পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা মহানগরের জোয়ার সাহারা-বাড্ডার ১৩৮৫ একর জমি অবমুক্ত করার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। এতে করে ওই এলাকার জমি বেচা-কেনার উপর সরকারি বিধি নিষেধ আগের মতো রহাল রয়েছে বলে ভুমি মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর সভাপতিত্বে গত বুধবার সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রাজউক, ঢাকা জেলা প্রশাসন, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আন্ত: মন্ত্রণালয় সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়। আন্ত:মন্ত্রণালয়ের সভায় এ বিষয়ে আরো পযবেক্ষণ করতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে ভুমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে রাজউক এবং ঢাকা জেলা প্রশাসককে সদস্য করা হয়েছে।
ভূমি সচিব ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার ইনকিলাবকে বলেন, জোয়ার সাহারা-বাড্ডার ১৩৮৫ একর জমি অবমুক্ত করার বিষয় এখনো চুড়ান্ত হয়নি। গতকাল প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। আরো অধিক তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছি। কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরে আবার আন্ত:মন্ত্রণালয়ের বৈঠব হবে এর পরে চুড়ান্ত হবে তার আগে নয়।
ভুমি মন্ত্রনালয় সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে জোয়ার সাহারা-বাড্ডার এলাকায় সরকাীর -ব্যক্তিমালিকানা এবং রাজউকের কতটুকু জমি রয়েছে তা ক্ষতিযে দেখতে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠণ করা হয়েছে। বৈঠকে জোয়ার সাহারা-বাড্ডার ১৩৮৫ একর জমির খাজনা খারিজে গেজেট প্রকাশের বিষয় এখনো চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। তবে ভুমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনর গৃহীত হয়। আন্ত:মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে এই এলাকায় জনসধারণের জমি খাজনা বাকি আছে কি না। রামপুরা ব্রিজ থেকে খিলক্ষেত নিকুঞ্জ পর্যন্ত এক হাজার ৩৮৫ একর জমি প্রকৃত মালিক কতজন আবার সরকারী কতগুলো জমি আছে তা বের করতে হবে। তার আগে কোনে ভাবে খাঝনা খারিজ নয়। বৃহত্তর ঢাকায় আবাসনের জন্য উলন, বাড্ডা, ভাটারা, জোয়ারসাহারা, ভোলা, সুতিভোলা মৌজার আগে হুকুমদখলকৃত জমি থেকে এক হাজার ৩৮৫.২৫ একর জমি প্রত্যর্পণসংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকা জেলার এলএস কেস নম্বর ১৩৮/৬১-৬২, ৯১/৫৭-৫৮ ও ২৩/৬৬-৬৭-এর সম্পত্তি অবমুক্তকরণ বিষয়ে সভা আয়োজন করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভুমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলেন, রামপুরা ব্রিজ থেকে খিলক্ষেত নিকুঞ্জ এবং জোয়ার -সাহারা-বাড্ডার পর্যন্ত সরকারিভারে জমি অধিগ্রহন করা আছে। এসব জমি দখল করার জন্য একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। তারা সরকারি জমি গুলো তাদের মালিকনায় নিতে বিভিন্ন ভাবে জমির মালিক সেজে খানজনা খারিজ করার জন্য আবেদন করে আসছে। তিনি বলেন, এ জমি সরকার আগের মতো রাখার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আর যারা প্রকৃত মালিক তাদেরকেও ছেড়ে দিতে পারে। আবার যাবা কোম্পানির জমি বলে দাবি করবে তাদের বাতিল করা সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
উপসচিব মির্জা তারিক হিকমতকে বলেন, এসব এলাকার জমি অবমুক্ত করার বিষয়ে এখনো চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। গতকালে সভায় পদ্ম সেতু এলাকার জমি গেজেট প্রকাশের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর কিছু অনুমোদন হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।