পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, এবার তাদের সুর একটু বদল হয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তারা আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছে। এবার তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। চট্রগ্রামে পাহাড় ধসে দেশের মানুষ জীবন দিচ্ছে আর আওয়ামী লীগ নেত্রী আনন্দ ভ্রমণে আছেন বলে অভিযোগ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, চট্রগ্রামে পাহাড় ধসে অংস্যখ্য মানুষ মারা গেছে। আর আওয়ামী লীগের নেত্রী আনন্দে ভ্রমণে আছেন। কারণ দেশের মানুষের প্রতি তার কোন মমতা নাই। অথচ তিনি বলেন, তিনি না কী দেশের মানুষের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত। কিন্তু এখন দেশের মানুষ জীবন দিচ্ছে আর তিনি ভ্রমণ করছেন। তাহলে এতে কী প্রমাণ হয়, তিনি কী জীবন দিতে প্রস্তুত?
গতকাল বৃহষ্পতিবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে। সেই নির্বাচনে বিএনপি জিতবে। আমরা সহায়ক সরকারের কথা বলেছি, সহায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে।
তিনি বলেন, আগামীতে বিএনপি ও ২০ দল ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগ একতরফাভাবে আর কোনো নির্বাচন করতে পারবে না।
দেশে অবিলম্বে নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেন, ৫ জানুয়ারিতে কোন নির্বাচন হয়নি। কেউ ওই নির্বাচনের স্বীকৃতি দেয়নি। একমাত্র আমাদের প্রতিবেশী দেশ (ভারত) দিয়েছে। কিন্তু এবার তাদের সুরটাও একটু বদল। তারা বোঝে, তারা ভুল করেছে। ঠিক করেনি। তাই এবারের নির্বাচনের বিএনপি ও ২০ দল না যায় তাহলে কোন নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগ একা নির্বাচন করতে পারবে না- বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বেগম জিয়া।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আগামীর নির্বাচনে যাবো। কারণ আমরা জানি, ফেয়ার নির্বাচন হলে আমরাই জিতবো। আর হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামিয়েই কেবল নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। কারণ আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন কখনো সুষ্ঠু হয়নি এবং হবেও না। এই জন্য আমরা নির্বাচনকালীন সহায়ক কথা বলেছি। এটা যেকোন নামে হতে পারে। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগকে দেশের মানুষ আরেক বারের মত শিক্ষা দেবে- বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে খালেদা জিয়া বলেন, বিরোধী দলের যেসব লোককে মিথ্যা মামলা জেলে ঢুকিয়েছেন তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি দিন। আর এখন আওয়ামী লীসহ তাদের সহযোগীরা যারা অপরাধ করছেন তাদের ধরে জেলে ঢুকান। কারণ অপরাধ দমন করেত হলে তাদেরকে অবশ্যই জেলে নিতে হবে।
আওয়ামী লীগের ছোট ছোট নেতাদের উদ্দেশ্য করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আপনাদের সময়টা কিন্তু ভালো না। আর সামনেও আপনাদের ভালো সময় আসছে না। যারা গণনা করে তারাও বলছে এসব কথা। কাজেই ছোট ছোট যা বানিয়েছেন সেইগুলো নিয়ে কেটে পড়েন। কারণ বড়রা তাদের ব্যবস্থা করেছেন, পকেটে টিকিট নিয়ে ঘুরছেন। অবস্থা দেখলেই উড়াল দেবে আকাশে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে ইফতারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।