ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
মুন্সীগঞ্জ জেলায় শ্রীনগর উপজেলাধীন ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক থেকে সড়ক ও জনপথের হাঁসাড়া-আলমপুর-শিবরামপুর সড়ক যা খারশুল অংশে ঢাকা-নবাবগঞ্জ সংযোগ এবং ফুলতলা থেকে শ্রীধরপুর অংশে এসে সংযুক্ত হয়েছে ফুলতলা ঢাকা সড়ক। সড়কটি দিয়ে গণপরিবহন ২৪ ঘণ্টা চলাচল করে। সড়কটির হাঁসাড়ায় ঢাকা- খুলনা মহাসড়ক থেকে শুরু করে আলমপুর-শিবরামপুর পযর্ন্ত সম্পূর্ণ অংশের প্রশস্ততা খুবই কম। এরপর প্রকৃতিক প্রতিকূলতা এবং দুর্বল নির্মাণের কারণে সড়কটির দুই পাশের পিচ ঢালাই উঠে গিয়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে এই পথে যানবাহন চলাচল করছে। গাড়ি মূল সড়ক থেকে নেমে বিপজ্জনক অবস্থানে দাঁড়িয়ে অপর গাড়িকে চলাচলেন জন্য সাইড দিতে গিয়ে সড়ক থেকে ছিটকে দোকানের ওপর গিয়ে পড়ে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এ পথে চলাচল করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় জরুরিভিত্তিতে হাঁসাড়ার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের অংশ থেকে শিবরামপুর কাপড় ও কাঠের হাট পর্যন্ত সড়কটি প্রশস্ত ও পিচ ঢালাইয়ের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ডা. এসএম মোশারফ হোসেন
আলমপুর, শ্রীনগার, মুন্সীগঞ্জ।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গৌরব। যুগ-যুগান্তরের ত্যাগ-আন্দোলন-সংগ্রামের পথ বেয়ে আসে এই মুক্তিযুদ্ধ। আর এ যুদ্ধকে ঘিরে মানুষের জানার আগ্রহ ব্যাপক। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের। এ যুদ্ধের কত কাহিনি আজো অগোচরেই রয়ে গেছে। কত ইতিহাস, চিহৃ, স্মারক, চিত্র রয়েছে যা সংগ্রহ করা এখনও সম্ভব হয়নি। যদিও ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ব্যাপক ভূমিকা গ্রহণ করে এগিয়ে চলেছে।
কিন্তু গ্রামে-গঞ্জে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে যে সব সংরক্ষণ করা যায় এমন ইতিহাস স্মারক আছে, যা ঢাকার জাদুঘরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তাই প্রতিটি জেলায় জাদুঘর স্থাপন করে এসব সংরক্ষণ করা উচিত (তবে যেসব জেলায় জাদুঘর গড়ে উঠেছে সেখানে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার আরো সমৃদ্ধ করা দরকার)। যারা ঢাকা যেতে পারে না বা গিয়েও সময়স্বল্পতা কিংবা নানা কারণে দেখা সম্ভব হয় নাÑ তারা জেলায় গিয়ে দেখতে পারত। এতে একদিকে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে আরো ভালোভাবে জানতে পারত। বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
কঙ্কন সরকার
সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা।
মহিলা বাস সার্ভিস প্রসঙ্গ
ঢাকা, পৃথিবীর অন্যতম জনবহুল শহর। এই শহরে প্রতিদিন প্রায় ৫০০০টি বাস শহরের বিভিন্ন রুটে এর অধিবাসীদের তাঁদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেয়। আবার এই যাত্রীদের মাঝে নারী যাত্রীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেক। কিন্তু তারপরও প্রতিদিন তাদের বিভিন্ন রকমের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বাসে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে।
বাসে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নারীরা প্রতিদিন বিভিন্ন রকমের নানান হয়রানি ও নিগৃহের শিকার হয়। তার মধ্যে- পুরুষ সহযাত্রী, চালক ও হেলপারের কাছ থেকে নানা রকম খারাপ মন্তব্য ও অসহযোগিতা, অতিরিক্ত যাত্রী ও লম্বা লাইনে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা অন্যতম। যদিও বিআরটিএ-এর নিয়ম অনুযায়ী বাসে প্রথম সারির ৯টি সিট নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধিদের জন্য সংরক্ষিত আছে। তবুও তা যথেষ্ট নয়। প্রায় অধিকাংশ সময় এসব সংরক্ষিত সিট পুরুষ যাত্রীদের দখলে থাকে এবং পুরুষ যাত্রীরা সেই সিট ছাড়তেও অস্বীকৃতি জানায়।
তাছাড়া বাসে উঠার সময় ‘মহিলা সিট নেই’, এই কথা বলে হেলপার নারী যাত্রীদের বাসে উঠাতে অস্বীকৃতি জানায়। যদিও বিআরটিসি ঢাকা মহানগরে ‘মহিলা বাস সার্ভিস’ হিসাবে শুধুমাত্র নারী যাত্রীদের জন্য যে ব্যবস্থা করেছে, তারপরও তা যথেষ্ট নয়। মহিলা বাস সার্ভিসের সংখ্যা সারা ঢাকা শহরে ১০টির বেশি নয়, যা একদমই যথেষ্ট নয়। নারী যাত্রীর নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই বাস সার্ভিসের সংখ্যা আরো বাড়ানো উচিৎ।
আনিকা রহমান
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।