পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ইরানে সহস্র কোটি ডলার সম্পদের মালিক ব্যবসায়ী বাবাক জানজানিকে দুর্নীতির অভিযোগে মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছে। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। তার কোম্পানীর মাধ্যমে তেল রাজস্বের শত শত কোটি ডলার তছরুপের অভিযোগের পর ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিচার বিভাগের একজন মুখপাত্র তেহবানে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, জানজানিকে প্রতারণা ও আর্থিক অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার সাথে অপর দুইজনকেও মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছে এবং তাদের সবাইকে তছরুপ করা তহবিল ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ইরানের অন্যতম ধনী ব্যক্তি জানজানি। সে সময় আরোপিত তেল নিষেধাজ্ঞা কৌশলে এড়িয়ে যেতে ইরানকে সাহায্য করার জন্য জানজানিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন কালো তালিকাভুক্ত করেছিল। তিনি স্বীকার করেন যে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে ২০১০ সাল থেকে ইরান সরকারের পক্ষ হয়ে তেল বিক্রি করেছেন। এই কাজে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক ও মালয়েশিয়ার বেশ কিছু কোম্পানীকে ব্যবহার করার কথাও স্বীকার করেছেন। গ্রেফতারের আগে জানজানি দাবী করেছিলেন যে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে এখনো সরকারের পাওনা একশো ২০ কোটি ডলার পরিশোধ করতে পারেননি।
আর্থিক দুর্নীতি বিশেষ করে সুবিধাভোগী ব্যক্তিবর্গ যারা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার সুযোগ নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি নির্দেশ দেয়ার একদিন পর তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে নেয়া হয়।
২০১৩ সালে বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জানজানি ইরানে তার রাজনৈতিক সম্পর্কের কথা খুব কমই উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমি রাজনৈতিক বিবেচনায় কিছু করি না। আমি নিছক একজন ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, আমার সম্পদের পরিমাণ ১ হাজার ৩শ’ কোটি ডলারের মতো। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।