পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ওপর হামলাকারীদের দ্রæত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় রেখে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনে কেউ অংশগ্রহণ করবে না। ঈদের পরেই সহায়ক সরকারের রূপ রেখা দেয়া হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটা নির্বাচন হতে হবে। আওয়ামী লীগের অধীনে, হাসিনার অধীনে এদেশে কোন নির্বাচন হবে না।
গতকাল রোববার গুলশান-১ এ ইমান্যুয়েলস কনভেনশন সেন্টারে ২০ দলীয় জোট শরীক জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সম্মানে দলটি এ ইফতার মাহফিল আয়োজন করে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, চট্টগ্রামে যে ঘটনাটি ঘটল তা থেকে প্রমাণ হয় দেশে যত সন্ত্রাসী ঘটনা, বিশৃঙ্খলা ঘটছে তার সবই করছে আওয়ামী লীগ। আমাদের লোকেরা ত্রাণ দিতে গেছে সেখানেও হামলা করা হচ্ছে। এই যদি হয় দেশের অবস্থা যে বিএনপির লোকজন কোথাও গেলে আক্রমণ করতে হবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন এ সরকার ক্ষমতায় থাকলে সাধারণ মানুষের কি হবে? সরকারের প্রতি প্রশ্ন রেখে খালেদা জিয়া বলেন, মহাসচিবের ওপর হামলার পর কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার এবং শাস্তি দিতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের লোকজন কিছু না করলেও মিথ্যা মামলা দিয়ে ধরে নিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের ধরতে হবে, জেলে পুরতে হবে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
তিনি বলেন, মহাসচিবের ওপর হামলার ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো যে, দেশে অবশ্যই নির্বাচন হতে হবে। আমরা নির্বাচন চাই। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এই ভয়ে আওয়ামী লীগ ভিত হয়ে গেছে। বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে আওয়ামী লীগের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। সেজন্য আওয়ামী লীগ জেনে শুনেই বিএনপি এবং ২০ দলীয় জোট যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সে জন্য তারা এ ধরনের হামলা করছে। বিভিন্ন জায়গায় দলের নেতাকর্মীদের ইফতার মাহফিল পর্যন্ত করতে দেয়নি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে তার গুন্ডা বাহিনী থাকবে। তাবেদার ইলেকশন কমিশন তাবেদারি করে যে কোনো উপায়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে চাইবে। সেই জন্য আওয়ামী লীগকে ক্ষমতার বাইরে রেখে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে। তারা বুঝুক যে আওয়ামী লীগের সমর্থক কতটুকু। পায়ের নিচে কতটুকু মাটি আছে সেটা পরিষ্কার হতে হবে। আওয়ামী লীগকে বুঝতে হবে তারা যা করছে সবই করছে গায়ের জোরে।
চালের দাম নিয়ে তিনি বলেন, এই সন্ত্রাসীদের হাতে দেশে মানুষ জিম্মি হয়ে গেছে। তথাকথিত আওয়ামী লীগ সরকার গ্যাস, খাজনা এবং ভ্যাট বসিয়ে মানুষকে শেষ করে দিয়েছে। তার উপর চালের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সর্বকালের সর্বাধিক চালের দাম বাংলাদেশে এখন। সব কিছুই দেশে এখন সর্বাধিক।
আওয়ামী লীগ থেকে দেশের মানুষকে সাবধান হতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশের মানুষকে বলবো এই আওয়ামী লীগ থেকে সাবধান হন। দেশ, নিজেকে, নিজের পরিবারকে এদের হাত থেকে বাঁচান। প্রয়োজনে রাজপথে অবস্থান নিতে হবে নিজেদের।
সংগঠনের চেয়ারম্যান ড. টি আই এম ফজলে রাব্বি চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, এনডিপি চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তজা, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সংগঠনের মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।