪ কোটি ১৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা, ২০০৭-০৮ অর্থ বছরে ৫ কোটি ৯১ লাখ ৫ হাজার টাকা, ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে ১৫ কোটি ৫৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ৩২৪ কোটি ১৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা এবং ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ২৭৫ কোটি ৯৮ লাখ ৯৮ হাজার টাকা লাভ করেছে।
বিমান বিগত ১৪টি অর্থ বছরে লোকসান দিয়ে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি জানান, ১৯৯০-৯১ অর্থ বছরে ২৭ কোটি ৪০ লাখ ৬৪ হাজার টাকা, ১৯৯৬-৯৭ অর্থ বছরে ৮১ কোটি ৩৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ১৯৯৭-৯৮ অর্থ বছরে ৪৪ কোটি ৫১ লাখ ৫ হাজার টাকা, ২০০০-০১ অর্থ বছরে ৯৩ কোটি ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা, ২০০১-০২ অর্থ বছরে ৭৩ কোটি ৭২ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ২০০২-০৩ অর্থ বছরে ৪৪ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকা, ২০০৪-০৫ অর্থ বছরে ১৯১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, ২০০৫-০৬ অর্থ বছরে ৪৫৪ কোটি ৭১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা, ২০০৬-০৭ অর্থ বছরে ২৭২ কোটি ১৭ লাখ ১১ হাজার টাকা, ২০০৯-১০ অর্থ বছরে ৪৬ কোটি ২ লাখ ৮ হাজার টাকা, ২০১০-১১ অর্থ বছরে ২২৪ কোটি ১৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, ২০১১-১২ অর্থ বছরে ৫৯৪ কোটি ২১ লাখ ১৫ হাজার টাকা, ২০১২-১৩ অর্থ বছরে ২৮৫ কোটি ৬৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা এবং ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ২৮৫ কোটি ৬১ লাখ ২২ হাজার টাকা লোকসান দিয়েছে।
৬ বছরে ৩১ লাখ পর্যটক বাংলাদেশ ভ্রমণ করেছে
সরকারি দলের সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে রাশেদ খান মেনন জানান, বিগত ৬ বছরে ৩১ লাখ ২২ হাজার ৭৫৬ জন পর্যটক বাংলাদেশ ভ্রমণ করেছে।  তিনি জানান, ২০১০ সালে ৫ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৫ জন, ২০১১ সালে ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৬৭৭ জন, ২০১২ সালে ৫ লাখ ৮৮ হাজার ১৯৩ জন, ২০১৩ সালে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৯৬ জন, ২০১৪ সালে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৫৩১ জন এবং ২০১৫ সালে ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৯৪ জন পর্যটক বাংলাদেশে এসেছে। বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে বিমানমন্ত্রী বলেন, বিদেশী ট্যুর অপারেটর বা পর্যটন বিষয়ক সাংবাদিক বা লেখক বাংলাদেশে পরিচিতিমূলক ভ্রমণে নিয়ে আসার জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের ট্যুর অপারেটরগণ যাতে সম্ভাবনাময় সোর্স দেশগুলোর ট্যুর অপারেটরদের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পাওে সে লক্ষ্যে বিজনেস টু বিজনেস সভার আয়োজন করা হচ্ছে। এছাড়া ডিজিটাল ও অনলাইন মাধ্যমে বাংলাদেশে ভ্রমণ সংক্রান্ত তথ্য যাতে পর্যটকগণ সহজে পেতে পারেন সে লক্ষ্যে ওয়েবসাইট হালনাগাদ করা হচ্ছে।
একই প্রশ্নের জবাবে পর্যটনমন্ত্রী বলেন, দেশী-বিদেশী পর্যটকদের জন্য ‘ভিসা অন এরাইভেল’র পরিধি বাড়িয়ে আরো বেশ কয়েকটি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করতে সেমিনার আয়োজন করা হচ্ছে। বিটিভি নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র এবং টিভিসি দেশের পর্যটন বিপণনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য অর্জন করেছে। তিনি জানান, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ গঠন করা হয়েছে। গত ২০১৬ সালের ২৩ থেকে ২৫ নভেম্বরে কক্সবাজার সফলভাবে ‘পাতা নিউ ফ্রনটিয়ারস ফোরাম-২০১৬’ আয়োজন করার ফলে পর্যটন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পরিচিতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া দেশী-বিদেশী পর্যটকদের নিকট বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যটন আকর্ষণ তুলে ধরতে স¤প্রতি ‘এক্সপ্লোরার অব ট্যুরিজম’ নামে একটি ভিডিও চিত্র তৈরী ও প্রচার করা হচ্ছে।
বিমান বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে
সরকারি দলের সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারের প্রশ্নের জবাবে বিমান মন্ত্রী সংসদে জানান, বিমান বন্দরের উন্নয়নে আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ ডুওয়াল ভিউ এক্স-রে মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংস্থা রেডলাইনের সুপারিশের ভিত্তিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে উন্নত করা হয়েছে। এছাড়া চোরাচালান রোধে বিমানবন্দর সমূহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বিমানবন্দরে বিভিন্ন স্থাপনায় সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি জানান, বিমান বন্দরে  নিরাপত্তার বিষয়টি একটি সমন্বিত কার্যক্রম যাতে সিভিল এভিয়েশন, বিমান, এপিবিএন, আনসার ইমেগ্রেশন এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থা যেমন ডিজিএফআই, ইউকে রেডলাইন সিকিউরিটি, দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট এবং এনএসআই সম্মিলিতভাবে অংশগ্রহন করে থাকে। এ বিষয়ে একটি সমন্বিত সভা প্রতিমাসে অনুষ্ঠিত হয়। বিমান বন্দরের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুসমূহ নিয়ে আলোচনা হয়। সে মোতাবেক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহন করা হয়ে থাকে। সি-চেক মেইন্টেনেন্স সর্ম্পকে বিমান মন্ত্রী জানান, বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর ও ৭৭৭-২০০ ইআর ও ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজের সি-চেক মেন্টেনেইন্স বিমানের নিজস্ব জনবল/রিসোর্স দ্বারা সম্পন্ন করা হচ্ছে। এতে প্রচুর বৈদেশিক মূদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংসদ

১৬ জানুয়ারি, ২০২৩
৫ জানুয়ারি, ২০২৩
৫ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ