পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রমজানের শেষ দশকের আমল
এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্শী : মাহে রমজানের শেষ দশকের আমল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রসঙ্গে হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন: রমজান মাসের শেষ দশক শুরু হলেই রসূলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর কোমর শক্ত করে বাঁধতেন। এই সময়ের রাতগুলোতে জাগ্রত থাকতেন এবং তাঁর গৃহবাসী লোকদেরকে সজাগ করতেন। (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম)।
এই হাদীস হতে জানা যায় যে, রমজান মাসের শেষ দশক আসলেই রসূলুল্লাহ (সাঃ) চূড়ান্ত মাত্রার ইবাদতের জন্য কোমর বাঁধতেন অর্থাৎ পূর্ব প্রস্ততি গ্রহণ করতেন। আর তিনি একাই ইবাদত-বন্দেগী করতেন এমনটি নয়, বরং নিজের গৃহবাসী আপন জনদেরকে রাতে জাগ্রত থেকে ইবাদত করার জন্য প্রস্তত করতেন।
তিরমিজী শরীফে উদ্ধৃত হাদীসে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে, রসূলুল্লাহ (সাঃ) রমজান মাসের শেষ দশকে তাঁর ঘরের লোকজনকে ইবাদত-বন্দেগীও নামাজ আদায়ের জন্য জাগিয়ে দিতেন। হযরত আয়েশা (রাঃ)-এর অপর একটি বর্ণনায় আরও বলিষ্ঠ ভাষায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, রসূলুল্লাহ (সাঃ) রমজানের শেষ দশকে তাঁর ঘরের লোকদের মধ্যে রাত জাগরণ করে ইবাদত-বন্দেগী করতে পারে এমন কাউকেই ঘুমাতে দিতেন না। বরং প্রত্যেককেই জেগে থেকে ইবাদত করার জন্য প্রস্তুত করতেন। (ওমদাতুলক্বারী, শরহে বুখারী)
আর বায়হাকী, শুয়াবুল ঈমান গ্রন্থে আনাস (রাঃ) বর্ণিত একটি হাদীস উদ্ধৃত হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন : যখন কদর রাত আসে, তখন হযরত জিব্রাঈল (আঃ) ফেরেশতাদের বিরাট বাহিনী সমভিব্যাহারে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন এবং দাঁড়িয়ে কিংবা বসে আল্লাহর যিক্্র ও ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকা প্রত্যেক বান্দাহর জন্য রহমতের দোয়া করেন। এ হাদীস থেকে কদর রাতের মর্যাদা এবং এই রাতে ইবাদত বন্দেগী, কুরআন তিলাওয়ার নফল নামাজ ও ইসলামী আলোচনা ও জ্ঞান চর্চার মর্যাদা স্পষ্টভাবে জানতে পারা যায়।
রসূলুল্লাহ (সাঃ) নিজে ও তাঁর ঘরের লোকদেরকে এই রাতটি যথাযথভাবে পাওয়ার জন্য রমজানের শেষ দশকের সব কয়টি রাতেই আল্লাহ পাকের ইবাদতে মশগুল হতেন ও মশগুল রাখতেন। এই রাতের বরকত ও ফজিলত যেন কোন প্রকারে হারিয়ে না যায়, ও তা থেকে যেন বঞ্চিত থাকতে না হয়, এই উদ্দেশ্যেই তাঁর এই ব্যবস্থা ও প্রস্ততি ছিল। রসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর পদাঙ্ক অনুসরণ করা সকল মুসলমানের জন্যই বাঞ্ছনীয়। এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করার কোনই সুযোগ নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।