পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : পবিত্র মাহে রমজান শেষে ঈদুল ফিতরের পর ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ গড়ে তুলতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, রোজার পর মানুষ নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ হবে। এই জালেম এবং জুলুম-অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হবে। ঈদের পরে সবাইকে নিয়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করা হবে। এজন্য জোটকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
গতকাল শনিবার রাজধানী ঢাকার মতিঝিলে হোটেল পূর্বাণীতে এক ইফতার পার্টিতে বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিশদলীয় জোট নেতা খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) এই ইফতার পার্টির আয়োজন করেন। এনডিপির চেয়াম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদসহ ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আমরা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। অবশ্যই সেই নির্বাচন সহায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে। হাসিনা মার্কা নির্বাচন চলবে না। সকলের অংশগ্রহণের সে নির্বাচনে আমরা হাসিনাকেও চাই।
তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষের উচিত নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া যে, এই অবস্থায় কি দেশ চলবে? আমরা কি শুধু হা-হুতাশ করব? তাই রোজা-ঈদ শেষ হয়ে গেলে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের জুলুম-অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিবাদ করতে হবে। সেটি করলে সবাই এসে শরিক হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন এ জন্য ছাত্র-যুবকদের অগ্রণী ভূমিকা নেয়ার আহŸান জানান। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রেখে কোনো নির্বাচন মেনে নেয়া হবে না। সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে হবে। যে নির্বাচন একটি সহায়ক সরকারের অধীনে হবে। হাসিনা মার্কা নির্বাচন এ দেশে হবে না। হাসিনার অধীনে নির্বাচন কেউ মেনে নেবে না।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেন, গতকাল দেখলাম, আওয়ামী লীগের মহিলারা বলেছেন, আমরা নির্বাচন চাই না হাসিনাকে ক্ষমতায় চাই। আমরাও হাসিনাকে চাই, কিন্তু সেটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যাকে চাইবে তারাই আসবে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গ তুলে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, প্রতিনিয়ত সবকিছুর দাম বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে আবারও গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে। মানুষ শান্তিতে নেই। এখনও খুন-গুম-নির্যাতন চলছে। মানুষ অস্থির হয়ে উঠছে।
আগামী বছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটকে গরীব মারার বাজেট অভিহিত করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, নতুন নতুনভাবে কর-ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। ব্যাংকের আমানতের ওপর প্রস্তাবিত আবগারি শুল্কের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, তাদের তো কোনো চিন্তা নাই। কারণ তাদের টাকা দেশে নাই। সব বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সুতরাং তাদের তো টাকা কাটা যাবে না।
‘জনগণের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যাচার করছে’ দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, সব বাহিনীকে চিন্তা করতে হবে এভাবেই কি দেশ চলবে? এভাবে চলতে থাকলে তো দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। একটি শ্রেণি তাদের ব্যবহার করে লুটপাটের মাধ্যমে দেশটি শেষ করে দেবে।
এনপিপির সভাপতি ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে ইফতারে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, শামসুজ্জামান দুদু, আবদুস সালাম, শামা ওবায়েদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২০ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, এনডিপির খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) আহসান হাবিব লিংকন, সাম্যবাদী দলের কমরেড সাঈদ আহমেদ প্রমুখ এনডিপির ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন।
###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।