Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মাহে রমজানে তাপিত বাংলাদেশে রহমতের বরিষণ

| প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মোবায়েদুর রহমান : আজ মঙ্গলবার ৩০ শে জৈষ্ঠ্য। একদিন পরেই পহেলা আষাঢ়, ১২৪২। আষাঢ়ষ্য প্রথম দিবস। গত দু’মাস ধরে কেটে গেল নিদাঘ তপ্ত গ্রীষ্ম। বৈশাখ জৈষ্ঠ্য। দারুণ অগ্নিবাণে হৃদয়ে হেনেছিল তৃষা। দীর্ঘ দগ্ধ দিন। প্রখর তপন তাপে তৃষ্ণায় কেঁপেছিলো আকাশ। বায়ু করেছিলো হাহাকার। এর মধ্যেই এই জৈষ্ঠ্যের খর তাপে ২৭ শে মে থেকে এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। তার পরেও রোজদাররা সারাদিন রোজা রেখেছেন। তবে তাদের মনের কোণে একটি অব্যক্ত আশা, এই রহমত ও নাজাতের মাসেও তারা মহান আল্লাহর মেহেরবাণী থেকে বঞ্চিত হবেন না। পরম করুণাময় আকাশ থেকে বারি সিঞ্চন করবেন এবং তাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করবেন।
ধূলি ধূসরিত এই ঢাকা মহানগরী। ট্রাফিক জ্যামে ওষ্ঠাগত মানুষের প্রাণ। পথচারী, বাস যাত্রী বা রিক্সা যাত্রী সকলেই ঘর্মাক্ত কলেবর। ঢাকা এবং চট্রগ্রামে বৃষ্টি স্বস্তিদায়ক নয়। অল্প বারিপাতে চট্রগ্রাম মহানগরী প্লাবিত হয়ে যায়। ঢাকা মহানগরীও জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়নি। এক থেকে দেড় ঘন্টার অবিরাম বর্ষণে মহানগরীর অনেক এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে। গতকালও ঢাকা এবং চট্রগ্রাম মহানগরীতে বৃষ্টিপাতের ফলে উভয় মহানগরীর অনেক এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে।
এসব কারণে বাংলাদেশে বিশেষ করে ঢাকা এবং চট্রগ্রামে তিন চার দিন বৃষ্টিপাত হলে মানুষ সেই বৃষ্টিতে উল্লসিত হয় ঠিকই, কিন্তু পানি নিষ্কাসনে চরম অব্যাবস্থার ফলে জন জীবনে দুর্ভোগ নেমে এলে মানুষ সেই দুর্ভোগ থেকে সাময়িক মুক্তি চায়। কিন্তু বৃষ্টি বিহীন বৈশাখ এবং জৈষ্ঠ্য আবার যখন মানুষকে সন্তাপে পোড়াতে শুরু করে তখন মানুষ আবার চাতকের মতো উর্ধ্বাকাশে চেয়ে থাকে, কখন দু ফোটা বৃষ্টি তাপিত দিনকে মলয় সমীরের সুবাস বুলাবে।
মানুষের, বিশেষ করে মুসল্লিদের, হৃদয় নিংড়ানো আর্তিকে রাহমানুর রহিম কবুল করেছেন। তখনও বর্ষা আসতে অন্তত ১৬ দিন বাকি। মুসল্লিদের তৃষ্ণার্ত হৃদয়ে ¯্রষ্টার রহমত বর্ষণের জন্য জৈষ্ঠ্য মাসেই নেমে আসে অকাল বরিষণ। পবিত্র রমজানের ৪র্থ দিন থেকেই বাংলাদেশের তাপিত ধরণী সিঞ্চিত হয় অকাল বর্ষণে।
তারপর গতকাল পর্যন্ত ১৬টি রমজান। এই পুরা দুই সপ্তাহ থেমে থেমে তপ্ত মৃত্তিকায় বর্ষিত হয়েছে শান্তির বারি। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা দু হাত তুলে মোনাজাত করেছিলেন উর্ধ্বমুখে। এই পবিত্র মাহে রমজানে থাকবে না কোনো অন্ধকার, থাকবে না মোহ পাপ, থাকবে না কোনো শোক পরিতাপ। রাব্বুল আল আমিন রোজদারদের অন্তরের আকুতি পূরণ করেছেন। এসেছে সজল মেঘ, ঝরেছে বারি, বিমল হয়েছে হৃদয়, বিঘœ হয়েছে অপসারিত। রহমতের বৃষ্টি ধুয়ে মুছে ফেলেছে হিংসা দ্বেষ, মান অভিমান। মানুষ এই মাহে রমজানে এখনো বিতরণ করে চলেছে আল্লাহর মহিমা এবং মানুষের ভালবাসা।



 

Show all comments
  • মিজান ১৩ জুন, ২০১৭, ১:৪৭ এএম says : 0
    আমাদের উচিত মহান আল্লাহ তায়ালার এই রহমতের বেশি বেশি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাহে রমজান

৩ এপ্রিল, ২০২২
৩ এপ্রিল, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ