পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টালিন সরকার : বাড়ির কেয়ারটেকার হাসতে হাসতে বিনয়ের সঙ্গে বললো, ‘ভাই থানা থেকে একটি ফরম দিয়ে গেছে’। সে হাতে দেয়ার সাহস পায়নি। পরের দিন গৃহকর্ত্রীর হাতে ফরম! কিসের ফরম জিজ্ঞাস করার আগেই জানালো কেয়ারটেকার দিয়েছে। কদমতলী থানা পুলিশ জানিয়েছেন বাধ্যতামূলকভাবে ফরম পূরণ করে দিতে হবে। ফরমে বেশ কিছু ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া হয়েছে। দুপুরে অফিসের পথে বাসে উঠার পর বোঝা গেলে যাত্রীদের মধ্যে ওই ফরম নিয়ে বির্তক হচ্ছে। বিতর্কের এক পর্যায়ে একজন খেকিয়ে উঠে বললেন, বিএনপি অভিযোগ করছে এটা পুলিশি রাষ্ট্র কয়েম হয়েছে। পুলিশ তাই করছে। বিএনপির নেতাকর্মী এবং যারা আওয়ামী লীগ করেন না তাদের চিহ্নিত করতে এই কৌশল? মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেও পাকিস্তান সরকার ঢাকার মানুষের ঘরে ঘরে এমন ফরম পাঠিয়েছিল তথ্য চেয়ে। পাকিস্তান সরকারের ভয় ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হতে পারে, যুদ্ধে যেতে পারে এমন তরুণদের সম্পর্কে ধারণা নিতেই ছিল ওই কৌশল। কিন্তু বর্তমান সরকারের ভয় কেন? তারা কেন ঢাকার দেড় কোটি নাগরিককে কব্জায় রাখার কৌশল করছে? রাজধানীর সব মানুষকে কি বিপজ্জনক মনে করে তাদের ব্যাক্তিগত তথ্য-উপাত্ত রাখতে চায় পুলিশ? যারা অপরাধী তাদের তালিকা করা যেতে পারে। যারা বিপজ্জনক হতে পারেন, যারা জঙ্গী সমর্থন করতে পারেন, পৃষ্টপোষকতা করতে পারেন এমন ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা যেতে পারে। কিন্তু সাধারণ নাগরিকের প্রাইভেসি বলে কথা আছে। সংবিধান নাগরিকের সে অধিকার নিশ্চিত করেছে। পুলিশের কারো বিষয়ে তথ্য জানার প্রয়োজন পড়লে নির্বাচন কমিশনের আইডি কার্ডে দেখে সে নাগরিকের ঠিকানা-পরিচিতি অনায়াসে নিতে পারে। আমজনতাকে থানার ঠিকানা-ব্যক্তিগত তথ্য জানাতে হবে কেন? নাগরিকের তথ্য-উপাত্ত যদি অপরাধীদের হাতে যায় এবং ওই নাগরিক যদি প্রত্যারিত হয় সে দায় কি পুলিশ নেবে? আর এ ধরণের নিয়ম কি পুলিশ এ্যাক্টে আছে? কয়েক বছর আগে ডিএমপি হঠাৎ ঢাকায় চলাচল করা গাড়ীর বাম্পার খুলে ফেলার নির্দেশ দেয়; শাহবাগে একটি গাড়ীর বাম্পারে পথচারী আটকে যাওয়া দূর্ঘটনার পর। দু’দিন পর সে আদেশ বাতিল করা হয়। গাড়ীর কালো গ্লাস খুলে ফেলা, উল্টো পথে যাতায়াত বন্ধে রাস্তায় কাটাযুক্ত বিশেষ যন্ত্র বসানো পরীক্ষামূলক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে সেগুলো বাতিল হয়ে যায়। প্রশ্ন হলো ঢাকায় প্রায় দেড় কোটি মানুষ বসবাস করেন। এই বিপুলসংখ্যক মানুষের সবাই কি বিপজ্জনক যে তাদের ঠিকানা-ব্যক্তিগত তথ্য-উপাত্ত বাধ্যতামূলকভাবে থানায় জানাতে হবে?
অফিসে এসে ঘটনা বোঝা গেল। ডিএমপি রাজধানী ঢাকার সব বাড়িওয়ালাদের কাছে থানা থেকে একটি ফরম সরবরাহ করে এবং নির্ধারিত সেই ফরমে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়ার ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য প্রদান করার নির্দেশ দেয়। জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমন এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য নাকি এ উদ্যোগ নিয়েছে। ১৫ মার্চ ডেডলাইন নির্ধারণ করে দিয়ে বলা হয়েছে ব্যক্তিগত তথ্য না দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাড়ির মালিক, ভবন মালিক, ভাড়াটিয়া, পরিবারের অন্যসব সদস্য, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মার্কেট, দোকান মালিক, ড্রাইভার, গৃহকর্মী, ছিন্নমূল নাগরিক সবার তথ্য পুলিশের হাতে থাকবে। প্রশ্ন হলো হঠাৎ কেন রাজধানীর দেড় কোটি মানুষকে পুলিশ তাদের নজরদারিতে আনতে চাচ্ছে? যারা ঢাকায় বসবাস করেন তাদের সবাই কি জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক যে নিরাপত্তার জন্য হুমকি হবে? জনগণের ট্যাক্সে অর্থে পরিচালিত পুলিশ বাহিনীর চোখে রাজধানী ঢাকায় বসবাসকারী সব নাগরিকই বিপজ্জনক? নাগরিকের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব পুলিশের। কিন্তু নিরাপত্তার জন্য সব নাগরিকের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক তথ্য জানানো জরুরি? আইন বলে, ‘দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন’ হচ্ছে পুলিশের দায়িত্ব। পুলিশ ছুটবে সমাজবিরোধী দুর্বৃত্ত, ছিনতাইকারী, মলমপার্টি, প্রতারক, চোর, ডাকাত, খুনি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, মাদকসেবী, মাদক ব্যবাসায়ী, প্রকৃত জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদী তৎপরতায় জড়িত অপরাধী ও নাগরিকের নিরাপত্তা বিঘœকারীদের পিছনে। তাদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করবে পুলিশ। এ জন্য নাগরিকের সাহায্য-সহযোগিতা চাইবে। নাগরিকদেরও উচিত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পুলিশ বাহিনীকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করা। যাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করবে তাদের ঠিকানা ও তথ্য উপাত্তের প্রয়োজন পড়ে কি?
ফেসবুকে দেয়া তিনটি ঘটনা প্রণিধানযোগ্য। ১. জনৈক পুলিশ কর্মকর্তা ঢাকায় বসবাসরত এক ভাড়াটিয়ার তথ্য সংগ্রহ করতে এসে কিছু তথ্য কম থাকায় তার মোবাইল নাম্বার দিয়ে যান বাকি তথ্য সংগ্রহ করে তাকে ফোন দেবার জন্য। ভাড়াটিয়া বাকি তথ্য সংগ্রহ করে ফোন দেন পুলিশ কর্মকর্তাকে। বেজে উঠল একটি ভাষণ। ভাড়াটিয়া আতঙ্কে পড়ে গেলেন এ লোক পুলিশের পোশাক পরা কোন দলীয় কর্মী কিনা। ২. এক ভাড়াটিয়ার বাসায় দুটি বিবাহযোগ্যা কন্যা রয়েছে। একজন পুলিশ কর্মকর্তা এলেন ভাড়াটিয়ার তথ্য সংগ্রহ করতে। জানতে চাইলেন বাসায় কে কে আছেন? সবার তথ্য দেয়া হল। পুলিশ কর্মকর্তা দেখে গেলেন মেয়ে দু’টিকে। পরে ভাড়াটিয়া আতঙ্কে পড়ে গেলেন, তার মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে বা কোন পদ্ধতিতে যদি হয়রানির শিকার হই। ৩. জনৈক ব্যক্তি সম্ভ্রান্ত পরিবারের কর্তা। তার মেয়েটি রাজধানীর একটি নামকরা বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। কিছুদিন যাবৎ একটি ফোন থেকে তাকে বিরক্ত করা হচ্ছে। মেয়েটিকে তার সঙ্গে বিয়ে দেবার দাবিতে প্রতিমুহূর্তে জ্বালাতন করা হচ্ছে। ছেলেটি নাকি একটি কোচিং সেন্টার থেকে তার নাম্বার সংগ্রহ করেছে। এখন ভাড়াটিয়া তথ্য দিতে গিয়ে তিনি পড়ে গেছেন আরো আতঙ্কে। অর্থাৎ ডিএমপির দেয়া ফরম পূরণ করতে গিয়ে মানুষ পড়ে গেছেন চরম আতঙ্কে। কারণ প্রাইভেসি প্রকাশ পেলে বিপদ হতে পারে। তাছাড়া ২০১৫ সালের বিএনপির ৯৩ দিন টানা অবরোধের সময় রাজধানীর বিভিন্ন থাকার কর্মরত পুলিশ সদস্যরা স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুগলীগের নেতাদের কাছ থেকে আন্দোলনকারীদের নাম ঠিকানা নিয়েছে। তখন তাদের ওপর নানা হয়রানী হয়। ঢাকায় বসবাসরত নাগরিকদের সহযোগিতা পাওয়ার ব্যাপারে তাদের নিরাপত্তা বিধান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নাগরিকের জানমাল-ইজ্জতের নিরাপত্তা বিধানের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করে পুলিশ বাহিনী। দেশের অপরাধী, জঙ্গি, সন্ত্রাসী, দুর্বৃত্ত, মাদক ব্যবসায়ীরা অনেক শক্তিশালী। চাঁদাবাজির কারণে ব্যবসায়ী ও নাগরিকের জীবন উষ্ঠাগত। তাদের সম্পর্কে জনগণের কাছে তথ্য উপাত্ত চাইতে পারে পুলিশ। কিন্তু করছে তার উল্টো কাজ। পুলিশ বলছে, নাগরিকদের নিরাপত্তা বিধানের জন্যই তাদের সম্পর্কে তথ্য জানা প্রয়োজন। প্রশ্ন হলো যাদের নিরাপত্তা বিধান করা হবে তাদের তথ্য উপাত্তের প্রয়োজন কতটুকু? গতকাল মিডিয়ায় খবর বের হয়েছে রামপুরার এক বাসায় ২৯ ফেব্রুয়ারী থানা পুলিশের চার সদস্য গিয়ে মহিলার অর্থ সোনার গয়না লুটে নিয়েছে। একই সঙ্গে ওই নারীদের সম্ভ্রমহানির চেষ্টা করেছে। এ ছাড়াও গত কয়েক মাসে পুলিশ বাহিনীর কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে অপরাধ কর্ম করার অভিযোগ ওঠে। পুলিশ সদর দফতরের তথ্য হলো অপরাধে জড়িয়ে পড়া অভিযোগের পর তদন্ত সাপেক্ষ্যে এক বছরে ৯৯৫৮ জন পুলিশ সদস্যের শাস্তি দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৭৬ জন ফৌজদারী অপরাধে অভিযুক্ত। এ সব কারণে মানুষ বিপদে পড়লে পুলিশের কাছে যেতে চায় না। নাগরিকের মধ্যে এমন ধারণা জন্মেছে যে, অপরাধ কারা করে পুলিশ তা জানে, এমনকি কোথায় কোন ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয় সবই তাদের জানা। পুলিশ চাইলে অল্প সময়ের মধ্যেই রাজধানীর অধিকাংশ অপরাধীকে ধরে ফেলতে পারে। অনেক ঘটনার পর পুলিশ সে সাফল্য দেখিয়েছে। পুলিশের সক্ষমতা সম্পর্কে সন্দেহ নেই কারো। তারপরও অপরাধ হয় কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুলিশের মৌনতায়। অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায়। পুলিশ কেন কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপরাধীদের বেলা মৌনতা-শৈথিল্য প্রদর্শন করে; কেন নিষ্ক্রিয় থাকে তারও যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ মানুষের কাছে আছে। ঢাকার নাগরিকের তথ্য উপাত্ত থানায় জমা দেয়া বাধ্যতামূলক এবং ১৫ মার্চের পর যাদের তথ্য উপাত্ত পাওয়া না যাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। এ ধরণের উদ্যোগ সংবিধান পরিপন্থী হিসেবে অবিহিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক অধ্যাপক আসিফ নজরুল, ড. শাহদিন মালিক, সুজনের সাধারণ সম্পাদক ড, বদিউল আলম মজুমদার, মানবাধিকার সংগঠক অ্যাডভোকেট এলিনা খানসহ সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুলিশের এ উদ্যোগ বেআইনি ও জননিরাপত্তার জন্য ভারসাম্যহীন। এ ধরণের প্রচেষ্টায় নাগরিকদের গোপনীয়তা রক্ষার মৌলিক অধিকার ক্ষুণœ হবে। নাগরিক হিসেবে আমরা রাষ্ট্রের কাছে নিরাপত্তা এবং মৌলিক অধিকার হিসেবে গোপনীয়তা রক্ষায় নিশ্চয়তাও চাই। ঢাকার বাড়িওয়ালাদের কাছ থেকে ভাড়াটেদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের পুলিশি ফরমানকে চ্যালেঞ্জ করে লিগ্যাল নোটিস দিয়েছেন বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তিনি পুলিশের এই কার্যক্রম বন্ধ করতে বলেছেন। পহেলা মার্চ নোটিস জারির পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করে জবাব দিতে বলা হয়েছে। ব্যারিস্টার বড়ুয়া তার নোটিসে বলেছেন, পুলিশ এভাবে ব্যক্তিগত তথ্য গ্রহণ করতে পারে না। এসব তথ্য সংগ্রহ করে সংরক্ষণের কোনো বিধান বাংলাদেশে নেই। পুলিশ এসব তথ্যের অপব্যবহার করতে পারে আশঙ্কায় তিনি আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে নোটিসে উল্লেখ করেছেন। প্রশ্ন হলো পুলিশ কেন হঠাৎ করে মানুষের নাগরিক অধিকার ক্ষুন্ন করে ঢাকায় বসবাসকারী দেড় কোটি মানুষের ব্যাক্তিগত তথ্য, পরিচিতি, ঠিকানা জানতে চাইছে? যদি কারো সম্পর্কে কোনো তথ্য জানার প্রয়োজন পড়ে তাহলে নির্বাচন কমিশনের সংরক্ষিত আইডি কার্ডের ফরম দেখে নিতে পারে। তা না করে কেন এই উদ্যোগ? বিএনপির ইতোমধ্যেই অভিযোগ করেছে তাদের দলের নেতাকর্মীদের যাতে সহজেই চিহ্নিত করা যায় সে জন্যই এ কৌশলী উদ্যোগ। শুধু তাই নয় বিএনপি দীর্ঘদিন থেকে অভিযোগ করছে যে, ‘৫ জানুয়ারী পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা সরকারের নৈতিক ভিক্তি নেই। ভীতু সরকার প্রশাসন ও পুলিশকে ব্যবহার করে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। তারা দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে’। তাহলে কি বিএনপির অভিযোগ সত্য। দেশকে কি পুলিশে রাষ্ট্রে পরিণত করার প্রচেষ্টা চলছে? কারণ এধরনের বার্তা নাগরিকরা ভাল লক্ষণ হিসেবে দেখছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।