পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিউইয়র্ক থেকে এনা : নিউইয়র্কের বাংলাদেশী অধ্যুষিত ব্রঙ্কসে এক দল উশৃঙ্খল যুবকের ‘হেইট ক্রাইমের শিকার’ হলেন বাংলাদেশী এক ইমাম কামাল উদ্দিন। ব্রঙ্কসের ক্যাসেলহীলের ইউনিয়ন পোর্ট রোডের উপরে বাংলাদেশী মালিকানার একটি মোবাইল দোকানের সামনেই ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার (নিউইয়র্ক সময়) ইফতার পরবর্তী সময়ে হিস্পানিক বংশোদ্ভূত একাধিক যুবক মোবাইল দোকান থেকে ইমাম কামাল উদ্দিনকে জোরপূর্বক টেনে হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যায়। এসময়ে তাদের উপর্যুপরি আঘাতে গুরুতর আহত হন তিনি। আহত অবস্থায় বাংলাদেশী ইমামকে ব্রঙ্কসের জ্যাকবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা গেছে, ব্রঙ্কসের বাংলাবাজারের কর্নার ঘেঁষে ইউনিয়ন পোর্ট রোডের ওপরে গড়ে উঠেছে দেশীয় মালিকানার একটি মোবাইল ফোন ও উপহার সমাগ্রীর দোকান। ‘ফোন্স ক্ল্যাব নামক এই দোকান থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে নেয়া হয় বাংলাদেশী ইমাম কামাল উদ্দিনকে। এরপর তাকে বেধড়ক মারধোর করা হয়। ফোন্স ক্লাবের সিসিটিভিতে ধারণকৃত ফুটেজে দেখা যায়, সাদা টি-শার্ট পরিহিত দু’জন যুবক বাংলাদেশী ইমাম কামাল উদ্দিনকে জোরপূর্বক দোকানের বাইরে নিয়ে যায়। তাদের সাথে ছিল আরো কয়েকজন সহযোগী।
হামলাকারীদের হাত থেকে ছুটে ফের মোবাইল দোকানে প্রবেশ করেন কামাল উদ্দিন। সেখানেও তার উপর চড়াও হন উচ্ছৃঙ্খল ওই যুবকেরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দু’জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। আর জ্যাকবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় হামলার শিকার বাংলাদেশীকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোবাইল ফোন সংক্রান্ত বাকবিতন্ডার মধ্যেই সেখানে উপস্থিত দাড়ি-টুপি পরা ইমামের ওপর হামলা চালানো হয়। এ বিষয়ে কম্যুনিটিতে রয়েছে মিশ্র-প্রতিক্রিয়া। যদিও ১৬ জুন শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয় কামাল উদ্দিনকে। বাংলা বাজার মসজিদে জুমার নামাজ আদায় শেষে অতর্কিত হমলার কথা তুলে ধরেন তিনি।
এর আগেও ব্রঙ্কসে একাধিক হামলার শিকার হন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী। কেউ কেউ এসব ঘটনাকে হেইট ক্রাইম বলে দাবি করেন। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ব্রঙ্কসের বাংলাদেশী অধ্যুষিত পার্কচেস্টার ক্যাসেলহীলের স্টারলিং এভিনিউতে বাংলাদেশীদের শক্ত অবস্থান থাকার পরও একের পর এক এসব হামলা ভাবিয়ে তুলেছে পুরো কম্যুনিটিকে। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।