Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিল্প ও ব্যবসা অনুকূল বাজেট -এফবিসিসিআই

| প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম


অর্থনৈতিক রিপোর্টার : এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেছেন, আমরা মনে করি বাজেটে যে বড় প্রকল্পগুলো নেওয়া হয়েছে সেগুলো যদি স্বল্প মেয়াদে বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে এটি অবশ্যই ভালো বাজেট। অংশিকভাবে বলা যায়, এটা শিল্প ও ব্যবসা অনুকূল বাজেট। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর এফবিসিসিআই ভবনে ২০১৭-১৮ প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনটির সভাপতি  এ কথা বলেন।
মহিউদ্দিন বলেন, বাজেটে যে অসংগতি আছে সেগুলো আমরা বলেছি। এটা প্রস্তাবিত বাজেট; চূড়ান্ত বাজেটে আশা রাখি সেগুলো প্রতিফলিত হবে। এ সময় তিনি বেশ কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বাজেটের ওপর আমরা তাৎক্ষণিকভাবে এফবিসিসিআই’র পর্যবেক্ষণ তুলে ধরছি। পরবর্তীতে বাজেট ডকুমেন্টস, অর্থ বিল পর্যালোচনা এবং এফবিসিসিআই’র বাজেট এক্সপার্ট ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী ৩ জুন আমাদের প্রাথমিক মতামত তুলে ধরব। পরবর্তীতে বিশদ পর্যালোচনা এবং এফবিসিসিআই’র সদস্যভুক্ত চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের মতামতের আলোকে এফবিসিসিআই’র বিস্তারিত মতামত উপস্থাপন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, বাজেট বাস্তবায়নে অর্থায়ন ও অর্থ ব্যয় সঠিকভাবে করতে না পারায় প্রতিবছরই বাজেট সংশোধন করতে হয়। এতে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের ওপর যাতে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। বাজেট বাস্তবায়নে বছরের শুরু থেকেই সুষ্ঠু মনিটরিং জোরদার করা জরুরি।
মহিউদ্দিন বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রভৃতি খাতে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী আওতায় সুবিধাভোগীদের সংখ্যা এবং মাসিক ভাতার হার বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বছরে দুটি উৎসব ভাতার প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের মতো আগামী বাজেটেও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থ বরাদ্দের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
সভাপতি আরো বলেন, নতুন বাজেটে ঘাটতি দাঁড়াচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১২ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা যা জিডিপির ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৭ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি পূরণের জন্য সরকারের ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে। অভ্যন্তরীণ ঋণ ব্যবস্থা থেকে ৬০ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা (ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ২৮ হাজার ২০৩ কোটি টাকা এবং জাতীয় সঞ্চয় প্রকল্প থেকে ৩০ হাজার ১৫০ কোটি টাকা) নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্যাংক খাতের ওপর নির্ভলশীলতা উৎপাদনশীল খাততে ক্ষতিগ্রস্তু করতে পারে।  
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা যা চলতি বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার (২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা) তুলনায় ১৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
অন্যদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিয়ন্ত্রিত করের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা, যা গত বছরের লক্ষ্যমাত্রা (২ লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকা) তুলনায় ২২ দশমিক ০৭ বেশি।
মহিউদ্দিন বলেন, জাতীয় অর্থনীতির দুটি মূল উৎস রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি বর্তমানে নিম্নমুখী। এছাড়াও সা¤প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ কৃষি ফসল উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে। এ অবস্থায় রাজস্ব আদায়ের এই উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাজেট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ