পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্শী : এমন তিনটি কাজ আছে, যাতে রোজা নষ্ট হয় না। এ তিনটি কাজ হলো শিঙ্গা লাগানো, বমি হওয়া, ও স্বপ্নদোষ হওয়া। এ প্রসঙ্গে হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে, রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেছেন: তিনটি কাজে রোজা নষ্ট হয় না। শিঙ্গা লাগালে, বর্মি হলে ও স্বপ্ন দোষ হলে। (তিরমিজী, বায়হাকী, আবু দাউদ)। এ তিনটি কাজের মধ্যে প্রথমটি ইচ্ছাধীন। দ্বিতীয় ও তৃতীয়টি ইচ্ছাধীন নয়। সহীহ বুখারী শরীফ ও মুসনাদে আহমাদে উদ্ধৃত হাদীসে বলা হয়েছে যে, রসূলুল্লাহ (সাঃ) ইহরাম বাঁধা অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন এবং রোজাদার অবস্থায়ও শিঙ্গা লাগিয়েছেন। হযরত আনাস (রাঃ) সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি ইহরাম অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন। তবে বহু হাদীসে উল্লেখ আছে যে, রসূলুল্লাহ (সাঃ) প্রথমে ঘোষণা করেছিলেন যে, শিঙ্গা লাগালে রোজা নষ্ট হয়ে যায়। পরে তিনি রোজা অবস্থায়ও শিক্ষা লাগিয়েছেন। ইমাম শাওকানী (রহঃ) এ দুই ধরনের হাদীসের মধ্যে সমন্বয় সাধন প্রসঙ্গে বলেছেন যে, শিঙ্গা লাগানো ঐ রোজাদারের জন্য মাকরূহ যে এর দরুণ দুর্বল হয়ে পড়ে। আর যদি শিঙ্গা লাগানো রোজা ভাঙবার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে ইহা মাকরূহে তাহরীমী পর্যন্ত পৌঁছবে।
আর বমি করার বিষয়টি দুই ধরনের হতে পারে। এক: ইচ্ছাকৃত বমি করা, এবং দুই: অনিচ্ছায় বমি করা। তবে কেউ যদি ইচ্ছাকৃত বমি করে তার সম্পর্কে রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: তাকে রোজার কাজা আদায় করতে হবে। কারণ, এই বমির জন্য সে নিজে দায়ী। আর অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি হলে এরও দুইটি অবস্থা হতে পারে। এক: অল্প স্বল্প বমি হওয়া এবং দুই: মুখ ভরে বমি হওয়া। অল্প-স্বল্প বমি হলে রোজা নষ্ট হবে না। কিন্তু বমি যদি মুখ ভরে বের হয়, তবে হানাফী মাযহাব অনুসারে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে এবং কাজা আদায় করতে হবে। আর বমি করতে করতে কেউ যদি ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে শুয়ে পড়তে বাধ্য হয়, তাহলে তার রোজা নষ্ট হয়ে যাবে এবং এর কাজা আদায় করতে হবে।
আর রোজা রাখা অবস্থায় ঘুমের ঘোরে কারো যদি স্বপ্নদোষ এবং শুক্র নিস্ক্রমণ ঘটে, তাহলে রোজা নষ্ট হবে না। কিন্তু স্বপ্নদোষ ছাড়া অন্য কোন কারণে যদি শুক্র নিস্ক্রমণ হয় তাহলে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে। অবস্থা ভেদে কাজা এবং কাফফরাও আদায় করতে হতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।