পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজনীতিবিদদের নিয়ে ইফতার করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গতকাল সোমবার রাজধানীর কুড়িল বিশ্ব রোড সংলগ্ন বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি নবরাত্রি হলে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আমন্ত্রিত হলেও খালেদা জিয়ার এ ইফতার পার্টিতে অংশ নেননি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দলের কোনো নেতা-প্রতিনিধি।
ইফতার মাহফিলে বিএনপির শরিক দল ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ইফতারে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ ছাড়াও অংশ নেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)‘র সভাপতি আ স ম আবদুর রব, তার স্ত্রী তানিয়া রব, নাগরিক ঐক্যের আহŸায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার। তবে তারা কেউই মূল মঞ্চে বসেন নাই।
ইফতারের আগে সন্ধ্যা ৬ টা ২৬ মিনিটে খালেদা জিয়া অনুষ্ঠান স্থলে প্রবেশ করেই প্রথম সারিতে বসা অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, আসম আবদুর রব ও তার স্ত্রী তানিয়া রব, মাহমুদুর রহমান মান্নার টেবিলে এসে বসেন। প্রথমেই তাদের সঙ্গে কৃশল বিনিয়য় করেন তিনি। কথা বলেন আ স ম আবদুর রব ও মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গেও। প্রায় ৭ মিনিট এই আলাপচারিতায় দেশের পরিস্থিতি নিয়ে নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনকে খোলামেলা কথা বলতে দেখা যায়। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার ও জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, বিকল্পধারার মহাসচিব আবদুল মান্নানও উপস্থিত ছিলেন।এর পর খালেদা জিয়া আমন্ত্রিত অতিথিদের টেবিল ঘুরে সকলের সঙ্গে কুুশল বিনিময় করেন।
বি চৌধুরী, এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমেদ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মজিবুর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের অ্যাড. এমএ রকিব, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী, জাগপার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মরহুম শফিউল আলম প্রধানের স্ত্রী অধ্যাপিকা রেহানা প্রধানসহ ২০ দলীয় জাটের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে মূল টেবিলে ইফতার করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
২০ দলীয় জোটের অন্য শরিকদের মধ্যে খেলাফত মজলিশের মাওলানা সৈয়দ মজিবুর রহমান, আহমেদ আবদুল কাদের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা নুর হোসেন কাশেমী, মুফতি আবদুর রব ইউসুফী, বিজেপির আবদুল মতিন সাউদ, জাতীয় পার্টির মোস্তফা জামাল হায়দার, আহসান হাবিব লিংকন, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, সাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপার খোন্দকার লুৎফর রহমান, ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, এনডিপির খন্দকার গোলাম মূর্তজা, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, সৈয়দ মাহবুব হোসেন, ইসলামিক পার্টির আবু তাহের চৌধুরী, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, ডিএলর সাইফুদ্দিন মনি, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা প্রমূখ ইফতারে অংশ নেন।
জামায়াতে ইসলামীর অন্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো ছিলেন নায়েবে আমীর আনম শামসুল ইসলাম, মিয়া গোলাম পারোয়ার, কর্ম পরিষদ সদস্য সেলিম উদ্দিন, মঞ্জুরুল ইসলাম ভুঁইয়া, শামীম সাঈদী প্রমূখ।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে ইফতারে অংশ নেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুস সালাম, ফজলুল হক মিলন, এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শাহ নেসারুল হকসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
এদিকে, রাজনীতিকদের সন্মানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এ ইফতার পার্টিতে কয়েকদিন আগেই দাওয়াত দিয়েছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ অন্যান্য নেতাদের। কিন্তু গতকালের ইফতারে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা উপস্থিত ছিলেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।