পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুর্নীতির কারণেই মানুষ সরকারি সেবা পায়না, কালো টাকার সৃষ্টি হয়, সেই টাকাই বিদেশে পাচার হয়, দুর্নীতির টাকাই সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত হয়। আর ক্ষতিগ্রস্থ হয় দেশের জনগণ, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে পরবর্তী প্রজন্ম। আমরা সবাই মিলে এমন একটা দেশ রেখে যেতে চাই যেখানে দুর্নীতির কালো ছায়া থাকবে না। গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কমিশন কার্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে ও টিআইবির মধ্যকার এক সমঝোতা স্মারকস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। দুর্নীতি দমন কমিশন ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর মধ্যে দুর্নীতি প্রতিরোধ সংক্রান্ত কাজে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য দুই বছর চার মাস মেয়াদি একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনে ও টিআইবির মধ্যকার এক সমঝোতা স্মারকস্বাক্ষর হয়।
দুর্নীতি প্রতিরোধে গণশুনানির কার্যকারিতার ওপর গবেষণা, অ্যাডভোকেসি, সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম, ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে বিষয়াদিসহ মোট ১৫টি বিষয়ে দুর্নীত দমন কমিশন ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতায় কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, টিআইবি বিভিন্ন ইস্যুতে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা করে থাকে। দুর্নীতি দমন কমিশন সমালোচিত হয়েও, সেই সমালোচক প্রতিষ্ঠানের সাথে পারস্পরিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। তিনি বলেন, দুদক ও টিআইবি দুর্নীতি প্রতিরোধে একত্রে কাজ করবে। দুর্নীতির শেকড়ের অনুসন্ধান করে তা উৎপাটনের চেষ্টা করা হবে। তিনি আরো বলেন, ২২টি সরকারি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি দমেন ২২টি প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করেছে কমিশন। এসকল টিমের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন না পেলেও আমরা যতটুকু জেনেছি, পদ্ধতিগত ত্রæটির কারণেই জনগণ হয়রানি ও দুর্নীতির শিকার হচ্ছেন। বিদ্যমান বিধি-বিধান অনুসরণ করা হচ্ছে না, অর্থাৎ আমলাতান্ত্রিক জটিলতাই দুর্নীতি ও জনহয়রানির অন্যতম কারণ।
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ব্যাংকিং খাতে আবগারি শুল্ক আরোপের আইনগত ভিত্তি নেই। তিনি বলেন, আবগারী শুল্ক আরোপের ফলে সাধারণ মানুষের উপর চাপ বাড়বে। এর মাধ্যমে বাজেটে অনিয়ম ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়া হয়েছে। এতে করে সমাজে কালো টাকার প্রভাবও বাড়বে। তিনি বলেন, কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে কিছু কার্যক্রমের ফলে কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থা যেমন বেড়েছে, তেমনি প্রত্যাশাও বেড়েছে। তাই সকলের উচিত কমিশনের পাশে দাঁড়ানো।
কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে গণশুনানি একটি কার্যকর পদ্ধতি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দুদক সচিব আবু মোঃ মোস্তফা কামাল, মহাপরিচালক ড. মোঃ শামসুল আরেফিন, মোঃ মঈদুল ইসলাম, ফরিদ আহমদ ভূঁইয়া, মোঃ আসাদুজ্জামান, মোঃ আতিকুর রহমান খান, মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।