পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে আওয়ামী লীগ বেসামাল হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে যায় যায় ভাব চলে এসেছে। আগামী নির্বাচনে কারো করুণায় নয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচন আদায় করে নেবে। সেটা না মানলে রাজপথ উত্তপ্ত হবে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সকল ফয়সালা রাজপথে করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ঘুরে দাঁড়াও বাংলাদেশ আয়োজিত ‘দ্রæত বিচার আইনে শাস্তি বৃদ্ধির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং জনমনে আশংকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে উল্লেখ করে খন্দকার মাহবুব বলেন, ২০১৪ সালের মতো দেশে আর কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। সরকারের অত্যাচার নির্যাতনে জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জনগণ একবার জেগে উঠলে কোন বাধা মানবে না। আগামীতে দেশের জনগণ অবশ্যই রুখে দাঁড়াবে।
দ্রæত বিচার আইন প্রসঙ্গে সিনিয়র এই আইনজীবী বলেন, দ্রæত বিচার আইন নতুন নয়। ২০০২ সালে অপরাধ সামাল দিতে বিএনপি দ্রæত বিচার আইন করে। সেই সময় আওয়ামী লীগ এই আইনকে কাল আইন আখ্যা দিয়ে সংসদ ত্যাগ করেছিল। আর আজ তারা সেই আইনের মেয়াদ বাড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ কার কথা ভেবে নয় নিজের স্বার্থ অনুযায়ী কাজ করে থাকে।
দ্রæত বিচার আইনের মেয়াদ বাড়ানোর সমালোচনা করে খন্দকার মাহবুব বলেন, সন্ত্রাস দমনের এই আইন অবৈধ সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বর্তমানে ব্যবহার করছে। তবে বিএনপি নেতাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাদের এই আইনের ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের নামে ঢালাওভাবে মামলা দেয়া হয়েছে। সেই মামলার রেশ ধরে আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে কোণঠাসা করার জন্য দ্রæত বিচার আইনের মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার।
সরকারের সাহস থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়ার আহŸান জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আতংকিত হয়ে আওয়ামী লীগ বেসামাল হয়ে পড়েছে।
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হ্যাট্রিক জয়ী হবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এ বক্তব্যর সমালোচনা করে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আপনারা তো আতঙ্কিত হয়ে গেছেন, বেসামাল হয়ে গেছেন। আপনারা তো দুর্নীতিবাজ। একবার যদি বলি ধর, তাহলে তো পালাবেন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ আযম খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমত উল্লাহ, স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষক দলের শাজাহান মিয়া স¤্রাট প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।