পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলীর মামলা থেকে প্রধান বিচারপতির সরে যাওয়া উচিত বলে দু’জন মন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন এটাকে তাদের ব্যক্তিগত মত বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। সরকারি আইনি সেবার মানোন্নয়নে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের অংশীদারিত্ব : সাফল্য, সম্ভাবনা ও অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আইনমন্ত্রী। অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, আমি যখন আইনজীবী ছিলাম সাব জুডিস ম্যাটারে (বিচারাধীন বিষয়) আমি কখনো কোনো মন্তব্য করিনি। এখন দেশের আইনমন্ত্রী। সাব জুডিস ম্যাটারে কোনো মন্তব্য করলে দেশে একটা ব্যাড প্রিসিডেন্ট হয়ে দাঁড়াবে। সে জন্য আমি মন্তব্য করবো না। আইনমন্ত্রী বলেন, আমি এটুকু বলতে পারি যার যার ব্যক্তিগত মতামত দেয়ার স্বাধীনতা রয়েছে। দুই মন্ত্রীও তাদের ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করেছেন। সে সম্বন্ধে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তিনি আরো বলেন, আমিতো আর ছাপোষা উকিল ছিলাম না। ভাল ভাল গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলো সব আমার হাত দিয়ে করা। আমি বারে থাকতেও বিচারাধীন বিষয়ে মুখ খুলতাম না।
গত শনিবার এক অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক মীর কাসেমের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের গাফিলতির সমালোচনা করায় প্রধান বিচারপতিরক সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। এ নিয়ে বিচারাঙ্গন এবং রাজনীতিতে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।
এশিয়া কাপের ফাইনাল বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি উইশ করতে চাই। আমরা তাদের দিকে তাকিয়ে আছি সুন্দর খেলা দেখার জন্য। আজ ফাইনাল হবে মাঠে। যে দলই নৈপূণ্য দেখাক আমি কিন্তু বাংলাদেশের সমর্থক। এর আগে সরকারি আইনি সেবার মানোন্নয়নে ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের অংশীদারিত্ব : সাফল্য, সম্ভাবনা ও অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ‘আইনগত সহায়তা ব্যবস্থা- বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিত’ শীর্ষক বইয়েরও মোড়ক উন্মোচন করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনিসুল হক বলেন, দেশের সংবিধান অনুসারে সবার জন্য সুবিচার নিশ্চিতে সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। এ জন্য শেখ হাসিনার সরকার ১৯৯৬-২০০১ সেশনে এ সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করে। এরপর বর্তমানে ৬৪টি জেলায় এর কার্যক্রম চলছে। পদ সৃষ্টি করা হয়েছে ১৯২টি। আইনমন্ত্রী বলেন, নতুন যারা ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন, তাদেরকে নিয়ে প্রত্যেক জেলায় বিনামূল্যে আইনগত সহায়তার বিষয়ে বৈঠক করে ধারণা দেয়া হবে। কারণ একজন ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি জানলে সাধারণ জনগণের কাছে খুব তাড়াতাড়ি তথ্য পৌঁছে দেয়া যাবে। তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে মামলা করা হয় হয়রানি করার জন্য। শুধু কোর্টে দৌড়ানোর জন্য। জেলের ভয়ে রাখার জন্য। আমি এটা থেকে বের হতে চাই। যদি এ রকম চলতে থাকে, তাহলে মামলা ৩০ লাখ থেকে ৬০ লাখে গিয়ে দাঁড়াবে। ১৫ লাখে নেমে আসবে না। এটা থেকে বের হতে চাই। মন্ত্রী আরো বলেন, মিথ্যা সাক্ষ্য দিলে শাস্তি পেতে হবে, বর্তমান সময়ে করা সব আইনে এমন বিধান সংযুক্ত করা হয়েছে। এটাকে আরো কার্যকর করতে চাই। তাহলে হয়রানির জন্য করা মামলা কমবে। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বিকাশ কুমার সাহার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক শাহীন আনাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রফেসর ড. শাহনাজ হুদা ও বইয়ের লেখক মুন্সীগঞ্জ জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।