Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আদালত অব্যবস্থাপনায় অসন্তোষ খালেদা জিয়ার

| প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অস্থায়ী বিশেষ আদালতের অব্যবস্থাপনা ও প্রচন্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ায়  সেখানকার পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।  
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপির উদ্যোগে গুলশানের ইমান্যুয়েল কনভেনশন হলে ইফতার অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে তিনি নিজের এই অসন্তোষ প্রকাশ করেন। গতকালই তিনি পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসায় বিশেষ আদালতে একটি মামলার হাজিরা দেন।  
‘রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, কুটনীতিক, আইনজ্ঞ, সাংবাদিক ও সমাজসেবীদের সম্মানে আয়োজিত এ মাহফিলে খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আমরা আদালতে ছিলাম। সেখানে এতো গরম। তবে অনেক এসি ছিল থাকলেও সেগুলো এসি চালায় না। এরপরে চিল্লাচিল্লি করার পর এসি চালু করে। এসির রিমোট লুকিয়ে রাখে কত কি যে করে। কত নাটক ওখানেও হতে থাকে। এরকম করে করে গরমে পাগল হয়ে যাচ্ছি আমরা। তারপরও এতো গুলো এসি থাকা সত্তে¡ও চালায় না। আমি তো গরমের মধ্যে অস্থির। অনেক চিল্লাচিল্লি করার পর শেষের দিকে একটু এসি দিয়েছে।
তিনি বলেন, গরমে অস্থির হয়ে যাচ্ছি আমরা। এতো এসি লাগায়ে রাখছে, সেগুলো চালায় না। তারপরে অনেক চিল্লা-চিল্লি করার পরে শেষের দিকে একটু এসি দিয়েছে। তাই আমার পক্ষ থেকে মহাসচিব বক্তব্য দেবেন। পরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা এই রোজার মাসেও শান্তিতে নেই। এই রোজার মাসে আমরা আশা করেছিলাম, সরকার নির্যাতন থেকে কিছুটা বিরত থাকবে। কিন্তু গত বুধবার আমাদের দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যকে তার বাড়ি থেকে জোর করে বের করে দিয়েছে। এটা সারা দেশেই চলছে। তারা দখল, নিপীড়ন, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি করছে। খালেদা জিয়াকেও বৃহস্পতিবার আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে। আগামী ৭ দিন পর আবারও হাজিরা দিতে হবে। এর থেকেই বোঝা যায় তারা কি রকম নির্যাতন করছে।
তিনি বলেন, আজকেও আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একটি মিথ্যা মামলায় কোর্টে  যেতে হয়েছিলো। আবারো ৭দিন পরে তাকে কোর্টে যেতে হুকুম হয়। এ থেকে বোঝা যায় কি ধরণের নির্যাতন তারা করছে। উদ্দেশ্য একটাই বিরোধী দল বিশেষ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দূরে সরিয়ে রেখে তারা একতরফা নির্বাচন করতে চায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, একটি সহায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন করতে হবে। তাহলে অবশ্যই এদেশের মানুষ ও বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু যদি সরকার এটা না করে তাহলে কখনই সেই নির্বাচনে দেশের মানুষ অংশ গ্রহণ করবে না। সেই নির্বাচন দেশের মানুষ হতে দিবে না। আশা করছি সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। তারা জনগণের কথা মাথায় রেখে অবশ্যই একটি সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।
একতরফা নির্বাচন দেশের জনগণ হতে দেবে না বলে হুশিয়ারি দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সকলকে  একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
মূল্য মঞ্চে এনডিপির সভাপতি খোন্দকার গোলাম মূর্তজা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২০ দলীয় জোটের নেতাদের নিয়ে ইফতার করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
ইফতারে জোট নেতাদের মধ্যে ছিলেন এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমেদ, সাহাদত হোসেন = সেলিম, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার,  জামায়াতের অধ্যাপক মজিবুর রহমান,  জাগপার রেহানা প্রধান,  আসাদুর রহমান খান, এনডিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান, ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, গোলাম  মোস্তফা ভুঁইয়া,  মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী,  লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, ডিএল সাইফুদ্দিন মনি, বিজেপির আবদুল মতিন সউদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম,  জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, খেলাফত মজলিশের শেখ গোলাম আজগর, এনডিপির মঞ্জুর হোসেন ঈসা  প্রমুখ।
এনডিপির কেন্দ্রীয় নেতা  কারী আবু তাহের, মোকাদ্দের হোসেন, রাজু আহমেদ, আমিনুল ইসলাম টুকু, জামিল আহমেদ, শামসুল আলম, মোহাম্মদ মূসাসহ অন্যান্য নেতারা ইফতারে ছিলেন।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, রুহুল আলম চৌধুরী, দলীয় নেতা আবদুস সালাম, ফজলুল হক মিলন, জেবা খান, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ ইফতারে অংশ নেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়ার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ