পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : আইসিসি চ্যাম্পিয়ন ট্রপির সেমিফাইনালে লড়ছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ আবার ভারত। বাংলাদেশ-ভারতের এই খেলা দেখার জন্য গতকাল সকাল থেকেই প্রস্তুতি ছিল অনেকেরই। বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরারের ভাষায়, বিকালে দুটো টিউশনি ছিল। খেলা দেখবো বলে সকালেই টিউশনি শেষ করেছি। দুপুরের পর থেকে বাসায় আছি। খেলা শেষ করে তবেই উঠবো। আবরারের মতো অনেকেই একেবারে জরুরী কাজ ছাড়া গতকাল বিকালের পর ঘর থেকে বের হয়নি। পরিবারের সবার নজর ছিল টেলিভিশনের দিকে। বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট খেলার কারনে বিকালে রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকাগুলোতেও দেখা যায়নি ভিড়। ছিল না কোনো যানজট। মার্কেট, বিপনীবিতানগুলোতে উল্লেখযোগ্য ভিড় ছিল না। টিকাটুলির রাজধানী সুপার মার্কেটের এক ব্যবসায়ী জানান, সকাল থেকে বেচাবিক্রি ভালোই ছিল। বিকালে খেলার কারনে ক্রেতা নেই বললেই চলে। ওই বিক্রেতা বলেন, কি আর করা, আমরাও টিভির সামনে বসে খেলা দেখছি। প্রয়োজনে মধ্যরাত পর্যন্ত দোকান খোলা রাখবো। এই খেলা তো আর পরে পাওয়া যাবে না। পুরান ঢাকার নবাবপুর রোডে ডিউটিরত এক ট্রাফিক পুলিশ জানান, সকাল থেকে যানবাহনের চাপ ছিল বেশি। দুপুরে ভয়াবহ যানজটের মোকাবেলা করতে হয়েছে। দুপুরের পর যানবাহনের চাপ কমতে কমতে ইফতারির আগে একেবারে ফাঁকা হয়ে গেছে রাস্তা। কাওরানবাজার মোড়ের আরেক সার্জেন্ট বললেন একই কথা। তার ভাষায়, বাংলাদেশ-ভারত খেলার কারনে মানুষ ঘর থেকে বের হয়েছে কম। কেনাকাটা করার জন্য প্রাইভেটকারযোগে কিছু মানুষ আসছেন কিন্ত তা সংখ্যায় খুব বেশি নয়।
বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট খেলার কারনে গোটা রাজধানীই গতকাল বিকালের পর থেকে অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যায়। রমজানের শুরুর পর থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত প্রতিদিনই যেখানে ভিড় বাড়ার কথা সেখানে খেলার কারনে হঠাৎ করে ফাঁকা রাজধানী অনেকের কাছেই ছিল অন্যরকম। কেউ কেউ এই ফাঁকা রাজধানীকে উপভোগ করেছেন। গাড়ি হাঁকিয়ে চলে গেছেন দুরে। রামপুরার বাসিন্দা একটি বিদেশি কোম্পানীর প্রকৌশলী সৈকত জানান, ঈদের আগেই তিনি বাড়ি যাবেন। সে কারনে ফাঁকা রাজধানী দেখার সৌভাগ্য তার হবে না। গতকাল খেলার কারনে ফাঁকা রাজধানী তাই উপভোগ করেছেন গাড়ি চালিয়ে। গেছেন হাতিরঝিল থেকে গুলশান হয়ে উত্তরা পর্যন্ত। অন্যদিকে, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী অনুযায়ি যারা পরিবার পরিজন নিয়ে কেনাকাটা করতে বেরিয়েছিলেন তারাও অনেকটা স্বস্তিতে কেনাকাটা করেছেন। সবুজবাগের ব্যবসায়ী হাসনাত বললেন, কেনাকাটা করতে গিয়েছিলাম ওয়ারীতে। একেবারে ফাঁকা রাস্তা তারপর মার্কেটগুলোতেও ভিড় নেই। বেশ স্বস্তিতেই কেনাকাটা করলাম। বাচ্চারাও খুব খশি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।