পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : ঈদে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে অগ্রিম টিকিট কিনতে গতকাল কমলাপুর রেল স্টেশনে ভিড় ছিল আগের দিনের তুলনায় কয়েক গুণ। টিকিট প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য আগের দিন রাত থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন অনেকেই। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তাদের দেখা মিললো কাউন্টারের কাছাকাছি।
রেলমন্ত্রী মো: মুজিবুল হক নিজে ভিড় ঠেলে টিকিট কাউন্টারের সামনে গিয়ে তাদের খোঁজ খবর নিলেন। কথা বললেন। রেলমন্ত্রীর কাছে তারা টিকিট বিক্রিতে শৃঙ্খলার জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। একই সাথে কালোবাজারী বন্ধে সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়ায় তারা রেলমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। গতকাল ছিল ২২ জুনের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির নির্ধারিত দিন। কমলাপুর রেল স্টেশনে এক সাথে ২৩টি কাউন্টারে অগ্রিম টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা করা হলেও টিকিট প্রত্যাশীদের লাইন ছিল দীর্ঘ। কাউন্টারে দায়িত্বরত একজন রেল কর্মচারি বলেন, আজ (মঙ্গলবার) টিকিট প্রত্যাশীদের উপস্থিতি বেশি। আজ ২২ জুনের (বৃহস্পতিবার) টিকিট দেয়া হচ্ছে। ওই দিনের টিকিটের চাহিদা বেশি। কারণ, অনেকেই অফিস শেষ করে ওইদিনই বাড়ি ফিরে যাবেন।
সকালে রেলমন্ত্রী মো: মুজিবুল হক ঈদ উপলক্ষে অগ্রিম টিকিট বিক্রি কার্যক্রম পরিদর্শনে কমলাপুর রেল স্টেশনে যান। তিনি লাইনে দাঁড়ানো টিকিট প্রত্যাশীদের সাথে কথা বলেন। এসময় তারা রেলমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা রেলমন্ত্রীর প্রশ্নের জবাবে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার টিকিট বিক্রিতে শৃঙ্খলা বেড়েছে। বহিরাগতদের কোনো আনাগোনা নেই। নেই কালোবাজারীদের দৌরাত্ম। এজন্য তারা রেলমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। কয়েকজন পুরুষ ও মহিলা টিকিট প্রত্যাশীর সাথে রেলমন্ত্রী কথা বলেন। এরপর এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে রেলমন্ত্রী মো: মুজিবুল হক রাজশাহী ও পার্বতীপুর স্পেশাল ট্রেন একদিন আগে থেকেই চলাচল করবে বলে ঘোষণা দেন। এ দুটি স্পেশাল ট্রেন ঈদপূর্ব ৩ দিন চলার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। রেলমন্ত্রী এ সময় বলেন, যাত্রীদের সুবিধার্থে এবার ২৩ টি টিকেট কাউন্টার খোলা হয়েছে যার মধ্যে ২ টি মহিলা কাউন্টার। কালোবাজারীরোধে জিআরপি, আরএনবিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত আছে। তাছাড়া রেল মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন যাতে টিকেট বিক্রিতে কোন অনিয়ম না হয়। এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেনসহ রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।