পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ‘আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পর থেকেই চুরি করে আসছে। তারা জনগণের রিলিফ চুরি করে, গম চুরি করে কখনো জনগণের ভোট চুরি করে মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আমরা ভিশন ২০৩০ দিয়েছি। আওয়ামী লীগ বলে তাদের ভিশন নাকি বিএনপি চুরি করেছে। তাদের তো কোনো ভিশন নেই। তারা চুরির চিন্তায় থাকে। আমাদের ভিশন আর তাদের ভিশন এক হতে পারে না। আমাদের চিন্তা আর তাদের চিন্তা এক নয়।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে ইমান্যুয়েলস সেন্টারে মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপিকে বাদ দিয়ে আগামীতে দেশে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। হতে দেয়া হবে না। আগামীতে নির্বাচন হতে হবে সহায়ক সরকারের অধীনে, হাসিনার অধীনে নয়। হাসিনার অধীনে নির্বাচন কয়েক বার দেখেছি। সারা পৃথিবী বলেছে ২০১৪ সালের বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হয়নি। একটা নির্বাচন কমিশন ছিল রকিব উদ্দিন, তাকে দিয়ে ঘোষণা দিয়েছে। যে এত ভাগ ভোট পড়েছে। এসব ছিল মিথ্যা কথা। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে দেশে কোনো নির্বাচন হয়নি। আগামী নির্বাচন হতে হবে সকল দলের অংশগ্রহণে।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়া বলেন, কেন তারা ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে বলে প্রতিশ্রæতি দিয়েছিল। আজকে কেন ৭০ টাকা কেজি চাল খেতে হয়। এদেশের মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুই বেলা পেট পুড়ে খেতে পারে না। তারা রিলিফ পর্যন্ত দেয় না। রিলিফ চুরির অভ্যাস আওয়ামী লীগের স্বাধীনতার পর থেকে। তাদের এই অভ্যাস কোনো দিনও যাবে না। এরা চোর। এরা ভোট চোর, গম চোর, চাল চোর। আরো নানাবিধ চুরির অভ্যাস এদের আছে।
তিনি বলেন, আর কয়েকটা মাস আছে যত পারেন লুটেপুটে চলে যান। এদেশে থাকার আর সময় পাবে না। ২০১৮ সালে দেশের জনগণের বছর হবে, গণতন্ত্র, উন্ণয়ন ও শান্তির বছর হবে।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে। আসলে যারা যুদ্ধ করেনি মুক্তিযুদ্ধে যাদের অংশ গ্রহণ ছিল না, সীমান্ত পাড়ি দিয়েছিল তারা আজকে বড় মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেছে। তারা কথায় কথায় কিছূ না হলেও অমুকে রাজাকার, অমুকে এই করেছে তাকে ধর, তাকে শাস্তি দেয়া হোক, বিচার কর। বিশেষ করে বিএনপিতে যারা জনপ্রিয় তাদের বিরুদ্ধে নানাভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। যে মুক্তিযোদ্ধের সময় সে এটা করেছে, সেটা করেছে, রাজাকারী করেছে। তাদেরকে নাম দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। এটা নতুন করে ষড়যন্ত্র। এলাকায় এলাকায় খোঁজ নিচ্ছে তাদের (আওয়ামী লীগ) কোথাও জনপ্রিয়তা নেই। বিএনপির কোথায় কোথায় জনপ্রিয়তা সেই সব নেতাদেরকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জানে তাদের কত জনপ্রিয়তা। এই ১০ বছরের যে লুট করেছে। এখন তাদের চলাফেরার অবস্থা নেই, একেক জনের এমন ওজন বেড়েছে এদের নির্বাচন তো দুরের কথা পালাবারও অবস্থা নেই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রচারণার প্রসঙ্গে টেনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেন, নিজেকে স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী একেক জায়গায় যাচ্ছেন আর নৌকার প্রচারণা চালাচ্ছেন। অন্য দিকে বিএনপির ধর্মীয় মাহফিলেও বাধা দিয়ে যাচ্ছে। এর কারণটা কি? তারা চায় না বিএনপি নির্বাচনে আসুক। বিএনপির নির্বাচনে আসলে তাদের যে কি করুন পরিণতি হবে তারা গোপনে খবর নিয়ে তা জেনে গেছে। সেই জন্য তারা নানা হয়রানি করছে, যাতে বিএনপি নির্বাচনে না আসে। মামলা-হামলা নানা রকম হয়রানি করে দ্রæত সাজা দেয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধাদলের সভাপতি ইশতিয়াক আজীজ উলফাতের সভাপতিত্বে এতে আরোও বক্তব্য দেন- এলডিপির চেয়ারম্যান কর্ণেল (অব.) অলি আহমদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার = মোশাররফ হোসেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম প্রমুখ।
ইফতার পার্টিতে অংশ নেন-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান, আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, শামসুজ্জামান দুদু, মজিবুর রহমান সারেয়ার, সাদেক খান, শামা ওবায়েদ, কামরুজ্জামান রতন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।