Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিকুগুনিয়ায় আক্রান্ত দাঁড়াতে পারছি না, আদালতকে আইনজীবী

খালেদা জিয়ার দুই মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ জুন

| প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার শুনানি আগামী ২২ জুন। গতকাল বৃহস্পতিবার সময় আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আকতারুজ্জামানের আদালত এই দিন ঠিক করেন। দুদকের উপপরিচালক হারুন অর রশীদকে আজ আংশিক জেরা করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী আবদুর রেজ্জাক খান। পরে অসুস্থ থাকায় আংশিক জেরার পর সময়ের আবেদন করেন। এ ছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি হাইকোর্টে বিচারাধীন থাকায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ শুনানি পেছানোর জন্য সময় আবেদন করা হয়। দুই মামলায় সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির জন্য আদালত এই দিন ধার্য করেন। এর আগে এর আগে আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বেগম খালেদা জিয়া আদালতে পৌঁছান।
মামলার শুনানির শুরুতে আইনজীবী আবদুর রেজাক খান আদালতকে বলেন, মাননীয় আদালত আমি কয়েকদিন ধরে চিকুনগুনিয়া জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ। শুনানিতে অংশ গ্রহণ করার মতো আমার অবস্থা নেই। শুধুমাত্র আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়ে উপস্থিত হয়েছি। আজকের মতো মামলা মুলতবি ঘোষণা করা হোক। এর জবাবে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, উনি যদি না পারেন, তাহলে এখানে ম্যাডাম খালেদা জিয়ার আরো সিনিয়র আইনজীবী রয়েছেন। মামলার কাজ বিলম্ব না করে শুনানি অব্যাহত রাখা উচিত। এ সময় খালেদা জিয়ার আবদুর রেজাক খান বলেন, বিজ্ঞ আদালত, আমার ১০২ ডিগ্রি জ্বর। কথা বলার মতো কোনো অবস্থা নেই। সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছি না। এ মামলার শুরু থেকে আমি জেরা করে আসছি। তাই গুরুত্বপূর্ণ এ মামলার জেরা তাৎক্ষণিক আর কেউ করা ঠিক হবে না। আমি শুধুমাত্র আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়ে আদালতে হাজির হয়েছি। এ পর্যায়ে আদালত বলেন, আপনি শুধুমাত্র শুরু করেন। এরপর আমি মুলতবির বিষয়টি দেখব।
এরপর আবদুর রেজাক খান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন আর রশীদকে জেরা শুরু করেন। তিনি তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেন, চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার আপনি দ্বিতীয় দফায় তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছিলেন। সঠিক কি না? জবাবে হারুন অর রশিদ বলেন, ‘জি হ্যাঁ।
এরপর আইনজীবী বলেন, আপনি দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পর সঠিক সময়ে তদন্ত রিপোর্ট পেশ না করে আইনের ব্যতয় ঘটিয়েছেন। জবাবে হারুন অর রশিদ বলেন, ইহা সত্য নয়। এরপর আবদুর রেজাক খান আদালতকে বলেন, আমি চিকুনগুনিয়ায় শরীরে ব্যথা অনুভব করছি। অসুস্থতার কারণে আজকে আর পারছি না। এরপর আদালত আগামী ২২ জুন পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মুলতবি ঘোষণা করেন।
অপরদিকে, খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালতে আরেকটি আবেদন দাখিল করেন। আবেদনে উল্লেখ করেন, মামলায় বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় নথি সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে, যা অপ্রাসঙ্গিক। এগুলো মামলার নথি থেকে বাদ দিতে হবে এবং পরবর্তী তারিখে আমরা এ বিষয় শুনানি করব। মামলার তারিখ নির্ধারণের পর খালেদা জিয়া ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে আদালত ত্যাগ করেন। খালেদা জিয়ার হাজিরা উপলক্ষে আদালতে উপস্থিত হন বিএনপির মহানসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু, জমির উদ্দিন সরকার, আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া, আমিনুল ইসলাম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ