পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তারেক রহমানকে দেশে আসতে দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল সোমবার বিকালে তারেক রহমানের ১০ম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে এই দোয়া মাহফিলে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এই অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এখন তারেক রহমান নির্বাসিত। তাকে দেশে আমাদের মাঝে আসতে দেয়া হচ্ছে না। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে, মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। অর্থাৎ তাকে রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণভাবে দূরে সরানোর জন্য এই চক্রান্ত শুরু হয়েছে।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তারেক রহমানের ১০ম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল সড়কের বাসা থেকে যৌথবাহিনী গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে ১২টি দুর্নীতির মামলা দেয়া হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিকে একেবারে রাজনীতি শূন্য করে দেয়া, পরীক্ষিত রাজনীতিকদের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য ১/১১-এর এই চক্রান্ত হয়েছিল। যারা তারেক রহমানে বিরুদ্ধে একইভাবে ষড়যন্ত্র করেছিলো। উদ্দেশ্য দেশের জাতীয়তাবাদী যে রাজনীতি তাকে ধ্বংস করবার জন্য চক্রান্ত করা হয়েছিলো।
তারেক রহমান সম্পর্কে তিনি বলেন, তিনি (তারেক রহমান) বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন চিন্তা-ভাবনা নিয়ে এসেছিলেন। তিনি তথাকথিত চিরায়িত রাজনীতির পথে না গিয়ে নতুন ধারার রাজনীতির সূচনা করেছিলেন। সেই কারণে তাকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্যাতন করা হয়েছিলো। আজকে তারেক রহমান বিদেশে নির্বাসিত। তিনি অসুস্থ অবস্থায় সেখানে (লন্ডন) আছেন। আমরা প্রতিমুহূর্তে প্রত্যাশা করছি, তিনি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। আজকের যে অবরুদ্ধ গণতন্ত্র তাকে মুক্ত করে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য তারেক রহমান সাহেব আমাদেরকে নেতৃত্ব দেবেন।
তারেক রহমানের আশু সুস্থতার জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসানের সভাপতিত্বে এই দোয়া মাহফিলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবীর খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, রফিক শিকদার, সাবেক ছাত্র নেতা আব্দুুল কাদের ভুঁইয়া, শহীদুল ইসলাম বাবুল, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, ছাত্র দলের এজমল হোসেন পাইলট, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দোয়া মাহফিলের পর মিষ্টি বিতরণের সময়ে ছাত্র দলের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একটি গ্রুপের ১০/১২ জন লাঠি হাতে নিয়ে আসে। তবে পরে নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।