পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রমজানের দ্বিতীয় জুম্মার দিনে গতকাল শুক্রবার রোজাদার মুসল্লিরা মসজিদে মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করেছেন। ঢাকার মসজিদগুলোয় যেমন মুসুল্লিদের উপচেপড়া ভীড় ছিল; তেমনি সারাদেশের প্রতিটি মসজিদে ছিল রোজাদার মুসল্লীদের উপস্থিতি। মুসল্লিরা ধর্মীয় ভাবগম্ভির্য্যে প্রাণের উচ্ছ¡াসে জুম্মার নামাজ আদায় করেন। ঢাকার অধিকাংশ মসজিদের জুম্মার নামাজের সময় দেখা গেছে মসজিদে এবং বারান্দায় স্থান সংকুলান না হওয়ায় অসংখ্য মুসুল্লি মসজিদের ছাদ, রাস্তায় পাটের ছালা-চট-মাদুর-চাটাই বিছিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে গেছেন জুম্মার নামাজ আদায়ে।
শুক্রবার ছিল ১৩ রমজান। রমজানের দ্বিতীয় জুম্মাবার। রাজধানীসহ সারাদেশের বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা শহর এমনকি গ্রামগঞ্জের হাটবাজার ও পাড়া মহল্লার মসজিদগুলোতে জুমা¥র নামাজের সময় তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। রোজাদারদের মধ্যে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে ছিল অভূতপূর্ব উদ্দীপনা। রোজাদাররা ছুটে আসেন রমজানের দ্বিতীয় জুমা নামাজ আদায় করতে। রাজধানীর মসজিদগুলোতে লাখো মুসুল্লির স্বতঃস্ফূর্ত ও ধর্মীয় আবেগভরা উপস্থিতি ছিল। আল্লাহর রহমত প্রত্যাশী নানা বয়সী মানুষ যেন শ্রোতের গতিতে ছুটে এসেছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ। সেখানে তিল ধরণের ঠাই ছিল না। ঢাকার মহাখালী মসজিদে গাউসুল আজম, গুলশান আজাদ মসজিদ, ধানমন্ডি সেন্ট্রাল মসজিদ, লালবাগ শাহী মসজিদ, সুপ্রিম কোট জামে মসজিদ, সোবহানবাগ মসজিদ, এলিফ্যান্ট রোড মসজিদ, বনানী বাজার মসজিদ, মহাখালী বায়তুল মাহফুজ, মিরপুর কাজীপাড়া জামে মসজিদ, শেওড়াপাড়া বড় মসজিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ, মতিঝিল ওয়াপদা মসজিদ, কাওরান বাজার আম্বারশাহসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার জামে মসজিদে লাখো লাখো মুসুল্লি জুম্মার নামাজ আদায় করেন। রাজধানীর ঢাকার অধিকাংশ মসজিদের জুম্মার নামাজে ভিতরে স্থান সংকুলান না হওয়ায় অসংখ্য মুসুল্লি রাস্তায় পাটের ছালা-চট-মাদুর-চাটাই বিছিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে গেছেন জুম্মার নামাজ আদায়ে।
রমজানের দ্বিতীয় জুম্মাবার জুম্মা নামাজের আজানের আগে থেকেই মুসুল্লিরা নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে উপস্থিত হতে শুরু করেন। দূর দূরান্ত থেকেও মুসুল্লিরা মুসুল্লি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম, মহাখালির মহাখালী মসজিদে গাউসুল আজম, গুলশান আজাদ মসজিদ, সুপ্রিম কোটে জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায়ের জন্য হাজির হন। পাড়া মহল্লার মসজিদগুলোতেও জুম্মার নামাজে ভবনের ছাদ-বারান্দা ভরে নামাজিদের কাতার চলে যায় সড়কে। নামাজ শেষে মসজিদে মসজিদে হয় দীর্ঘ মুনাজাত। ঈমাম ও খতিবদের বিশেষ মুনাজাতের সময় ছিল ‘আমিন আমিন ধ্বনি’ আর গুনাহ মাফ চেয়ে আল্লাহর কাছে কাঁন্না। ধর্মপ্রাণ মুসলমান রোজাদারদের ধর্মীয় ভাবাবেগ, প্রাণের উচ্ছ¡াসে আর হৃদয়ের টানে মসজিদে ছুটে আসা মানুষ নামাজ শেষে সারাবিশ্বের নির্যাতিত নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত অভিবাসী নির্যাতিত মুসলিম ভাইবোন ও শিশুদের জন্য প্রার্থনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।