পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বস্তিবাসীদের পুনর্বাসনে সরকার রাজধানীতে ১০ হাজার আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে। জাতীয় গৃহনির্মাণ কতৃর্পক্ষ মিরপুরের ১১ নং সেকশনে পর্যায়ক্রমে এই ভাড়া ভিত্তিক আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন প্রত্যক্ষ করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ প্রকল্পের ওপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের পরে প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
এ প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম গৃহহীন এবং নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে রাজধানীর মিরপুরের ভাসানটেকে এ ধরনের আবাসিক প্রকল্প গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, পাশাপাশি বর্তমান সরকার ন্যাশনাল হাউজিং পলিসি-২০১৬ বাস্তবায়ন করছে। যার মাধ্যমে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের জনগণের জন্য আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারা এবং ন্যাশনাল হাউজিং পলিসি-২০১৬’র আলোকেই বস্তিবাসীর জন্য এই আবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, বলেন প্রেস সচিব।
প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাবিত ‘তালাইমারী চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্কয়ার নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের খসড়া নকশা’র ওপর এদিন প্রধানমন্ত্রী অপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনও প্রত্যক্ষ করেন।
স্থপতি রফিক আজম এই পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
প্রেস সচিব বলেন, ৬১ কাঠা জমির ওপর এই বঙ্গবন্ধু স্কয়ার নির্মাণ করা হবে। যেখানে স্থায়ী এবং অস্থায়ী গ্যালারি, ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিজিটাল লাইব্রেরী, গবেষণাগার, মাল্টি পারপাস হল এবং এম্পিথিয়েটার থাকবে। তিনি বলেন, জাতির পিতার জীবন এবং কর্ম এই প্রকল্পের মধ্যদিয়ে প্রতিভাত হবে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে-গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল গণপূর্ত সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকার প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে এই প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন এবং প্রধানমন্ত্রীকে প্রকল্পের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অবহিত করেন।
অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড রফতানি বাণিজ্য স¤প্রসারণে আরো অবদান রাখবে : প্রধানমন্ত্রী
এদিকে অপর এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড সরকারি নীতি-নির্ধারণ, জাতীয় মান অবকাঠামো উন্নয়ন এবং দেশের রফতানি বাণিজ্যকে আরো স¤প্রসারণ ও গতিশীল করতে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে।
আজ শুক্রবার বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। উপলক্ষে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন : ডেলিভারিং কনফিডেন্স ইন কনস্ট্রকশান এন্ড দ্যা বিল্ট এনভারনমেন্ট।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জাতিসংঘ ঘোষিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। পারস্পরিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সকলের জন্য নিরপদ আবাসন ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, নিরাপদ আবাসন এবং পরিবেশ সুরক্ষাসহ জাতীয় ভৌত অবকাঠামো তৈরিতে নির্মাণ শিল্পের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ডিজিটালাইজেশনের ফলে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এ শিল্পের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করেছে। নির্মাণ ভাবনা ও নির্মাণ শৈলীতে পরিবর্তন এসেছে। ভারসাম্য ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে নির্মাণ পরিকল্পনায় নিরাপত্তা এবং পরিবেশ সুরক্ষার মতো জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সক্রিয় বিবেচনায় আনা প্রয়োজন। অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড এক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন কারিগরি বাণিজ্য বাধা অপসারণের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি। অ্যাক্রেডিটেশন নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ, পরিবেশ রক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ তথ্য ব্যবস্থাপনা এবং জাতীয় মান অবকাঠামো উন্নয়নে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাজে সহায়তা করে থাকে। বিশ্বায়নের ফলে সৃষ্ট সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশে উৎপাদিত পণ্য ও সেবার রপ্তানি বৃদ্ধিতে অ্যাক্রেডিটেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
বাণীতে শেখ হাসিনা বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ৯ জুন ২০১৭ ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং এ উপলক্ষে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডসহ সকল উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও সুবিধাভোগীদের শুভেচ্ছা জানান। একই সাথে তিনি ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস ২০১৭’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।